পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে প্রাণান্তকর উদ্ধার চেষ্টা
আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের কাশিম জেলায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ব্যবহারের উপযোগী জিনিসপত্র খুঁজছেন দুই ব্যক্তি। গত সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্প তাঁদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। ছবি: রয়টার্স |
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে গতকাল মঙ্গলবার জোর তৎপরতা শুরু করেছেন উদ্ধারকারীরা। সোমবারের ওই শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে ৩৬৩ জনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে, তার মধ্যে পাকিস্তানেরই ২৪৮ জন। খবর এএফপি ও ডনের। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কারণ, ভূমিকম্পের ফলে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে ভবন ধস হয়েছে ও যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে ভূমিধস ও পদদলনের ঘটনার খবর দিয়েছে উদ্ধারকারী দলগুলো।পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, খোয়িস্তান জেলার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গতকালও তাঁরা যোগাযোগ করতে সক্ষম হননি। তাই প্রায় পাঁচ লাখ জনসংখ্যার এই প্রত্যন্ত জনপদে কী ঘটেছে, তা জানা যাচ্ছে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘খোয়িস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উপায় নেই। যোগাযোগব্যবস্থাগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছে। আবার রাস্তাগুলোও অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমরা তার কিছুই বলতে পারব না।’
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিত্রালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতেও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চিত্রালের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভূমিকম্পে সেখানকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কমবেশি ৮০ হাজার লোক এখন নিরাপদ পানি পাচ্ছে না। এখন আমরা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর ওপরেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’ অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও সরকারি কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতায় লেগে পড়েছে। তারা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা যে হিসাব দিয়েছে, সে অনুযায়ী গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পের ফলে শুধু পাকিস্তানেই মৃতের সংখ্যা ছিল ২৪৮। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই (কেপি) প্রাণ হারিয়েছে ২০২ জন। এর বাইরে গিলগিট বালতিস্তানে নয়জন, কেন্দ্রশাসিত উপজাতি অঞ্চলে (এফএটিএ) ৩০ জন, পাঞ্জাবে পাঁচজন এবং পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দুজন রয়েছে। আর এসব এলাকায় আহতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৫ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন। তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের শাংলা জেলায় পরিদর্শনে যান। এদিকে আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সোমবারের ভূমিকম্পে ১১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ছয়টি থেকে হতাহতের খবর এসেছে।
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিত্রালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতেও হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চিত্রালের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভূমিকম্পে সেখানকার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কমবেশি ৮০ হাজার লোক এখন নিরাপদ পানি পাচ্ছে না। এখন আমরা পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর ওপরেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’ অন্যান্য প্রত্যন্ত এলাকায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিসহ স্থানীয় বাসিন্দারাও সরকারি কর্মীদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতায় লেগে পড়েছে। তারা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ডন পত্রিকা যে হিসাব দিয়েছে, সে অনুযায়ী গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পের ফলে শুধু পাকিস্তানেই মৃতের সংখ্যা ছিল ২৪৮। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেই (কেপি) প্রাণ হারিয়েছে ২০২ জন। এর বাইরে গিলগিট বালতিস্তানে নয়জন, কেন্দ্রশাসিত উপজাতি অঞ্চলে (এফএটিএ) ৩০ জন, পাঞ্জাবে পাঁচজন এবং পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দুজন রয়েছে। আর এসব এলাকায় আহতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৫ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে চার হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন। তিনি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের শাংলা জেলায় পরিদর্শনে যান। এদিকে আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সোমবারের ভূমিকম্পে ১১৫ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছেন। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ছয়টি থেকে হতাহতের খবর এসেছে।
No comments