শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদারের পর শুধু যাত্রীদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে -যুগান্তর |
নাশকতার
আশংকায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের
আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর
মধ্যে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর, সিলেটের ওসমানী ও রাজশাহীর শাহ
মখদুম বিমানবন্দর রয়েছে। নিরাপত্তা কড়াকড়ির অংশ হিসেবে বিমানবন্দরগুলোতে
দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এছাড়া যাত্রীদেরও ব্যাপক
তল্লাশির পর ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। শাহজালালের নিরাপত্তা বিভাগসহ, সিলেট ও
কয়েকটি বিমানবন্দরে কর্মরত সব ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা
হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে সব ধরনের সংস্কার কাজ বন্ধ করে
দেয়া হয়েছে। এ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই
সঙ্গে শাহজালালের ভেতরে অবস্থিত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বিমানের গ্রাউন্ড
হ্যান্ডেলিং ও কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট
স্টাফদেরও বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে বিমান
কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে বিমানের অন্য বিভাগ থেকে কর্মী এনে কার্গো
হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে লাগিয়েছে। রোববার রাত থেকে এই নিরাপত্তা জোরদার করা
হয়। পুলিশ বলছে, নাশকতার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়েছে। বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি দু’জন বিদেশী নাগরিক
হত্যা এবং আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হোসনি দালানে বোমা
হামলার প্রেক্ষাপটে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ বিষয়ে বলেন, শাহজালালে কোনো ধরনের এলার্ট জারি করা হয়নি। তারপরও কিছু পত্রিকা, টিভি ও অনলাইন মিডিয়া রেড এলার্ট জারির কথা জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিন্যস্ত করতে এবং সংস্কার ও মেরামত কাজ সম্পাদন করতে সাময়িকভাবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, শাহজালালসহ কোনো বিমানবন্দরেই রেড এলার্ট জারি করা হয়নি। তবে সর্বত্র সতর্কতাবস্থা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে। সবার নিজস্ব অথরিটি আছে। আমরাও তাদের ফলো করছি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান যুগান্তরকে জানান, রুটিন কাজ অনুযায়ী শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যদের অভ্যন্তরীণ তদারকি বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে সব ধরনের সংস্কার কাজে নিয়োজিত লোকজনের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা অফিসারদের সুপারভিশন বাড়ানো হয়েছে।
বিমানের সিকিউরিটি শাখার জেনারেল ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে বিমানের কার্গো শাখায় আর সিএন্ডএফ স্টাফদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো শাখায় বিমানের নিজস্ব জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে দর্শনার্থী কিংবা যাত্রীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের এখন আগের মতো টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রাজধানীজুড়েই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন বিমানবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ার কারণেই এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কতদিন বলবৎ থাকবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কয়েক সপ্তাহ আগে শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটে বোর্ডিং পাস ছাড়াই একজন নারী উঠে পড়েন। বিমান উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে বিষয়টি নজরে আসে এবং সেই নারীকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।
শাহ আমানতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রী ও যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনকেও সতর্ক দৃষ্টিতে রাখা হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. রিয়াজুল কবির বলেন, টার্মিনাল ভবনের গ্যালারি ও কনকর্ড হলে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা দর্শনার্থীদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য যুগান্তরকে বলেন, হোসনি দালানে বোমা হামলা, বিদেশী নাগরিক হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে।
ওসমানী বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা, কর্মীদের ছুটি বাতিল : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা নিশ্চিত করে জানান, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যা প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সোমবার সকালেও এ নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এটিকে রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবি করেন তিনি। ওসমানীতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি আসেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা ও সতর্কতা জোরদার করেছি।
সোমবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে যাত্রীদের ব্যাপকভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাতিল করা হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতার পরিকল্পনা করছে একটি গোষ্ঠী এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, বিমানবন্দর এলাকার বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার : রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সোমবার থেকে জোরদার করা হয়েছে। এর আগে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেখভাল করতেন সিভিল এভিয়েশনের সদস্যরা। সোমবার এর সঙ্গে যোগ হয় পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বলেন, সিভিল এভিয়েশনের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দর থেকে শুধু ঢাকা রুটে বিমান চলাচল করে।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ বিষয়ে বলেন, শাহজালালে কোনো ধরনের এলার্ট জারি করা হয়নি। তারপরও কিছু পত্রিকা, টিভি ও অনলাইন মিডিয়া রেড এলার্ট জারির কথা জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিন্যস্ত করতে এবং সংস্কার ও মেরামত কাজ সম্পাদন করতে সাময়িকভাবে দর্শনার্থীদের প্রবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, শাহজালালসহ কোনো বিমানবন্দরেই রেড এলার্ট জারি করা হয়নি। তবে সর্বত্র সতর্কতাবস্থা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে। সবার নিজস্ব অথরিটি আছে। আমরাও তাদের ফলো করছি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হাসান যুগান্তরকে জানান, রুটিন কাজ অনুযায়ী শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যদের অভ্যন্তরীণ তদারকি বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে সব ধরনের সংস্কার কাজে নিয়োজিত লোকজনের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা অফিসারদের সুপারভিশন বাড়ানো হয়েছে।
বিমানের সিকিউরিটি শাখার জেনারেল ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে বিমানের কার্গো শাখায় আর সিএন্ডএফ স্টাফদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো শাখায় বিমানের নিজস্ব জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে দর্শনার্থী কিংবা যাত্রীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের এখন আগের মতো টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। রাজধানীজুড়েই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন বিমানবন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হওয়ার কারণেই এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কতদিন বলবৎ থাকবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কয়েক সপ্তাহ আগে শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটে বোর্ডিং পাস ছাড়াই একজন নারী উঠে পড়েন। বিমান উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে বিষয়টি নজরে আসে এবং সেই নারীকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।
শাহ আমানতে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রী ও যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনকেও সতর্ক দৃষ্টিতে রাখা হয়েছে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. রিয়াজুল কবির বলেন, টার্মিনাল ভবনের গ্যালারি ও কনকর্ড হলে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের সঙ্গে থাকা দর্শনার্থীদের চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য যুগান্তরকে বলেন, হোসনি দালানে বোমা হামলা, বিদেশী নাগরিক হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে।
ওসমানী বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা, কর্মীদের ছুটি বাতিল : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা নিশ্চিত করে জানান, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যা প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সোমবার সকালেও এ নিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এটিকে রুটিন ওয়ার্ক বলে দাবি করেন তিনি। ওসমানীতে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি আসেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা ও সতর্কতা জোরদার করেছি।
সোমবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে যাত্রীদের ব্যাপকভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাতিল করা হয় বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরকেন্দ্রিক নাশকতার পরিকল্পনা করছে একটি গোষ্ঠী এমন তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, বিমানবন্দর এলাকার বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার : রাজশাহীর শাহমখদুম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সোমবার থেকে জোরদার করা হয়েছে। এর আগে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দেখভাল করতেন সিভিল এভিয়েশনের সদস্যরা। সোমবার এর সঙ্গে যোগ হয় পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান বলেন, সিভিল এভিয়েশনের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দর থেকে শুধু ঢাকা রুটে বিমান চলাচল করে।
No comments