ঘুমন্ত রেলওয়ের ঘুম ভাঙুক- অবিলম্বে শূন্যপদ পূরণ করুন
যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে প্রতিবেশী ভারত যেখানে রেলব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, সেখানে আমরা এই যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রতি ক্রমাগত অবহেলা ও উপেক্ষা দেখিয়ে আসছি, যা অগ্রহণযোগ্য। স্বাধীনতার পর রেলপথের রুট ও দৈর্ঘ্য দুটোই কমেছে। অভিযোগ আছে, বেসরকারি পরিবহন মালিকদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই বিভিন্ন রুটে রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেক জায়গায় এমনভাবে ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে মানুষ বাসযাত্রায়ই বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।
রেলওয়ে মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করে এটিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তটি ছিল মারাত্মক ভুল। শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সরকারের আমলে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর ধারণা করা গিয়েছিল, এই যোগাযোগ মাধ্যমটি হৃত গৌরব ফিরে পাবে। কিন্তু সাবেক রেলমন্ত্রী রেলওয়ের কালোবিড়াল ধরতে গিয়ে নিজেই এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে পদত্যাগে বাধ্য হন। নতুন মন্ত্রী এসে নানা কারণে পত্রিকার শিরোনাম হলেও রেলওয়ের কোনো উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না।
ঘুমানোর সময়ও নেই চালকদের!
হালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে লোকবল ও অবকাঠামোগত সমস্যা প্রকট রূপ নিয়েছে। পত্রিকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর আসে। গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পণ্যবাহী দুটি ট্রেনের চালককে একনাগাড়ে যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আগে যেখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাগত, এখন লাগে সাত ঘণ্টা।
আর পণ্যবাহী ট্রেনের পরিচালন সময়ও ১৪-১৫ ঘণ্টার স্থলে হয়েছে ২০-৩০ ঘণ্টা। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রেলওয়েতে মাস্টার পদে ১৭১টি, সাব লোকোমাস্টার পদে ৫৩টি এবং সহকারী লোকোমাস্টারের ৮৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদে অবিলম্বে দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ট্রেনচালকদের ঘুমানোর সময় দিতেই রেলওয়ের ঘুম ভাঙাতে হবে। তবে ফের যাতে রেলওয়েতে কালোবিড়াল আসন গেড়ে না বসতে পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
রেলওয়ে মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করে এটিকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্তটি ছিল মারাত্মক ভুল। শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সরকারের আমলে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর ধারণা করা গিয়েছিল, এই যোগাযোগ মাধ্যমটি হৃত গৌরব ফিরে পাবে। কিন্তু সাবেক রেলমন্ত্রী রেলওয়ের কালোবিড়াল ধরতে গিয়ে নিজেই এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে পদত্যাগে বাধ্য হন। নতুন মন্ত্রী এসে নানা কারণে পত্রিকার শিরোনাম হলেও রেলওয়ের কোনো উন্নতি হয়েছে বলা যাবে না।
ঘুমানোর সময়ও নেই চালকদের!
হালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে লোকবল ও অবকাঠামোগত সমস্যা প্রকট রূপ নিয়েছে। পত্রিকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর আসে। গতকাল প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে পণ্যবাহী দুটি ট্রেনের চালককে একনাগাড়ে যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আগে যেখানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লাগত, এখন লাগে সাত ঘণ্টা।
আর পণ্যবাহী ট্রেনের পরিচালন সময়ও ১৪-১৫ ঘণ্টার স্থলে হয়েছে ২০-৩০ ঘণ্টা। পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রেলওয়েতে মাস্টার পদে ১৭১টি, সাব লোকোমাস্টার পদে ৫৩টি এবং সহকারী লোকোমাস্টারের ৮৮টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদে অবিলম্বে দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন। অন্যথায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ট্রেনচালকদের ঘুমানোর সময় দিতেই রেলওয়ের ঘুম ভাঙাতে হবে। তবে ফের যাতে রেলওয়েতে কালোবিড়াল আসন গেড়ে না বসতে পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
No comments