তাবেলা হত্যা রহস্যে বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি: ৩জনের আট দিনের রিমান্ড ১জনের জবানবন্দি
ইটালির
নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে
ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি উদ্ধারের দাবি করেছে৷ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন,
‘‘আটকরা ভাড়াটে কিলার, তারা এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে হত্যা করেছে৷
যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা হলো – সাখওয়াত হোসেন শরীফ, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আবেদীন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ও তামজীর আহমেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল৷ এদের মধ্যে চাক্কি রাসেল, ভাগ্নে রাসেল ও রুবেল সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে দাবি করছে পুলিশ৷ এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি শরীফ-এর বলে জানায় পুলিশ৷ তবে সংবাদ সম্মেলনে আটকদের কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ এমনকি সাংবাদিকদেরও তাদের কোনো প্রশ্ন করতে দেয়া হয়নিয
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেন, ‘‘সিসিটিভি-র ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে এই চারজনকে আটক এবং মটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে লাল মটর সাইকেল থাকলেও, উদ্ধা করা মটর বাইকটি লাল নয়, সিলভার রঙের৷
এদিকে আটকদের সোমবার সাংবাদিকদের সামনে আনা হলেও তাদের অন্তত একজনের পরিবার দাবি করেছে যে, তাকে আদতে ১০ থেকে ১১ দিন আগে আটক করা হয়৷ এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এটা ঠিক নয়, আমরা তাদের গত রাতেই আটক করেছি৷
পুলিশের দাবি, সিসিটিভি-র ফুটেজে যাদের দেখা গেছে আটকদের মধ্যে তাদের তিনজন আছে৷ তারা হলো, ‘‘চাক্কি রাসেল, ভাগ্নে রাসেল ও তামজীর আহমেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল৷
মামলার তদন্তকারীদের একজন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, ‘‘এই তিনজনের চেহারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ এছাড়া আমরা তাদের আটক করেছি মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে৷ তাই তাদের আগে আটকের কথা ঠিক নয়৷ এরা পালিয়ে থাকায় তাদের পরিবারই হয়ত এ কথা ছড়িয়েছে৷
মোটর সাইকেলের রঙের সঙ্গে মিল না পাওয়া যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, আটক মটর সাইকেলটিই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে৷ রঙের বিষয় নিয়ে ভাবছি না৷
ওদিকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবশ্য এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ৷ এ ব্যাপারে মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করবো৷
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার নেতা নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আটক মটর সাইকেলটি আসলেই সিসিটিভিতে দেখা মটর সাইকেল কিনা – তা নিয়ে আরো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন৷ এছাড়া যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরই সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গেছে কিনা – সেটা নিশ্চিত করতে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ধাপ সম্পন্ন করতে হবে৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই মামলাটির তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ তাছাড়া সব কিছু নিশ্চিত হতে তদন্তকারীদেরও আরো সময় দিতে হবে৷
পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘‘যারা ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ব্যাপক সহিংসতা চলিয়েছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আছে৷ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর কোনো সম্পৃক্ততা নাই৷
প্রসঙ্গত, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে তাবেলা সিজারকে গুলি কওে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷
সুত্র- dw বাংলা
যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা হলো – সাখওয়াত হোসেন শরীফ, রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কি রাসেল, মিনহাজুল আবেদীন রাসেল ওরফে ভাগ্নে রাসেল ও তামজীর আহমেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল৷ এদের মধ্যে চাক্কি রাসেল, ভাগ্নে রাসেল ও রুবেল সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে দাবি করছে পুলিশ৷ এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি শরীফ-এর বলে জানায় পুলিশ৷ তবে সংবাদ সম্মেলনে আটকদের কোনো কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ এমনকি সাংবাদিকদেরও তাদের কোনো প্রশ্ন করতে দেয়া হয়নিয
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেন, ‘‘সিসিটিভি-র ফুটেজ এবং গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে এই চারজনকে আটক এবং মটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে লাল মটর সাইকেল থাকলেও, উদ্ধা করা মটর বাইকটি লাল নয়, সিলভার রঙের৷
এদিকে আটকদের সোমবার সাংবাদিকদের সামনে আনা হলেও তাদের অন্তত একজনের পরিবার দাবি করেছে যে, তাকে আদতে ১০ থেকে ১১ দিন আগে আটক করা হয়৷ এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এটা ঠিক নয়, আমরা তাদের গত রাতেই আটক করেছি৷
পুলিশের দাবি, সিসিটিভি-র ফুটেজে যাদের দেখা গেছে আটকদের মধ্যে তাদের তিনজন আছে৷ তারা হলো, ‘‘চাক্কি রাসেল, ভাগ্নে রাসেল ও তামজীর আহমেদ রুবেল ওরফে শুটার রুবেল৷
মামলার তদন্তকারীদের একজন গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, ‘‘এই তিনজনের চেহারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি৷ এছাড়া আমরা তাদের আটক করেছি মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে৷ তাই তাদের আগে আটকের কথা ঠিক নয়৷ এরা পালিয়ে থাকায় তাদের পরিবারই হয়ত এ কথা ছড়িয়েছে৷
মোটর সাইকেলের রঙের সঙ্গে মিল না পাওয়া যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, আটক মটর সাইকেলটিই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে৷ রঙের বিষয় নিয়ে ভাবছি না৷
ওদিকে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবশ্য এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ৷ এ ব্যাপারে মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করবো৷
এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার নেতা নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আটক মটর সাইকেলটি আসলেই সিসিটিভিতে দেখা মটর সাইকেল কিনা – তা নিয়ে আরো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন৷ এছাড়া যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরই সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গেছে কিনা – সেটা নিশ্চিত করতে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ধাপ সম্পন্ন করতে হবে৷
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই মামলাটির তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে৷ তাছাড়া সব কিছু নিশ্চিত হতে তদন্তকারীদেরও আরো সময় দিতে হবে৷
পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘‘যারা ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ব্যাপক সহিংসতা চলিয়েছে, তারাই এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আছে৷ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর কোনো সম্পৃক্ততা নাই৷
প্রসঙ্গত, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে তাবেলা সিজারকে গুলি কওে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷
সুত্র- dw বাংলা
তাবেলা হত্যায় ৩জনের আট দিনের রিমান্ড ১জনের জবানবন্দি
রাজধানীর
কূটনৈতিক পাড়ায় ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি
করেছে পুলিশ। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে আটকের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন।
পুলিশের দাবি, সরকারকে চাপে ফেলতে কথিত এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে তিন ভাড়াটে
কিলার তাভেলা সিজারকে হত্যা করে। তাদের নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির ওপর
টার্গেট ছিল না। শ্বেতাঙ্গ বিদেশী কোনও নাগরিককে হত্যার জন্য নির্দেশনা
দেয়া হয়েছিল তাদের। পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার
করেছে। তবে হত্যার অন্যতম প্রধান উপকরণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ কমিশনারের ভাষ্য, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তিন কিলার এই
হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যার অর্ধেক টাকা হত্যার আগেই নিয়েছে তারা। বাকি টাকা
হত্যাকাণ্ডের পরে নেয়ার কথা ছিল। কমিশনারের দাবি, বাংলাদেশে বিদেশীরা
নিরাপদ নয় এই ইস্যুতে সরকারকে চাপে ফেলতে একজন বিদেশী নাগরিককে হত্যার
পরিকল্পনা ছিল। এই হত্যাকাণ্ড দেশীয় ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও
জঙ্গি গোষ্ঠী জড়িত নয়। কথিত বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কিনা জানতে
চাইলে কমিশনার বলেন, বছরের শুরুতে যারা ‘মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে’, তারা এ
ঘটনায় যুক্ত কি না- তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে গ্রেপ্তারকৃত চার যুবককে মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ভিডিও চিত্র ধারণ করতে দেয়া হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপরাধের ধরন, প্রকৃতি বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে একটি ধারাবাহিক তদন্ত করে এই ঘটনার রহস্য এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। গতকাল ডিবির একাধিক টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কী রাসেলকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি মিনহাজুল আবেদীন রাসেল ওরফে ভাইগ্না রাসেল ওরফে কালা রাসেলকে বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকা থেকে, তামজিদ আহমেদ রুবেল ওরফে মোবাইল রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেলকে বাড্ডার একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভাইগ্না রাসেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতো ঘটনায় ব্যবহৃত এফজেডএস মোটরসাইকেলটি মধ্য বাড্ডার ট-১১৯ নম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলের মালিক সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারের পর আমরা চারজনকে আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ জানায়, কালা রাসেল তাকে অনুরোধ করেছিল যে ‘আমাদের একটা অপারেশন আছে আপনার মোটরসাইকেলটি আমাদের দিতে হবে।’ তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকার কারণে শরীফ মোটরসাইকেলটি দেয়। সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ভাইগ্না রাসেল রাতে তা ফেরত দেয়।
কমিশনারের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃত দুই রাসেলই মাদকাসক্ত। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং কারাভোগ করেছে। তামজিদ আহমেদ রুবেল একজন দুর্ধর্ষ এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পরিচিত। তার ক্রিমিনাল রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে। আর মোটরসাইকেলের মালিক সাখাওয়াত হোসেন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্র সরবরাহে যুক্ত বলে আমরা তথ্য প্রমাণ পেয়েছি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই রাসেল ও রুবেল জানিয়েছে, ঘটনার দিন চাক্কী রাসেল ৯০ নম্বর রোডের পূর্ব দিকে সিটি করপোরেশন অফিসের সামনে সে অপেক্ষা করে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন বিদেশীকে হত্যা করার জন্য। পরবর্তীতে ভাইগ্না রাসেল ও শুট্যার রুবেল একই জায়গা দিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে গিয়ে পূর্বে অপেক্ষমাণ রাসেলের সঙ্গে একত্রিত হয়। যখন তাভেলা সিজার ৯০ নম্বর রোডের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আসে তারা দেখে একজন বিদেশী আসছে, তখন রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কী রাসেল ও শ্যুটার রুবেলকে দেখিয়ে দেয়। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বিদেশীকে ফলো করে। তারা ৯০ নম্বর সড়কের মাথায় গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে ব্যাক করে আসে। এর মধ্যে যখনি তাভেলা সিজার সড়কের পশ্চিম মাথার দিকে চলে যায় তখন তামজিদ আহমেদ রুবেল ওরফে শুট্যার রুবেল তাভেলা সিজারকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি করার পরপরই তাভেলা যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, তখনই রুবেল দৌড়ে গিয়ে ৮৩ রোডের সংযোগস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
কমিশনার বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে ঘটনার তদন্ত করি। আমরা প্রযুক্তির সাহায্য নেই, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নেই, এরপর আমরা যখন খুনিদের নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করি তখনই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, একজন কথিত ‘বড় ভাই’ তাদেরকে একজন বিদেশীকে খুন করতে বলেছে। সেজন্যে তাদের টাকা দেয়া হবে। নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে এই তিনজন ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ও পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুনের এই কাজটি তারা করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আরও জানিয়েছে, যে টাকা চুক্তি হয়েছে তার অর্ধেক টাকা ঘটনার আগেই দেয়া হয়েছে, বাকি অর্ধেক টাকা ঘটনার পর দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এখনও দেয়া হয়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতা দেখে তারা পলাতক অবস্থায় ছিল। কমিশনার বলেন, আমরা তাদের প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই অন্তে, আমরা সেই কথিত বড় ভাইকে খুঁজছি। এবং তার অস্তিত্বকে আমরা শনাক্ত করছি এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি এই ঘটনার কি মোটিভ এবং বড় ভাইয়ের পেছনে আরও মদতদাতা কারা, বেনিফিশিয়ারি কারা সেই বিষয়গুলি আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের পর এর ব্যালাস্টিক পরীক্ষার পর তা আদালতে উপস্থাপন করবো।
টার্গেটেট খুন কিনা এবং কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটি কোনও টার্গেটেট খুন ছিল না, এটি ছিল বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং বিদেশী একজন নাগরিককে বাংলাদেশে খুন করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা। এবং সরকারকে চাপে ফেলা, বেকায়দায় ফেলা। বিদেশী নাগরিককে বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন পিপল বাংলাদেশে নিরাপদ নয় এটি প্রমাণ করতে, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলার অপকৌশল হিসেবে এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। কমিশনার বলেন, টাকার অঙ্ক তিনজনের মধ্যে গরমিল রয়েছে। তিনজন তিন রকম কথা বলছে। আমরা ফিক্সড অ্যামাউন্টটা জানার চেষ্টা করছি। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে আনলে আমরা সব বিষয়ে জানতে পারবো।
এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা কিংবা কথিত সেই বড় ভাইয়ের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এই মামলায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনও ধরনের ন্যূনতম আলামত তথ্য প্রমাণ সাক্ষ্য আমরা পাইনি। আইএস এই কাজটি করেছে বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে তা ব্যাপকভাবে খোঁজ-খবর নিয়েছি। কিন্তু আমাদের তথ্য প্রমাণে তা অথেনটিক ছিল না। আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য আইএস নাটক সাজানো হয়েছে। কমিশনার বলেন, আমি আরও বলতে চাই, হোসনি দালানে যে বোমা হামলা হয়েছে সেখানেও কিন্তু আইএসের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে, সরকারকে চাপে ফেলে তাদের অন্যায় এবং অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য আইএসের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতদের গত ১০ তারিখে বাসা থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আপনার তথ্যটা তথ্য নির্ভর নয়। ঘটনার পর থেকেই আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা খুনিদের শনাক্ত করে তাদের ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একাধিক টিম রাত-দিন কাজ করেছে। পুলিশের তৎপরতায় হয়তো তারা পলাতক থাকতে পারে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নাও করতে পারে। আমরা গতকালই তাদের গ্রেপ্তার করেছি।
কথিত বড় ভাইয়ের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের গ্রেপ্তার করেছি। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আমরা নিশ্চিত না হয়ে একটা পেশাদার বাহিনী হিসেবে এটা বলা সমীচীন হবে না। তবে কথিত বড় ভাইয়ের তথ্যাদি আমরা পেয়েছি। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরই তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের আগেই এই অভিযানকে সফল বলা যাবে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, যেহেতু আমরা ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পেরেছি, সুতরাং অবশ্যই আমাদের সফলতা আছে। অস্ত্রটি কার কাছে কোথায় আছে সেই সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। অস্ত্রটি যার কাছে আছে তাকে খুুঁজে বের করে অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।
কমিশনার বলেন, যারা বাংলাদেশকে অনিরাপদ করতে চায়, যারা বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে সরকারকে চাপে ফেলতে চায়, তারা কারা- আপনি-আমি সবাই জানি। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত যারা অবরোধের নামে মানুষ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বিচারে মানুষ মেরেছে, তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রমাণ পেলেই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে যা পেয়েছি তাতে বলা যায়, তাদের টার্গেট তাভেলা সিজার ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল যে কোনও একজন হোয়াইট কালার ফরেনার। কারণ তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে, তাদের বড় ভাইয়ের নির্দেশ ছিল বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকরা সেইফ না। এটা প্রমাণ করলেই সরকারকে চাপে ফেলা যাবে এবং তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা যাবে। সুতরাং তাভেলা সিজার তাদের টার্গেট ছিল না তাদের টার্গেট ছিল বিদেশী একজন সাদা চামড়ার নাগরিক।
বিদেশী হত্যা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিকদের নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তদন্তে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমাদের তদন্তে কোনও রকম প্রভাব ফেলবে না। রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা পেশাদার পুলিশ বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমি বারবার বলেছি, কোনও অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে একজন পেশাদার পুলিশ অফিসার হিসেবে সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। কিন্তু তারা যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত হয়েছি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে, সেকেন্ডলি তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, থার্ডলি তাদের দেখানো মতে ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করায়। যিনি মোটরসাইকেল মালিক তিনিও বলেছেন যে একটা অপারেশনের জন্য তারা মোটরসাইকেল নিয়েছিল। সকালে নিয়ে সেটা রাতে ফেরতও দেয়। কথিত বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করার পর বাকি লিঙ্কআপ কাদের তা বের করতে পারবো। কমিশনার বলেন, আমরা অনুমান নির্ভর কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমরা অকাট্য প্রমাণ ছাড়া আমরা বলিনি। তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগসূত্র নেই। ওটি আলাদা একটি গ্রুপ। আর এএসআই ইব্রাহীম ও হোসনি দালানের ঘটনা একই বলে বস্তুগত প্রমাণ রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, বড় ভাইকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি তা নয়, বড় ভাইকে আমরা শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই বাকি তাদের উদ্দেশ্য জানতে পারবো। এই ঘটনার পর আমরা গুলশান-বনানী-বারিধারা ছাড়াও গোটা ঢাকা শহরে সিকিউরিটি ঢেলে সাজিয়েছি। আমি বলতে পারি, গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় কেউ যদি অপরাধ করে, দুই মিনিটের নোটিশে পুরো এলাকা ব্লক করে তল্লাশির আওতায় আনতে পারবো। ফরেনাররা যেখানে থাকে, যায় সব জায়গাতেই ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়েছি।
আইএসের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমেরিকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের বিষয়টি প্রকাশ করে। আমরা ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছি। আইএস কোনও গোপন জায়গা থেকে তথ্য প্রকাশ করে না। তাদের তথ্য ওপেন থাকে। তাদের কোনও সাইটে সিজার তাভেলার বিষয়টি উল্লেখ করেছে বলে পাওয়া যায়নি। মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়াদের গ্রেপ্তার করেছি। এদের মাস্টারমাইন্ডদের ধরতে পারলে আইএসের বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সিজার আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।
৩ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড, ১ জনের স্বীকারোক্তি
এদিকে আমাদের কোর্ট রিপোর্টার জানিয়েছে, ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জিহাদ হোসেন ৩ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এই তিনজন হলেন, রাসেল ওরফে ভাইগ্না রাসেল, মিনহাজ রাসেল ওরফে চাক্কী রাসেল, ও সাখাওয়াত হোসেন শরীফ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমানের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে শুট্যার রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে গ্রেপ্তারকৃত চার যুবককে মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের ভিডিও চিত্র ধারণ করতে দেয়া হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপরাধের ধরন, প্রকৃতি বিশ্লেষণ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে একটি ধারাবাহিক তদন্ত করে এই ঘটনার রহস্য এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। গতকাল ডিবির একাধিক টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কী রাসেলকে গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামি মিনহাজুল আবেদীন রাসেল ওরফে ভাইগ্না রাসেল ওরফে কালা রাসেলকে বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকা থেকে, তামজিদ আহমেদ রুবেল ওরফে মোবাইল রুবেল ওরফে শ্যুটার রুবেলকে বাড্ডার একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভাইগ্না রাসেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতো ঘটনায় ব্যবহৃত এফজেডএস মোটরসাইকেলটি মধ্য বাড্ডার ট-১১৯ নম্বর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলের মালিক সাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তারের পর আমরা চারজনকে আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ জানায়, কালা রাসেল তাকে অনুরোধ করেছিল যে ‘আমাদের একটা অপারেশন আছে আপনার মোটরসাইকেলটি আমাদের দিতে হবে।’ তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকার কারণে শরীফ মোটরসাইকেলটি দেয়। সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে ভাইগ্না রাসেল রাতে তা ফেরত দেয়।
কমিশনারের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃত দুই রাসেলই মাদকাসক্ত। তারা বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং কারাভোগ করেছে। তামজিদ আহমেদ রুবেল একজন দুর্ধর্ষ এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবে পরিচিত। তার ক্রিমিনাল রেকর্ড আমাদের হাতে রয়েছে। আর মোটরসাইকেলের মালিক সাখাওয়াত হোসেন এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্র সরবরাহে যুক্ত বলে আমরা তথ্য প্রমাণ পেয়েছি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই রাসেল ও রুবেল জানিয়েছে, ঘটনার দিন চাক্কী রাসেল ৯০ নম্বর রোডের পূর্ব দিকে সিটি করপোরেশন অফিসের সামনে সে অপেক্ষা করে তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন বিদেশীকে হত্যা করার জন্য। পরবর্তীতে ভাইগ্না রাসেল ও শুট্যার রুবেল একই জায়গা দিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে গিয়ে পূর্বে অপেক্ষমাণ রাসেলের সঙ্গে একত্রিত হয়। যখন তাভেলা সিজার ৯০ নম্বর রোডের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে আসে তারা দেখে একজন বিদেশী আসছে, তখন রাসেল চৌধুরী ওরফে চাক্কী রাসেল ও শ্যুটার রুবেলকে দেখিয়ে দেয়। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বিদেশীকে ফলো করে। তারা ৯০ নম্বর সড়কের মাথায় গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে ব্যাক করে আসে। এর মধ্যে যখনি তাভেলা সিজার সড়কের পশ্চিম মাথার দিকে চলে যায় তখন তামজিদ আহমেদ রুবেল ওরফে শুট্যার রুবেল তাভেলা সিজারকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলি করার পরপরই তাভেলা যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, তখনই রুবেল দৌড়ে গিয়ে ৮৩ রোডের সংযোগস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
কমিশনার বলেন, আমরা ব্যাপকভাবে ঘটনার তদন্ত করি। আমরা প্রযুক্তির সাহায্য নেই, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্য নেই, এরপর আমরা যখন খুনিদের নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করি তখনই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, একজন কথিত ‘বড় ভাই’ তাদেরকে একজন বিদেশীকে খুন করতে বলেছে। সেজন্যে তাদের টাকা দেয়া হবে। নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে এই তিনজন ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ও পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খুনের এই কাজটি তারা করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আরও জানিয়েছে, যে টাকা চুক্তি হয়েছে তার অর্ধেক টাকা ঘটনার আগেই দেয়া হয়েছে, বাকি অর্ধেক টাকা ঘটনার পর দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এখনও দেয়া হয়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশের তৎপরতা দেখে তারা পলাতক অবস্থায় ছিল। কমিশনার বলেন, আমরা তাদের প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই অন্তে, আমরা সেই কথিত বড় ভাইকে খুঁজছি। এবং তার অস্তিত্বকে আমরা শনাক্ত করছি এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি এই ঘটনার কি মোটিভ এবং বড় ভাইয়ের পেছনে আরও মদতদাতা কারা, বেনিফিশিয়ারি কারা সেই বিষয়গুলি আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি। এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের পর এর ব্যালাস্টিক পরীক্ষার পর তা আদালতে উপস্থাপন করবো।
টার্গেটেট খুন কিনা এবং কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এটি কোনও টার্গেটেট খুন ছিল না, এটি ছিল বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং বিদেশী একজন নাগরিককে বাংলাদেশে খুন করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা। এবং সরকারকে চাপে ফেলা, বেকায়দায় ফেলা। বিদেশী নাগরিককে বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন পিপল বাংলাদেশে নিরাপদ নয় এটি প্রমাণ করতে, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলার অপকৌশল হিসেবে এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। কমিশনার বলেন, টাকার অঙ্ক তিনজনের মধ্যে গরমিল রয়েছে। তিনজন তিন রকম কথা বলছে। আমরা ফিক্সড অ্যামাউন্টটা জানার চেষ্টা করছি। তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে আনলে আমরা সব বিষয়ে জানতে পারবো।
এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা কিংবা কথিত সেই বড় ভাইয়ের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এই মামলায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার কোনও ধরনের ন্যূনতম আলামত তথ্য প্রমাণ সাক্ষ্য আমরা পাইনি। আইএস এই কাজটি করেছে বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে তা ব্যাপকভাবে খোঁজ-খবর নিয়েছি। কিন্তু আমাদের তথ্য প্রমাণে তা অথেনটিক ছিল না। আমরা মনে করি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য আইএস নাটক সাজানো হয়েছে। কমিশনার বলেন, আমি আরও বলতে চাই, হোসনি দালানে যে বোমা হামলা হয়েছে সেখানেও কিন্তু আইএসের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে, সরকারকে চাপে ফেলে তাদের অন্যায় এবং অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য আইএসের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতদের গত ১০ তারিখে বাসা থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আপনার তথ্যটা তথ্য নির্ভর নয়। ঘটনার পর থেকেই আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা খুনিদের শনাক্ত করে তাদের ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একাধিক টিম রাত-দিন কাজ করেছে। পুলিশের তৎপরতায় হয়তো তারা পলাতক থাকতে পারে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নাও করতে পারে। আমরা গতকালই তাদের গ্রেপ্তার করেছি।
কথিত বড় ভাইয়ের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের গ্রেপ্তার করেছি। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আমরা নিশ্চিত না হয়ে একটা পেশাদার বাহিনী হিসেবে এটা বলা সমীচীন হবে না। তবে কথিত বড় ভাইয়ের তথ্যাদি আমরা পেয়েছি। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার পরই তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের আগেই এই অভিযানকে সফল বলা যাবে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, যেহেতু আমরা ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পেরেছি, সুতরাং অবশ্যই আমাদের সফলতা আছে। অস্ত্রটি কার কাছে কোথায় আছে সেই সম্পর্কেও আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। অস্ত্রটি যার কাছে আছে তাকে খুুঁজে বের করে অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে।
কমিশনার বলেন, যারা বাংলাদেশকে অনিরাপদ করতে চায়, যারা বিদেশী নাগরিককে হত্যা করে সরকারকে চাপে ফেলতে চায়, তারা কারা- আপনি-আমি সবাই জানি। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করে মার্চ মাস পর্যন্ত যারা অবরোধের নামে মানুষ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বিচারে মানুষ মেরেছে, তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। প্রমাণ পেলেই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে যা পেয়েছি তাতে বলা যায়, তাদের টার্গেট তাভেলা সিজার ছিল না, তাদের টার্গেট ছিল যে কোনও একজন হোয়াইট কালার ফরেনার। কারণ তারা প্রমাণ করতে চেয়েছে, তাদের বড় ভাইয়ের নির্দেশ ছিল বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকরা সেইফ না। এটা প্রমাণ করলেই সরকারকে চাপে ফেলা যাবে এবং তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা যাবে। সুতরাং তাভেলা সিজার তাদের টার্গেট ছিল না তাদের টার্গেট ছিল বিদেশী একজন সাদা চামড়ার নাগরিক।
বিদেশী হত্যা নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিকদের নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তদন্তে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমাদের তদন্তে কোনও রকম প্রভাব ফেলবে না। রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা পেশাদার পুলিশ বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমি বারবার বলেছি, কোনও অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে একজন পেশাদার পুলিশ অফিসার হিসেবে সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তাদের আমরা শনাক্ত করেছি। কিন্তু তারা যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত হয়েছি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে, সেকেন্ডলি তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, থার্ডলি তাদের দেখানো মতে ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করায়। যিনি মোটরসাইকেল মালিক তিনিও বলেছেন যে একটা অপারেশনের জন্য তারা মোটরসাইকেল নিয়েছিল। সকালে নিয়ে সেটা রাতে ফেরতও দেয়। কথিত বড় ভাইকে গ্রেপ্তার করার পর বাকি লিঙ্কআপ কাদের তা বের করতে পারবো। কমিশনার বলেন, আমরা অনুমান নির্ভর কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমরা অকাট্য প্রমাণ ছাড়া আমরা বলিনি। তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগসূত্র নেই। ওটি আলাদা একটি গ্রুপ। আর এএসআই ইব্রাহীম ও হোসনি দালানের ঘটনা একই বলে বস্তুগত প্রমাণ রয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, বড় ভাইকে আমরা শনাক্ত করতে পারিনি তা নয়, বড় ভাইকে আমরা শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই বাকি তাদের উদ্দেশ্য জানতে পারবো। এই ঘটনার পর আমরা গুলশান-বনানী-বারিধারা ছাড়াও গোটা ঢাকা শহরে সিকিউরিটি ঢেলে সাজিয়েছি। আমি বলতে পারি, গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় কেউ যদি অপরাধ করে, দুই মিনিটের নোটিশে পুরো এলাকা ব্লক করে তল্লাশির আওতায় আনতে পারবো। ফরেনাররা যেখানে থাকে, যায় সব জায়গাতেই ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়েছি।
আইএসের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আমেরিকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ আইএসের বিষয়টি প্রকাশ করে। আমরা ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছি। আইএস কোনও গোপন জায়গা থেকে তথ্য প্রকাশ করে না। তাদের তথ্য ওপেন থাকে। তাদের কোনও সাইটে সিজার তাভেলার বিষয়টি উল্লেখ করেছে বলে পাওয়া যায়নি। মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়াদের গ্রেপ্তার করেছি। এদের মাস্টারমাইন্ডদের ধরতে পারলে আইএসের বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সিজার আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন।
৩ আসামির ৮ দিনের রিমান্ড, ১ জনের স্বীকারোক্তি
এদিকে আমাদের কোর্ট রিপোর্টার জানিয়েছে, ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক জিহাদ হোসেন ৩ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এই তিনজন হলেন, রাসেল ওরফে ভাইগ্না রাসেল, মিনহাজ রাসেল ওরফে চাক্কী রাসেল, ও সাখাওয়াত হোসেন শরীফ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমানের আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে শুট্যার রুবেল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।
No comments