যাই হোক আশরাফ তো বিতর্কিত ছিলেন না by দীন ইসলাম
আভাস
পাওয়া গিয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার ছিল গুজব। একদিন বাদে এসে হলো সত্য। স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রীর দপ্তর হারালেন সৈয়দ
আশরাফুল ইসলাম। কেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ভাগ্য বিপর্যয় হলো এ
প্রশ্ন এখন সর্বত্র। মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পুরনো।
গত মেয়াদের সে রেকর্ড জানার পরও এবার তাকে মন্ত্রী করা হয়। দলের সাধারণ
সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী হবেন ‘গণতান্ত্রিক যুগে’ এটা বাংলাদেশে অনেকটা
রীতিতেই পরিণত হয়েছিল। গতকালই প্রথম এর ব্যতিক্রম দেখা গেলো। এলজিআরডি
মন্ত্রী হলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তার ইমেজ ঘাটতি না থাকলেও আওয়ামী
লীগের রাজনীতিতে তিনি কখনোই প্রভাবশালী ছিলেন না। এলজিআরডি মন্ত্রী হওয়ায়
দলেও তার গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার ইংগিত হতে পারে।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতেন। দলীয় সভানেত্রীর বিশ্বস্ত হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন সময়ে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন তিনি। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও কর্মীদের সময় না দেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ ছিল না। তাকে নিয়ে বিতর্কও ছিল না। ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিপদের সময় সবসময়ই শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। কিছুদিন আগেই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে সবাই মোশতাক হয় নাই। সবাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। অনেকেই নিজের জীবন দিয়েও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বাস রক্ষা করেছিলেন। পর্যবেক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় অনেক মন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দুর্নীতির মামলার সাজা আর গম কেলেঙ্কারি নিয়ে সাম্প্রতিককালে চরম বিতর্কে পড়েন দুই মন্ত্রী। এ ছাড়া, অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হলো সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ যেন অসুস্থ রাজনীতির কাছেই হেরে গেলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতির অভিযোগও বহুল আলোচিত। এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন ২০১৪ সালের ১২ই জানুয়ারি। পরদিন ১৩ই জানুয়ারি সকাল ১০টায় মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য সচিবালয়ের দপ্তরে যান। সেখানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। দুপুরে তিনি সচিবালয় ত্যাগ করেন। একই বছরের ২১শে মে অর্থাৎ পাঁচ মাস পর দুই ঘণ্টার জন্য নিজের কার্যালয়ে যান সৈয়দ আশরাফ। ওই দিন ইউএনডিপি’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক করেই দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কিছু বলেননি। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়মিত অংশ নিলেও পা বাড়াননি নিজ দপ্তরের দিকে। অন্যদিকে মহাজোট সরকারের প্রথম পাঁচ বছর মেয়াদেও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ দপ্তরে গিয়েছিলেন সব মিলিয়ে ২৫ দিন। মন্ত্রণালয়ের খুব জরুরি নথিপত্র থাকলে বিশেষ ব্যবস্থায় বাসা থেকে মন্ত্রীর স্বাক্ষর করিয়ে আনা হতো। ওই কাজটিও করতেন তার এপিএস। মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) অশোক মাধব রায়ের ভূমিকা ছিল এক্ষেত্রে অনেকটাই গৌণ। মন্ত্রীর অহেতুক অনুপস্থিতির বিষয়টিকে সঠিক মনে করেন না সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নিয়েছিলেন দায়িত্ব পালনের জন্য। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী। তাকে প্রত্যেক কর্মদিবসেই দপ্তরে থাকা উচিত ছিল। তার অনুপস্থিতিতে অবশ্যই দাপ্তরিক কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। যদি মন্ত্রী অসুস্থ থাকেন, কিংবা দলের জরুরি কাজে, কোন অনুষ্ঠানে বা বিদেশে থাকেন তাহলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। দেশে থাকলে তাকে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ে অফিস করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তার অনুপস্থিতির কারণে সরকারের পাশাপাশি পুরো দেশ বিব্রত হয়েছে। আমি মনে করি এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব অবহেলা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকারের প্রথম তিন-চার মাস বাদ দিলে বাকি সময়টুকুতে আর তেমন একটা সচিবালয়ে যাননি মন্ত্রী। এর ফলে গত পাঁচ বছরে বড় ধরনের শূন্যতাও সৃষ্টি হয় গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ে। যার ফলে মাঠপর্যায় থেকে দলীয় সংসদ সদস্য এবং দলের জেলাপর্যায়ের নেতারা ঢাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও মন্ত্রীর দেখা পেতেন না। একই অবস্থা নতুন সরকার গঠনের পরও বিদ্যমান ছিল। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষকেন্দ্রিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হচ্ছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল দায়িত্ব পালন করলেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিমন্ত্রীকে আন-অফিসিয়ালি বলে দেয়া হয়, তার বিভাগের জরুরি নথিতে তিনিই যেন স্বাক্ষর করে দেন। খুব জরুরি না হলে মন্ত্রীর কাছে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব জরুরি কাজ না হলে কোন কর্মকর্তাই মন্ত্রীর বাসভবনে যেতেন না। মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে মন্ত্রণালয়ে ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজই সচিবপর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক এক সচিব জানান, জরুরি কোন কাজ হলে নথি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিতাম। মন্ত্রীর এপিএস তাতে স্বাক্ষর করিয়ে আনতেন। আমরা সব নথিই মন্ত্রীর বাসায় পাঠাতাম। সেগুলোতে তিনি স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তার তেমন দেখা হতো না।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতেন। দলীয় সভানেত্রীর বিশ্বস্ত হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের কঠিন সময়ে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন তিনি। দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও কর্মীদের সময় না দেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ ছিল না। তাকে নিয়ে বিতর্কও ছিল না। ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিপদের সময় সবসময়ই শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। কিছুদিন আগেই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, আওয়ামী লীগে সবাই মোশতাক হয় নাই। সবাই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। অনেকেই নিজের জীবন দিয়েও বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বাস রক্ষা করেছিলেন। পর্যবেক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় অনেক মন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দুর্নীতির মামলার সাজা আর গম কেলেঙ্কারি নিয়ে সাম্প্রতিককালে চরম বিতর্কে পড়েন দুই মন্ত্রী। এ ছাড়া, অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হলো সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ যেন অসুস্থ রাজনীতির কাছেই হেরে গেলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতির অভিযোগও বহুল আলোচিত। এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন ২০১৪ সালের ১২ই জানুয়ারি। পরদিন ১৩ই জানুয়ারি সকাল ১০টায় মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য সচিবালয়ের দপ্তরে যান। সেখানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। দুপুরে তিনি সচিবালয় ত্যাগ করেন। একই বছরের ২১শে মে অর্থাৎ পাঁচ মাস পর দুই ঘণ্টার জন্য নিজের কার্যালয়ে যান সৈয়দ আশরাফ। ওই দিন ইউএনডিপি’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক করেই দপ্তর থেকে বেরিয়ে যান। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কিছু বলেননি। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নিয়মিত অংশ নিলেও পা বাড়াননি নিজ দপ্তরের দিকে। অন্যদিকে মহাজোট সরকারের প্রথম পাঁচ বছর মেয়াদেও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ দপ্তরে গিয়েছিলেন সব মিলিয়ে ২৫ দিন। মন্ত্রণালয়ের খুব জরুরি নথিপত্র থাকলে বিশেষ ব্যবস্থায় বাসা থেকে মন্ত্রীর স্বাক্ষর করিয়ে আনা হতো। ওই কাজটিও করতেন তার এপিএস। মন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) অশোক মাধব রায়ের ভূমিকা ছিল এক্ষেত্রে অনেকটাই গৌণ। মন্ত্রীর অহেতুক অনুপস্থিতির বিষয়টিকে সঠিক মনে করেন না সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নিয়েছিলেন দায়িত্ব পালনের জন্য। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী। তাকে প্রত্যেক কর্মদিবসেই দপ্তরে থাকা উচিত ছিল। তার অনুপস্থিতিতে অবশ্যই দাপ্তরিক কাজের ব্যাঘাত ঘটেছে। যদি মন্ত্রী অসুস্থ থাকেন, কিংবা দলের জরুরি কাজে, কোন অনুষ্ঠানে বা বিদেশে থাকেন তাহলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। দেশে থাকলে তাকে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ে অফিস করা উচিত ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রী হিসেবে তার অনুপস্থিতির কারণে সরকারের পাশাপাশি পুরো দেশ বিব্রত হয়েছে। আমি মনে করি এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব অবহেলা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকারের প্রথম তিন-চার মাস বাদ দিলে বাকি সময়টুকুতে আর তেমন একটা সচিবালয়ে যাননি মন্ত্রী। এর ফলে গত পাঁচ বছরে বড় ধরনের শূন্যতাও সৃষ্টি হয় গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ে। যার ফলে মাঠপর্যায় থেকে দলীয় সংসদ সদস্য এবং দলের জেলাপর্যায়ের নেতারা ঢাকায় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও মন্ত্রীর দেখা পেতেন না। একই অবস্থা নতুন সরকার গঠনের পরও বিদ্যমান ছিল। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে গণমানুষকেন্দ্রিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হচ্ছে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়। বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে সৈয়দ আশরাফুল দায়িত্ব পালন করলেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিমন্ত্রীকে আন-অফিসিয়ালি বলে দেয়া হয়, তার বিভাগের জরুরি নথিতে তিনিই যেন স্বাক্ষর করে দেন। খুব জরুরি না হলে মন্ত্রীর কাছে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব জরুরি কাজ না হলে কোন কর্মকর্তাই মন্ত্রীর বাসভবনে যেতেন না। মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণে মন্ত্রণালয়ে ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ কাজই সচিবপর্যায়ে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক এক সচিব জানান, জরুরি কোন কাজ হলে নথি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিতাম। মন্ত্রীর এপিএস তাতে স্বাক্ষর করিয়ে আনতেন। আমরা সব নথিই মন্ত্রীর বাসায় পাঠাতাম। সেগুলোতে তিনি স্বাক্ষর করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে তার তেমন দেখা হতো না।
No comments