সেই শিশুকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রীর নির্দেশ
মুতাসিম মাহির |
ময়মনসিংহের
গৌরীপুর উপজেলার চতুর্থ শ্রেণির সেই শিশুকে যেকোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি
করানোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। কথা বলেছেন ওই শিক্ষার্থীর
বাবার সঙ্গেও।
চতুর্থ শ্রেণির শিশু মুতাসিম মাহিরের বাবা ও গৌরীপুরের ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাজহারুল আনোয়ার গত শুক্রবার ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের কারণে তাঁর ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। সাংসদের অনুমতি না নিয়ে গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ নিয়ে আসার জেরে ক্ষুব্ধ সাংসদ তাঁকে পৌর মডেল স্কুলে যোগদান করতে দেননি। এমনকি ২১ মে পৌর মডেল স্কুলের ছাত্র মুতাসিমকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। পরে সাংসদের কারণে কোনো বিদ্যালয় মুতাসিমকে ভর্তি করাতে রাজি হচ্ছে না।
ওই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে গতকাল প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, সাংসদের কারণে চতুর্থ শ্রেণির শিশুর পড়াশোনা বন্ধ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ফোন করেন। শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আমাকে ফোন করে মুতাসিম মাহিরের ভর্তি করানো নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে জানতে চান। পরে তিনি আমাকে নির্দেশ দেন, মুতাসিমকে যেন যেকোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি করায়, সে নির্দেশ দিতে। মন্ত্রী পরে আমার মাধ্যমে গৌরীপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিনের মুঠোফোন নম্বর নেন। ফোনে কথা বলেন মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গেও।’
মাজহারুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আমার কাছে জানতে চান, ছেলেকে কোথায় ভর্তি করাতে চাই। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারিনি। কারণ, এখন গৌরীপুর পৌর শহরে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সাংসদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করায় উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারাও আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এই অবস্থায় আমার ছেলেকে গৌরীপুর ভর্তি করানোর মতো সাহস পাচ্ছি না। মন্ত্রীকে বলেছি, পরে সিদ্ধান্ত জানাব।’
মাজহারুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন: ৩ আগস্ট সাংসদ মজিবুরের চারজন সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের নামে হুমকি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন মাজহারুল আনোয়ার। ওই মামলাকে সাজানো আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার এলাকায় মানববন্ধন হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধুভূষণ দাসের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে মাজহারুল আনোয়ারের অপসারণেরও দাবি জানানো হয়।
চতুর্থ শ্রেণির শিশু মুতাসিম মাহিরের বাবা ও গৌরীপুরের ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাজহারুল আনোয়ার গত শুক্রবার ময়মনসিংহে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের কারণে তাঁর ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। সাংসদের অনুমতি না নিয়ে গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির আদেশ নিয়ে আসার জেরে ক্ষুব্ধ সাংসদ তাঁকে পৌর মডেল স্কুলে যোগদান করতে দেননি। এমনকি ২১ মে পৌর মডেল স্কুলের ছাত্র মুতাসিমকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। পরে সাংসদের কারণে কোনো বিদ্যালয় মুতাসিমকে ভর্তি করাতে রাজি হচ্ছে না।
ওই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে গতকাল প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, সাংসদের কারণে চতুর্থ শ্রেণির শিশুর পড়াশোনা বন্ধ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে ফোন করেন। শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আমাকে ফোন করে মুতাসিম মাহিরের ভর্তি করানো নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে জানতে চান। পরে তিনি আমাকে নির্দেশ দেন, মুতাসিমকে যেন যেকোনো বিদ্যালয়ে ভর্তি করায়, সে নির্দেশ দিতে। মন্ত্রী পরে আমার মাধ্যমে গৌরীপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিনের মুঠোফোন নম্বর নেন। ফোনে কথা বলেন মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গেও।’
মাজহারুল আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আমার কাছে জানতে চান, ছেলেকে কোথায় ভর্তি করাতে চাই। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারিনি। কারণ, এখন গৌরীপুর পৌর শহরে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। সাংসদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করায় উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারাও আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এই অবস্থায় আমার ছেলেকে গৌরীপুর ভর্তি করানোর মতো সাহস পাচ্ছি না। মন্ত্রীকে বলেছি, পরে সিদ্ধান্ত জানাব।’
মাজহারুলের বিরুদ্ধে মানববন্ধন: ৩ আগস্ট সাংসদ মজিবুরের চারজন সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের নামে হুমকি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন মাজহারুল আনোয়ার। ওই মামলাকে সাজানো আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাট বাজার এলাকায় মানববন্ধন হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধুভূষণ দাসের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে মাজহারুল আনোয়ারের অপসারণেরও দাবি জানানো হয়।
No comments