জুলিয়েটের ৩৬ ছানা by সুমেল সারাফাত
সুন্দরবন
করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রের মা কুমির জুলিয়েটের ডিম থেকে ৩৬টি বাচ্চা
ফুটেছে। ৩৬ ঘণ্টা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার পর এগুলো শুক্রবার
কেন্দ্রের লালন-পালন প্যানে ছাড়া হবে। গত বুধবার রাতে জন্ম নেওয়া এসব
বাচ্চার একটি শারীরিকভাবে দুর্বল। এর চিকিৎসা চলছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জুলিয়েট গত ১২ মে ৫১টি ডিম পাড়ে। সেগুলো ওই কেন্দ্রের কর্মচারী জাকির হেসেনের তত্ত্বাবধানে টানা ৮৬ দিন কেন্দ্রের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সঠিক তাপ ও আর্দ্রতা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আলোর ব্যবস্থা এবং পানি প্রবেশ করতে পারে না—এমন পরিবেশে রাখা হয়। অবশেষে বুধবার রাত ১০টায় ৩৬টি বাচ্চা ফুটে বের হয়। ভ্রূণের মৃত্যু ও অনিষিক্ত হওয়ায় এবার ১৫টি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।
বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণে ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজননকেন্দ্র। বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে আট একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি।
শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট-বড় পাঁচটি কুমির দিয়ে কেন্দ্রে প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রে মিঠা পানির দুটি নারী কুমির, নোনা পানির দুটি নারী কুমির—জুলিয়েট ও পিলপিল এবং একটি পুরুষ কুমির রোমিও রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত জুলিয়েট ও পিলপিল থেকে কেন্দ্রে গত ১০ বছরে ৬২৫টি ডিম থেকে ৩৯২টি বাচ্চা ফুটেছে।
কেন্দ্রের সাবেক কর্মকর্তা ও কুমির বিশেষজ্ঞ আবদুর রব জানান, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির কুমিরের অস্তিত্ব ছিল। লবণ পানির কুমির, মিঠা পানির কুমির ও গঙ্গোত্রীয় কুমির বা ঘড়িয়াল। এর মধ্যে মিঠা পানির কুমির ও ঘড়িয়ালের বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন শুধু লবণ পানির কুমিরের অস্তিত্বই আছে। এরা সাধারণত ৬০-৬৫ বছর পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। আর ৮০-১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজননকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, জুলিয়েটের ছানাগুলো রাখা পরীক্ষাগারে। কেন্দ্রের কর্মচারী জাকির ছানাগুলোর তত্ত্বাবধান করছেন। যে ছানাটি দুর্বল সেটার প্রতি বেশি মনোযোগ তাঁর। এরপর জাকির পুকুরে গিয়ে জুলিয়েটকে ডেকে সুসংবাদ জানায়, তার ৩৬টি ছানা জন্ম নিয়েছে। আর পুরস্কার হিসেবে খেতে দেয় একটি মুরগি।
জাকির বললেন, আগে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন আবদুর রব নামের এক বিশেষজ্ঞ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে কুমিরের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর কোনো কুমির বিশেষজ্ঞ এ কেন্দ্রে নেই। ২০০২ সাল থেকে তিনি তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তিনি বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেন।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রে কুমির লালন-পালন ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি যে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। চলতি অর্থবছরেও এ খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এই কেন্দ্র থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, পটুয়াখালী বন বিভাগ ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে শতাধিক কুমির অবমুক্ত করার পর বর্তমান ৩৬টি বাচ্চাসহ কেন্দ্রে কুমিরের সংখ্যা ২৩৭টি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জুলিয়েট গত ১২ মে ৫১টি ডিম পাড়ে। সেগুলো ওই কেন্দ্রের কর্মচারী জাকির হেসেনের তত্ত্বাবধানে টানা ৮৬ দিন কেন্দ্রের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সঠিক তাপ ও আর্দ্রতা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও আলোর ব্যবস্থা এবং পানি প্রবেশ করতে পারে না—এমন পরিবেশে রাখা হয়। অবশেষে বুধবার রাত ১০টায় ৩৬টি বাচ্চা ফুটে বের হয়। ভ্রূণের মৃত্যু ও অনিষিক্ত হওয়ায় এবার ১৫টি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।
বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণে ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজননকেন্দ্র। বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে আট একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি।
শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া ছোট-বড় পাঁচটি কুমির দিয়ে কেন্দ্রে প্রজনন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রে মিঠা পানির দুটি নারী কুমির, নোনা পানির দুটি নারী কুমির—জুলিয়েট ও পিলপিল এবং একটি পুরুষ কুমির রোমিও রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত জুলিয়েট ও পিলপিল থেকে কেন্দ্রে গত ১০ বছরে ৬২৫টি ডিম থেকে ৩৯২টি বাচ্চা ফুটেছে।
কেন্দ্রের সাবেক কর্মকর্তা ও কুমির বিশেষজ্ঞ আবদুর রব জানান, বাংলাদেশে তিন প্রজাতির কুমিরের অস্তিত্ব ছিল। লবণ পানির কুমির, মিঠা পানির কুমির ও গঙ্গোত্রীয় কুমির বা ঘড়িয়াল। এর মধ্যে মিঠা পানির কুমির ও ঘড়িয়ালের বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন শুধু লবণ পানির কুমিরের অস্তিত্বই আছে। এরা সাধারণত ৬০-৬৫ বছর পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। আর ৮০-১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে করমজল বন্য প্রাণী ও কুমির প্রজননকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, জুলিয়েটের ছানাগুলো রাখা পরীক্ষাগারে। কেন্দ্রের কর্মচারী জাকির ছানাগুলোর তত্ত্বাবধান করছেন। যে ছানাটি দুর্বল সেটার প্রতি বেশি মনোযোগ তাঁর। এরপর জাকির পুকুরে গিয়ে জুলিয়েটকে ডেকে সুসংবাদ জানায়, তার ৩৬টি ছানা জন্ম নিয়েছে। আর পুরস্কার হিসেবে খেতে দেয় একটি মুরগি।
জাকির বললেন, আগে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন আবদুর রব নামের এক বিশেষজ্ঞ। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে কুমিরের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিলেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর কোনো কুমির বিশেষজ্ঞ এ কেন্দ্রে নেই। ২০০২ সাল থেকে তিনি তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করে এসেছেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই তিনি বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেন।
সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রে কুমির লালন-পালন ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি যে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। চলতি অর্থবছরেও এ খাতে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এই কেন্দ্র থেকে ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, পটুয়াখালী বন বিভাগ ও সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে শতাধিক কুমির অবমুক্ত করার পর বর্তমান ৩৬টি বাচ্চাসহ কেন্দ্রে কুমিরের সংখ্যা ২৩৭টি।
জুলিয়েটের ফোটানো ডিম থেকে গত বুধবার রাতে জন্ম হয়েছে ৩৬টি ছানার। সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্র থেকে গতকাল দুপুরে ছবিটি তোলা l প্রথম আলো |
No comments