দুর্ঘটনার কারণ এবং প্রতিকার by মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
স্বাধীনতা-উত্তর
বাংলাদেশে বিগত কয়েক দশকে অভ্যন্তরীণ স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক
উন্নতি হয়েছে এ কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। কিন্তু তাই বলে নৌপথের
গুরুত্ব মোটেও কমে যায়নি। নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের
ক্ষেত্রে নৌপথ এখনো অনেক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। যদিও ইতোমধ্যে
নৌপথ অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে তার পরও আমাদের নৌপথের দৈর্ঘ্য এখনো প্রায় ২৮
হাজার কিলোমিটার। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে, এই ২৮ হাজার কিলোমিটার নৌপথে প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে
প্রায় ৬০ হাজার নৌযান চলাচল করে থাকে। এত নৌযান যেহেতু এখনো চলছে সেহেতু এর
গুরুত্ব যে অবশ্যই ব্যাপক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেশের দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এখন সড়কপথে বহু যাত্রী যাতায়াত করলেও নৌপথের গুরুত্ব তাদের কাছে মোটেই কম নয়। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হলেও বিপুলসংখ্যক যাত্রী এখনো নৌপথে যাতায়াতেই আগ্রহী। যে ৬০ হাজার নৌযান সারাদেশের নৌপথে চলছে এর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার নৌযান নিবন্ধিত বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মোট যাত্রীর এখনো ৩৫ শতাংশ যাতায়াত করে থাকেন ৫৩টি নৌপথে। আরো জানা গেছে, তেলজাত দ্রব্যাদির প্রায় ৯০ শতাংশই পরিবহন করা হয় থাকে নৌপথে। কিন্তু নৌপথের নিরাপত্তা এখনো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিশ্চিত করা যায়নি। এটি হলো তিক্ত বাস্তবতা। বিগত প্রায় এক দশকে নৌপথ উন্নয়ন এবং নৌ ব্যবস্থাপনায় বেশ অগ্রগতি সাধিত হলেও এখনো তা কাক্সিক্ষত পর্যায় থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। সরকার নৌপথের গুরুত্বের কথা ভাবছে না তা বলা যাবে না। কিন্তু তার পরও নৌপথের নিরাপত্তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধই রয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই প্রকাশ, প্রায় ২৪টি নৌপথ ইতোমধ্যে গভীর করা হয়েছে যেগুলো অগভীর পর্যায়ে পৌঁছে নৌ-চলাচল বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এও জানা গেছে, আরো অনেক নৌপথে খনন কাজ চলছে গভীর করার লক্ষ্যে। অন্যদিকে উন্নত ও টেকসই নৌযান নির্মাণের ক্ষেত্রও এখন অনেক বিস্তৃত হয়েছে। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জসহ আরো কয়েকটি স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক নৌযান। বুড়িগঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নৌপথ দিয়ে গেলে এমন অনেক কারখানা চোখে পড়ে। দৃষ্টিগ্রাহ্য এসব কারখানায় অনেক উন্নত ও নিরাপদ নৌযান তৈরি হচ্ছে। নৌযানের ফিটনেস নিশ্চিত করার পদ্ধতির ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি দেয়া হয়েছে এবং এ কারণেই এই ক্ষেত্রে সব কার্যক্রমও আগের চেয়ে অনেক জোরদার হয়েছে।
এতসব কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও প্রতিবছরই বিশেষ করে বর্ষা ও দুই ঈদের সময়ে কম-বেশি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী কতিপয় লোভাতুর মানুষের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্ঘটনার কারণ এবং প্রতিকারকোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মহলের কারো কারোর উদাসীনতা কিংবা যথাযথভাবে দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠার অভাব। এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় সলিল সমাধি ঘটেছে ৪৬১০ জন মানুষের। দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনাই অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টি এই বলে মেনে নেয়া যায় না। সচেতন ও দায়িত্ববান হলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে অনেক দুর্ঘটনা-উত্তর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। এ যাবত নৌপথে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে পারলে স্বস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু এমনটি বলার অবকাশ সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষীণ। আমাদের স্থল ও নৌপথে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটার কারণগুলো সচেতন মানুষ মাত্রই কম-বেশি জানা। কাণ্ডজ্ঞানহীনতা, অদক্ষতা, স্বেচ্ছাচারিতা, লোভাতুর মনোভাব ইত্যাদি দুর্ঘটনার জন্য মুখ্যত দায়ী। দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এর কারণও চিহ্নিত হচ্ছে কিন্তু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা করা যায়নি নিশ্চিত। এ কারণেই ঝুঁকির মাত্রাও কমছে না বরং বাড়ছে।
নৌ-দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত যাত্রী কিংবা পণ্যবোঝাই। ফিটনেসবিহীন নৌযানও এর অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতা-অযোগ্যতা ও অন্যান্য কারণ তো আছেই। এর জন্য নৌপথে চলাচলকারী মানুষজনও কম দায়ী নন। তাদের অসচেতনতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবনের চেয়ে অর্থের মূল্য মনে মনে বেশি নির্ধারণ করার কারণেও এমন অনাকাক্সিক্ষত-অনভিপ্রেত-মর্মন্তুদ ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এক কথায় সব পক্ষের কম-বেশি দায় রয়েছে। সময় ও অর্থের মূল্য যে জীবনের চেয়ে কোনোভাবেই বেশি নয়, বেশি হতে পারে না তা অনেকেই জানলেও মানতে চান না। নিজের জীবনযাত্রার পথের বিষয়গুলোতে সর্বাগ্রে নিজেকেই ভাবতে হবে। বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতির আচরণের পাশাপাশি অন্য আরো কিছু বিষয়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা সবারই তো দায়িত্ব। যাত্রাপথে যদি পুরোপুরি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে কতগুলো জরুরি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। যেহেতু নৌপথ নিয়ে কথা হচ্ছে সেহেতু আপাতত নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতিই দৃষ্টি দেয়া যাক।
নৌযানের ফিটনেস নিশ্চিত করা সর্বাগ্রে জরুরি। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলরা রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তাছাড়া চালকদের দক্ষতার বিষয়টিও সমভাবেই জরুরি। নৌপথে এখনো বিশৃঙ্খলা-অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা বিদ্যমান। এসবের সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যতম এই বিষয়ে উদাসীন থাকার কোনোই অবকাশ নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই যদি হন কর্তব্যপরায়ণ তাহলে অনাকাক্সিক্ষত অনেক কিছুই এড়ানো দুরূহ কোনো বিষয় নয়। যাত্রীদের সচেতনতার বিষয়টি তো আইন দিয়ে নিশ্চিত করা যাবে না নিজেদেরই তাগিদেই সচেতন হতে হবে। বর্ষাকালে নৌপথ সঙ্গত কারণেই আরো দীর্ঘ ও প্রশস্ত হয়। ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ সময়ে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি।
লেখক: শিক্ষাবিদ
দেশের দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এখন সড়কপথে বহু যাত্রী যাতায়াত করলেও নৌপথের গুরুত্ব তাদের কাছে মোটেই কম নয়। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নত হলেও বিপুলসংখ্যক যাত্রী এখনো নৌপথে যাতায়াতেই আগ্রহী। যে ৬০ হাজার নৌযান সারাদেশের নৌপথে চলছে এর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার নৌযান নিবন্ধিত বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মোট যাত্রীর এখনো ৩৫ শতাংশ যাতায়াত করে থাকেন ৫৩টি নৌপথে। আরো জানা গেছে, তেলজাত দ্রব্যাদির প্রায় ৯০ শতাংশই পরিবহন করা হয় থাকে নৌপথে। কিন্তু নৌপথের নিরাপত্তা এখনো কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিশ্চিত করা যায়নি। এটি হলো তিক্ত বাস্তবতা। বিগত প্রায় এক দশকে নৌপথ উন্নয়ন এবং নৌ ব্যবস্থাপনায় বেশ অগ্রগতি সাধিত হলেও এখনো তা কাক্সিক্ষত পর্যায় থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। সরকার নৌপথের গুরুত্বের কথা ভাবছে না তা বলা যাবে না। কিন্তু তার পরও নৌপথের নিরাপত্তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধই রয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই প্রকাশ, প্রায় ২৪টি নৌপথ ইতোমধ্যে গভীর করা হয়েছে যেগুলো অগভীর পর্যায়ে পৌঁছে নৌ-চলাচল বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল। এও জানা গেছে, আরো অনেক নৌপথে খনন কাজ চলছে গভীর করার লক্ষ্যে। অন্যদিকে উন্নত ও টেকসই নৌযান নির্মাণের ক্ষেত্রও এখন অনেক বিস্তৃত হয়েছে। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জসহ আরো কয়েকটি স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক নৌযান। বুড়িগঙ্গা কিংবা শীতলক্ষ্যা নৌপথ দিয়ে গেলে এমন অনেক কারখানা চোখে পড়ে। দৃষ্টিগ্রাহ্য এসব কারখানায় অনেক উন্নত ও নিরাপদ নৌযান তৈরি হচ্ছে। নৌযানের ফিটনেস নিশ্চিত করার পদ্ধতির ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি দেয়া হয়েছে এবং এ কারণেই এই ক্ষেত্রে সব কার্যক্রমও আগের চেয়ে অনেক জোরদার হয়েছে।
এতসব কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও প্রতিবছরই বিশেষ করে বর্ষা ও দুই ঈদের সময়ে কম-বেশি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য মূলত দায়ী কতিপয় লোভাতুর মানুষের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্ঘটনার কারণ এবং প্রতিকারকোনো কোনো ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মহলের কারো কারোর উদাসীনতা কিংবা যথাযথভাবে দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠার অভাব। এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় সলিল সমাধি ঘটেছে ৪৬১০ জন মানুষের। দুর্ঘটনা নিছক দুর্ঘটনাই অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টি এই বলে মেনে নেয়া যায় না। সচেতন ও দায়িত্ববান হলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব এমনটি নিশ্চিত হওয়া গেছে অনেক দুর্ঘটনা-উত্তর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে। এ যাবত নৌপথে যত দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে পারলে স্বস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু এমনটি বলার অবকাশ সিংহভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষীণ। আমাদের স্থল ও নৌপথে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটার কারণগুলো সচেতন মানুষ মাত্রই কম-বেশি জানা। কাণ্ডজ্ঞানহীনতা, অদক্ষতা, স্বেচ্ছাচারিতা, লোভাতুর মনোভাব ইত্যাদি দুর্ঘটনার জন্য মুখ্যত দায়ী। দুর্ঘটনা ঘটছে এবং এর কারণও চিহ্নিত হচ্ছে কিন্তু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা করা যায়নি নিশ্চিত। এ কারণেই ঝুঁকির মাত্রাও কমছে না বরং বাড়ছে।
নৌ-দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত যাত্রী কিংবা পণ্যবোঝাই। ফিটনেসবিহীন নৌযানও এর অন্যতম কারণ। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতা-অযোগ্যতা ও অন্যান্য কারণ তো আছেই। এর জন্য নৌপথে চলাচলকারী মানুষজনও কম দায়ী নন। তাদের অসচেতনতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবনের চেয়ে অর্থের মূল্য মনে মনে বেশি নির্ধারণ করার কারণেও এমন অনাকাক্সিক্ষত-অনভিপ্রেত-মর্মন্তুদ ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এক কথায় সব পক্ষের কম-বেশি দায় রয়েছে। সময় ও অর্থের মূল্য যে জীবনের চেয়ে কোনোভাবেই বেশি নয়, বেশি হতে পারে না তা অনেকেই জানলেও মানতে চান না। নিজের জীবনযাত্রার পথের বিষয়গুলোতে সর্বাগ্রে নিজেকেই ভাবতে হবে। বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতির আচরণের পাশাপাশি অন্য আরো কিছু বিষয়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা সবারই তো দায়িত্ব। যাত্রাপথে যদি পুরোপুরি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় তাহলে কতগুলো জরুরি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। যেহেতু নৌপথ নিয়ে কথা হচ্ছে সেহেতু আপাতত নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়গুলোর প্রতিই দৃষ্টি দেয়া যাক।
নৌযানের ফিটনেস নিশ্চিত করা সর্বাগ্রে জরুরি। এ বিষয়টি দেখভালের জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলরা রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তাছাড়া চালকদের দক্ষতার বিষয়টিও সমভাবেই জরুরি। নৌপথে এখনো বিশৃঙ্খলা-অব্যবস্থাপনা-অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা বিদ্যমান। এসবের সমাধানকল্পে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যতম এই বিষয়ে উদাসীন থাকার কোনোই অবকাশ নেই। সংশ্লিষ্ট সবাই যদি হন কর্তব্যপরায়ণ তাহলে অনাকাক্সিক্ষত অনেক কিছুই এড়ানো দুরূহ কোনো বিষয় নয়। যাত্রীদের সচেতনতার বিষয়টি তো আইন দিয়ে নিশ্চিত করা যাবে না নিজেদেরই তাগিদেই সচেতন হতে হবে। বর্ষাকালে নৌপথ সঙ্গত কারণেই আরো দীর্ঘ ও প্রশস্ত হয়। ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এ সময়ে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি।
লেখক: শিক্ষাবিদ
No comments