দ. চীন সাগরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ইঁদুর-বিড়াল খেলা
দক্ষিণ
চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ জলসীমায় চীনের তৈরি করা একটি কৃত্রিম দ্বীপের কাছে
একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার এই যুদ্ধজাহাজটি কৃত্রিম দ্বীপটির ১২
নটিক্যাল মাইলের মধ্য দিয়ে টহল দিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই এলাকাটির উপর
চীনের একচ্ছত্র মালিকানার দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য সেখানে মার্কিন
জাহাজ পাঠানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটনের মতে, আন্তর্জাতিক
নৌ-সীমায় যে কোনো জায়গায় জাহাজ চলাচলের অধিকার (ফ্রিডম অব নেভিগেশন)
যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের এই এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত
সমুদ্র-বাণিজ্যপথগুলোর মধ্যে অন্যতম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্যার্টলি দ্বীপমালার সুবি ও মিসচিফ শৈলশ্রেণীর কাছ দিয়ে ইউএসএস লাসেন জাহাজটি টহল দিয়েছে। সুবি ও মিসচিফ শৈলশ্রেণী পূর্ণ জোয়ারের সময় ডুবে যেত। কিন্তু ২০১৪ সালে চীন বালু ফেলে এই শৈলশ্রেণী দুটিকে দ্বীপে পরিণত করেছে।
জাহাজটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পি-৮এ নজরদারি বিমান ও পি-৩ নজরদারি বিমানও থাকতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছেন দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
কৃত্রিম এই দ্বীপ দুটির চারদিকের ১২ নটিক্যাল মাইল এলাকাকে চীন তার জলসীমা বলে দাবি করছে। ওই সীমার ভেতরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের টহল চীনা দাবির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে নজরে রাখছে। তিনি বলেন, চীন সরকারের অনুমতি ছাড়াই ইউএসএস লাসেন অবৈধভাবে চীনা নৌ-সীমায় ঢুকেছে। এটা চীনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। যে কোনো দেশের উদ্দেশ্যমূলক উসকানির কঠোর জবাব দেবে বেইজিং। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রতি হুমকিমূলক কোনো তৎপরতা চীন মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে দক্ষিণ চীন সাগরের নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুততর করতে বাধ্য হবে বেইজিং। ওয়াশিংটনের চীনা দূতবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, পেশি প্রদর্শনীর অজুহাত হিসেবে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ ব্যবহার করা উচিত নয়।
ফ্রিডম অব নেভিগেশন কী : দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ পরিভাষাটি সবসময় উচ্চারিত হয়। এর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা ও আকাশসীমায় জাহাজ ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতাকে বোঝায়।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে চীন, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ অপারেশন জোরদার করে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন (১৯৮২) অনুযায়ী, কোনো দেশ তার প্রাকৃতিক উপকূলীয় সীমান্ত থেকে ১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি জলসীমার মালিক হবে না। মানবসৃষ্ট কৃত্রিম উপকূল থেকে এ মালিকানা কার্যকর হবে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো জাতিসংঘের এই আইনটি অনুমোদন করেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্যার্টলি দ্বীপমালার সুবি ও মিসচিফ শৈলশ্রেণীর কাছ দিয়ে ইউএসএস লাসেন জাহাজটি টহল দিয়েছে। সুবি ও মিসচিফ শৈলশ্রেণী পূর্ণ জোয়ারের সময় ডুবে যেত। কিন্তু ২০১৪ সালে চীন বালু ফেলে এই শৈলশ্রেণী দুটিকে দ্বীপে পরিণত করেছে।
জাহাজটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পি-৮এ নজরদারি বিমান ও পি-৩ নজরদারি বিমানও থাকতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছেন দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
কৃত্রিম এই দ্বীপ দুটির চারদিকের ১২ নটিক্যাল মাইল এলাকাকে চীন তার জলসীমা বলে দাবি করছে। ওই সীমার ভেতরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের টহল চীনা দাবির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এদিকে, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেইজিং। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে নজরে রাখছে। তিনি বলেন, চীন সরকারের অনুমতি ছাড়াই ইউএসএস লাসেন অবৈধভাবে চীনা নৌ-সীমায় ঢুকেছে। এটা চীনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। যে কোনো দেশের উদ্দেশ্যমূলক উসকানির কঠোর জবাব দেবে বেইজিং। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রতি হুমকিমূলক কোনো তৎপরতা চীন মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে দক্ষিণ চীন সাগরের নির্মাণ কর্মসূচি দ্রুততর করতে বাধ্য হবে বেইজিং। ওয়াশিংটনের চীনা দূতবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, পেশি প্রদর্শনীর অজুহাত হিসেবে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ ব্যবহার করা উচিত নয়।
ফ্রিডম অব নেভিগেশন কী : দক্ষিণ চীন সাগরের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ পরিভাষাটি সবসময় উচ্চারিত হয়। এর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা ও আকাশসীমায় জাহাজ ও বিমান চলাচলের স্বাধীনতাকে বোঝায়।
২০১৩ ও ২০১৪ সালে চীন, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম অব নেভিগেশন’ অপারেশন জোরদার করে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন (১৯৮২) অনুযায়ী, কোনো দেশ তার প্রাকৃতিক উপকূলীয় সীমান্ত থেকে ১২ নটিক্যাল মাইলের বেশি জলসীমার মালিক হবে না। মানবসৃষ্ট কৃত্রিম উপকূল থেকে এ মালিকানা কার্যকর হবে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো জাতিসংঘের এই আইনটি অনুমোদন করেনি।
No comments