পার্বত্য চট্টগ্রামে পুষ্টি পরিস্থিতি সমতলের চেয়ে খারাপ
গবেষণায় দেখা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের পুষ্টি পরিস্থিতি জাতীয় পুষ্টি পরিস্থিতির চেয়ে খারাপ। দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক বৈরী পরিবেশ, সচেতনতার অভাব এবং কিছু সাংস্কৃতিক কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পুষ্টি সূচকে পিছিয়ে আছে। এই অঞ্চলে বছরের নির্দিষ্ট সময় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান হলে ‘মা-শিশুর পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নয়ন: প্রেক্ষিত পার্বত্য চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষণার এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই সেমিনারের আয়োজন করে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার আটটি উপজেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেছেন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ নাজমে সাবিনা। গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের সময় নাজমে সাবিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিসহ বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে ৩০০ ধরনের খাবার (ফুড আইটেম) আছে। এর মধ্যে গর্ভাবস্থায় ৭১ ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। তিনি বলেন, ‘নাপ্পি’ (চিংড়ি শুঁটকির মন্ড) পার্বত্য চট্টগ্রামে জনপ্রিয় খাবার। এতে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ডালে আমিষ বেশি পরিমাণে থাকলেও এর প্রচলন পার্বত্য চট্টগ্রামে কম।
নাজমে সাবিনা বলেন, খাদ্য নিয়ে বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে নানা ধরনের বিশ্বাস ও চর্চা আছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার খবর পেলে প্রসূতির বাড়িতে নানা পুষ্টিকর খাবার নিয়ে আসে চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ। অন্যদিকে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মারমা সম্প্রদায়ের প্রসূতিকে তিন সপ্তাহ শুধু লবণ পানি মিশ্রিত ভাত খেতে দেওয়া হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৯ শতাংশ শিশু খর্বকায় (জাতীয়ভাবে ৩৬)। কৃশতা ও ওজন-স্বল্পতার হারও এই অঞ্চলে বেশি। গবেষকেরা দেখেছেন এই অঞ্চলে চৈত্র-বৈশাখ এবং আশ্বিন-কার্তিক মাসে খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের বলেন, সরকার পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি করতে যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে তাতে আদিবাসীদের পুষ্টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নতিতে স্থানীয় জ্ঞান ও সংস্কৃতিকে সম্মান দেখিয়ে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, যেকোনো একটি পন্থায় অপুষ্টি দূর হবে না। এর জন্য বহুমাত্রিক পথ বেছে নিতে হবে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার আটটি উপজেলায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করেছেন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ নাজমে সাবিনা। গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের সময় নাজমে সাবিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিসহ বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে ৩০০ ধরনের খাবার (ফুড আইটেম) আছে। এর মধ্যে গর্ভাবস্থায় ৭১ ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। তিনি বলেন, ‘নাপ্পি’ (চিংড়ি শুঁটকির মন্ড) পার্বত্য চট্টগ্রামে জনপ্রিয় খাবার। এতে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ডালে আমিষ বেশি পরিমাণে থাকলেও এর প্রচলন পার্বত্য চট্টগ্রামে কম।
নাজমে সাবিনা বলেন, খাদ্য নিয়ে বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে নানা ধরনের বিশ্বাস ও চর্চা আছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার খবর পেলে প্রসূতির বাড়িতে নানা পুষ্টিকর খাবার নিয়ে আসে চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ। অন্যদিকে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মারমা সম্প্রদায়ের প্রসূতিকে তিন সপ্তাহ শুধু লবণ পানি মিশ্রিত ভাত খেতে দেওয়া হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩৯ শতাংশ শিশু খর্বকায় (জাতীয়ভাবে ৩৬)। কৃশতা ও ওজন-স্বল্পতার হারও এই অঞ্চলে বেশি। গবেষকেরা দেখেছেন এই অঞ্চলে চৈত্র-বৈশাখ এবং আশ্বিন-কার্তিক মাসে খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের বলেন, সরকার পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি করতে যে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে তাতে আদিবাসীদের পুষ্টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নতিতে স্থানীয় জ্ঞান ও সংস্কৃতিকে সম্মান দেখিয়ে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, যেকোনো একটি পন্থায় অপুষ্টি দূর হবে না। এর জন্য বহুমাত্রিক পথ বেছে নিতে হবে।
No comments