ব্যাংকের ভল্টে সীমার অতিরিক্ত টাকা না রাখার নির্দেশ
ব্যাংকগুলোর ভল্টে সীমার অতিরিক্ত টাকা না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি যেসব ব্যাংকের ভল্টে সীমার অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টিগ্রেটেড সুপারভিশন ম্যানেজমেন্ট সেল থেকে সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ভল্ট ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা অনুসরণপূর্বক বেঁধে দেয়া সীমার বাইরে অতিরিক্ত নগদ অর্থ না রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত নগদ অর্থ রাখার কারণে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বেঁধে দেয়া সীমার অতিরিক্ত অর্থ রাখা যে কোনো ব্যাংকের ভল্ট ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার শামিল। এছাড়া ভল্ট ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত একটি নীতিমালা আছে।
ওই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ভল্টে কত নগদ অর্থ রাখা যাবে, শাখার অতিরিক্ত অর্থ কোথায় রাখতে হবে তারও গাইডলাইন রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্টে সীমার বেশি অর্থ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে যশোরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ২১ লাখ টাকা লুট হয়। এর আগে চাঞ্চল্যকর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চুরি হয়। কিশোরগঞ্জের ঘটনার দেড় মাস পর সুড়ঙ্গ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে বগুড়ার আদমদীঘিতে। এছাড়া জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভল্ট থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভল্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়। ব্যাংকের ভল্ট ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ভল্টের নগদ অর্থ রাখার একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে। ওই সীমার বেশি অর্থ সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা হলে তা প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মেইন শাখায় (ওই শাখা যে আঞ্চলিক শাখার অধীনে কাজ করে) পাঠাতে হয়। সেখানকার ভল্টের সীমা অতিক্রম করলে ওই এলাকার বাংলাদেশ ব্যাংক অফিস অথবা সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় (বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবর্তে সোনালী ব্যাংকের যে শাখা কাজ করে) রাখতে হয়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সোনালী, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন ভল্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ রাখার ঘটনা বেশি ঘটছে। তারা যুগান্তরকে বলেছেন, এমনও দেখা গেছে, শাখার ভল্টের সীমা মাত্র এক লাখ টাকা। কিন্তু রাখা হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা।
ওই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ভল্টে কত নগদ অর্থ রাখা যাবে, শাখার অতিরিক্ত অর্থ কোথায় রাখতে হবে তারও গাইডলাইন রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংকের ভল্টে সীমার বেশি অর্থ রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে যশোরে অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ২১ লাখ টাকা লুট হয়। এর আগে চাঞ্চল্যকর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা চুরি হয়। কিশোরগঞ্জের ঘটনার দেড় মাস পর সুড়ঙ্গ কেটে চুরির ঘটনা ঘটে বগুড়ার আদমদীঘিতে। এছাড়া জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভল্ট থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ভল্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করতে সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয়া হয়। ব্যাংকের ভল্ট ব্যবস্থাপনা নীতিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ভল্টের নগদ অর্থ রাখার একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে। ওই সীমার বেশি অর্থ সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা হলে তা প্রথমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মেইন শাখায় (ওই শাখা যে আঞ্চলিক শাখার অধীনে কাজ করে) পাঠাতে হয়। সেখানকার ভল্টের সীমা অতিক্রম করলে ওই এলাকার বাংলাদেশ ব্যাংক অফিস অথবা সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় (বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিবর্তে সোনালী ব্যাংকের যে শাখা কাজ করে) রাখতে হয়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সোনালী, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন ভল্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ রাখার ঘটনা বেশি ঘটছে। তারা যুগান্তরকে বলেছেন, এমনও দেখা গেছে, শাখার ভল্টের সীমা মাত্র এক লাখ টাকা। কিন্তু রাখা হয়েছে ৫৭৬ কোটি টাকা।
No comments