বউ ভাগাভাগি পরামর্শে অধ্যাপক একঘরে!
দরিদ্র কয়েক পুরুষ মিলে একজন নারীকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন চীনের এক অধ্যাপক। এমনকি সামাজিকভাবেও অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছেন ওই অধ্যাপক। ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শি জৌশির দেয়া এ প্রস্তাবটিকে অনৈতিক, পুরুষকেন্দ্রিক এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য তৈরিকারী উল্লেখ করে চলছে সমালোচনা। সেসব সমালোচনার পাল্টা জবাবও দিচ্ছেন ওই অধ্যাপক। খবর বিবিসির। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লৈঙ্গিক অসমতার দেশগুলোর একটি চীন। দেশটিতে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ১১৮। এক সন্তান নীতি এবং ছেলে সন্তানের প্রতি সাংস্কৃতিক প্রাধান্যের কারণে এ অসমতা প্রবল হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এক নিবন্ধে জৌশি বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ চীনের ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি মানুষ অবিবাহিত থাকার আশংকা রয়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে নারী কম থাকায় এ সংকট তৈরি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পরে নিবন্ধটি সেখানকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই নিবন্ধে সংকট সমাধানে কয়েক পুরুষ মিলে এক নারীকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন জৌশি। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আয়ের পুরুষরা খুব সহজেই জীবনসঙ্গী খুঁজে পান। কিন্তু নিু আয়ের পুরুষদের কী হবে? এক্ষেত্রে কয়েকজন মিলে একজন স্ত্রী খোঁজার জন্য নেমে পড়তে পারেন। এটা কোনো আকাশ-কুসুম কল্পনার কথা আমি বলছি না। কিছু দুর্গম আর দরিদ্র এলাকায় সব ভাই মিলে এক নারীকে বিয়ে করার প্রবণতা আছে এবং তারা বেশ সুখে বসবাস করে।’ এদিকে চীনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত জৌশির সেই নিবন্ধটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা ও নারী অধিকার সংগঠনের নেতারা। এদিকে নিবন্ধ প্রকাশের পর নিজেও ক্ষুব্ধ ফোনকল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য পেয়েছেন বলে জানান জৌশি। তবে নিজের সে প্রস্তাবে এখনও অনড় আছেন বলে দাবি করেন তিনি। তার দাবি, দিশাহীন ওই ৩ কোটি অবিবাহিত পুরুষ ধর্ষণ, হত্যা, বোমা হামলা শুরু করে দিতে পারে।
No comments