সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে আওয়ামী ওলামা লীগ!
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে না থাকলেও কয়েকজন মন্ত্রী ও দলের কিছু কেন্দ্রীয় নেতার ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা আওয়ামী ওলামা লীগ নামে দুটি গ্রুপের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময়ে উভয় গ্রুপের কিছু কর্মসূচিতে দলের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
ওলামা লীগের উভয় গ্রুপ আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের পক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নেত্রী বলে দাবি করলেও তাদের বক্তৃতা-বিবৃতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মিল পাওয়া যায়। সংগঠনটির উভয় গ্রুপই ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাদের দলীয় কার্যালয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রচার করছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওলামা লীগের একটি অংশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার যথাক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হোসাইন বুখারী ও মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি। অপর অংশের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াশ হোসাইন হেলালী ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন। উভয় গ্রুপ নিজ নিজ অংশকে আসল ওলামা লীগ বলে দাবি করছে। তাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র নেই বলে দুই গ্রুপই জানায়। তবে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ তারা মেনে চলার কথা দাবি করে। এক গ্রুপ জানায়, তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ১৫১ এবং অপর গ্রুপের ১৬১।
ওলামা লীগের বুখারী ও শরীয়তপুরি গ্রুপ গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী রচনা ও পাঠ্যক্রম আছে বলে দাবি করে তা বাদ দেওয়ার কথা বলেছে। বর্তমান শিক্ষানীতিকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়েছে। তারা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের বিরোধিতা করেছে। ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নের দাবিসহ পয়লা বৈশাখবিরোধী বক্তৃতা-বিবৃতিও দিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ‘লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মূলনীতি ও উন্নয়ন দর্শন’ অংশে বলা হয়েছে, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত সংবিধানে বিধৃত চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য।’
কিন্তু আওয়ামী লীগের সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নামে ওলামা লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো বক্তব্য-বিবৃতি বা দায়িত্বশীল কারও বক্তব্যও নেই।
ওলামা লীগের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওলামা লীগ নামে আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেই। ওদের সঙ্গে দলের কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের দলের কয়েকজন নেতা ওলামা লীগের কর্মসূচিতে যান।’
ওলামা লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে দলীয় নেতারা কেন তাদের অনুষ্ঠানে যান, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৬ আগস্ট আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে দলের সহযোগী ও অনুমোদিত ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বা কোনো ভুঁইফোড় সংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিষেধ করা হয়েছে।’
ওলামা লীগের বুখারী ও শরীয়তপুরি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁদের সংগঠনের দেখভাল করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় এইচ টি ইমাম দাওয়াত করে তাঁর বাসায় তাঁদের খাইয়েছেন। তাঁর নির্দেশে তাঁরা তখন মাঠে ছিলেন।
এইচ টি ইমাম ও হাছান মাহমুদ দেশের বাইরে এবং শেখ আবদুল্লাহ অসুস্থ থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে আবদুস সোবহান গোলাপ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নয়। তবে আমি এ সংগঠনের কর্মসূচিতে যাই বা না যাই, সে সম্পর্কে মন্তব্য করব না।’
আবুল হাসান দাবি করেন, দলের দুর্যোগের সময় তাঁরা মাঠে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সরকারিভাবে হজে পাঠিয়েছেন, কাজী ও বিবাহ নিবন্ধক বানিয়েছেন। এমনকি এ বছর দ্বিতীয় রমজানে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান বলেন, আগে তাঁদের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছিল। কিন্তু দলাদলির কারণে এখন তাঁরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে বসেন।
আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শে না থাকলেও তাঁরা কেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও দাবি-দাওয়া করছেন, জানতে চাইলে আবুল হাসান বলেন, ‘কারও নির্দেশে নয়, আমরা ঈমানি দায়িত্ব থেকে এসব করছি। তা ছাড়া মুসলমানদের আওয়ামী লীগের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য এসব বক্তব্য দিচ্ছি।’ ওলামা লীগের অপর অংশের নেতাদের তিনি আলেম বলতে নারাজ। তাঁদের তিনি ট্রাকচালক ও শ্রমিক বলে মন্তব্য করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ইলিয়াশ হোসাইন বিন হেলালী ও বেলাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ওলামা লীগের অপর অংশের উত্থান ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তিনতলায় এই অংশের নেতারা ওলামা লীগের সাইনবোর্ড টানিয়ে একটি অফিস খুলে বসেছেন।
এই অংশের নেতা ইলিয়াশ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ ও হাছান মাহমুদ তাঁদের কর্মসূচিতে আসেন।
দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে মায়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হানিফ তাঁদের কোনো কর্মসূচিতে যাননি বলে জানান।
ওলামা লীগের উভয় গ্রুপ আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের পক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের নেত্রী বলে দাবি করলেও তাদের বক্তৃতা-বিবৃতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মিল পাওয়া যায়। সংগঠনটির উভয় গ্রুপই ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে তাদের দলীয় কার্যালয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রচার করছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওলামা লীগের একটি অংশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দাবিদার যথাক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হোসাইন বুখারী ও মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি। অপর অংশের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াশ হোসাইন হেলালী ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন। উভয় গ্রুপ নিজ নিজ অংশকে আসল ওলামা লীগ বলে দাবি করছে। তাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র নেই বলে দুই গ্রুপই জানায়। তবে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ তারা মেনে চলার কথা দাবি করে। এক গ্রুপ জানায়, তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ১৫১ এবং অপর গ্রুপের ১৬১।
ওলামা লীগের বুখারী ও শরীয়তপুরি গ্রুপ গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী রচনা ও পাঠ্যক্রম আছে বলে দাবি করে তা বাদ দেওয়ার কথা বলেছে। বর্তমান শিক্ষানীতিকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়েছে। তারা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের বিরোধিতা করেছে। ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নের দাবিসহ পয়লা বৈশাখবিরোধী বক্তৃতা-বিবৃতিও দিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ‘লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মূলনীতি ও উন্নয়ন দর্শন’ অংশে বলা হয়েছে, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত সংবিধানে বিধৃত চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য।’
কিন্তু আওয়ামী লীগের সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নামে ওলামা লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিয়ে রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তা ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো বক্তব্য-বিবৃতি বা দায়িত্বশীল কারও বক্তব্যও নেই।
ওলামা লীগের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওলামা লীগ নামে আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নেই। ওদের সঙ্গে দলের কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমাদের দলের কয়েকজন নেতা ওলামা লীগের কর্মসূচিতে যান।’
ওলামা লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে দলীয় নেতারা কেন তাদের অনুষ্ঠানে যান, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৬ আগস্ট আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে দলের সহযোগী ও অনুমোদিত ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বা কোনো ভুঁইফোড় সংগঠনের কর্মসূচিতে যেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিষেধ করা হয়েছে।’
ওলামা লীগের বুখারী ও শরীয়তপুরি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরি প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাঁদের সংগঠনের দেখভাল করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ ও দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় এইচ টি ইমাম দাওয়াত করে তাঁর বাসায় তাঁদের খাইয়েছেন। তাঁর নির্দেশে তাঁরা তখন মাঠে ছিলেন।
এইচ টি ইমাম ও হাছান মাহমুদ দেশের বাইরে এবং শেখ আবদুল্লাহ অসুস্থ থাকায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে আবদুস সোবহান গোলাপ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওলামা লীগ আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন নয়। তবে আমি এ সংগঠনের কর্মসূচিতে যাই বা না যাই, সে সম্পর্কে মন্তব্য করব না।’
আবুল হাসান দাবি করেন, দলের দুর্যোগের সময় তাঁরা মাঠে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে সরকারিভাবে হজে পাঠিয়েছেন, কাজী ও বিবাহ নিবন্ধক বানিয়েছেন। এমনকি এ বছর দ্বিতীয় রমজানে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে গণভবনে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান বলেন, আগে তাঁদের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ছিল। কিন্তু দলাদলির কারণে এখন তাঁরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে বসেন।
আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শে না থাকলেও তাঁরা কেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও দাবি-দাওয়া করছেন, জানতে চাইলে আবুল হাসান বলেন, ‘কারও নির্দেশে নয়, আমরা ঈমানি দায়িত্ব থেকে এসব করছি। তা ছাড়া মুসলমানদের আওয়ামী লীগের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য এসব বক্তব্য দিচ্ছি।’ ওলামা লীগের অপর অংশের নেতাদের তিনি আলেম বলতে নারাজ। তাঁদের তিনি ট্রাকচালক ও শ্রমিক বলে মন্তব্য করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ইলিয়াশ হোসাইন বিন হেলালী ও বেলাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ওলামা লীগের অপর অংশের উত্থান ঘটেছে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তিনতলায় এই অংশের নেতারা ওলামা লীগের সাইনবোর্ড টানিয়ে একটি অফিস খুলে বসেছেন।
এই অংশের নেতা ইলিয়াশ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ ও হাছান মাহমুদ তাঁদের কর্মসূচিতে আসেন।
দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে মায়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে হানিফ তাঁদের কোনো কর্মসূচিতে যাননি বলে জানান।
No comments