রাজধানীতে কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা
রাজধানীর
মিরপুরে আমেনা আক্তার রেশমা (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা
করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত আমেনা মিরপুর বিসিআইসি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়
বর্ষের ছাত্রী। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতা কিংবা পারিবারিক কলহের জেরে
ওই কলেজছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তবে নিহতের বাবা-মাকে ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ২টার দিকে মিরপুর থানাধীন রাইনখোলা ২ নম্বর রোডের চ-ব্লকের ২৬৫/২৬৩ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে রেশমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মা মরিয়ম বেগম বলেন, সকালে তিনি রেশমা ও তার বাবাকে বাসায় রেখে মিরপুর হাজিপাড়ায় যান। পরে রেশমার বাবাও অফিসে চলে যান। এক ঘণ্টা পর বাসায় ফিরে শোবার ঘরের মেঝেতে মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা বঁটিও ছিল। ওই ঘরের আলমারি খোলা ও ভেতরে কাপড়সহ সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আলমারি থেকে টাকা লুট হয়েছে বলেও জানান তিনি। রেশমার বাবা আলমগীর হোসেন জানান, তিনি মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। রেশমার মা বের হওয়ার পর তিনি অফিসে যাওয়ার জন্য বাইরে থেকে তালা দিয়ে যান। ঘরে রেশমা একাই ছিল। তাদের সবার কাছেই ঘরের চাবি আছে। কারা-কিভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু ধারণা করতে পারছেন না। ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা মাসুদ মিয়া জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে আলমগীর পরিবার নিয়ে দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন। ভবনের পঞ্চম তলায় নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছেন। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তারাও কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা এলোমেলো কথা বলছে। মিরপুর থানার এসআই তৌহিদুল আরেফিন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের পিতার তিনবার বিয়ে হয়েছিল। মার এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। এ ছাড়াও তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক কলহের জেরে ওই কলেজছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভুইয়া এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ২টার দিকে মিরপুর থানাধীন রাইনখোলা ২ নম্বর রোডের চ-ব্লকের ২৬৫/২৬৩ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে রেশমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মা মরিয়ম বেগম বলেন, সকালে তিনি রেশমা ও তার বাবাকে বাসায় রেখে মিরপুর হাজিপাড়ায় যান। পরে রেশমার বাবাও অফিসে চলে যান। এক ঘণ্টা পর বাসায় ফিরে শোবার ঘরের মেঝেতে মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা বঁটিও ছিল। ওই ঘরের আলমারি খোলা ও ভেতরে কাপড়সহ সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে। আলমারি থেকে টাকা লুট হয়েছে বলেও জানান তিনি। রেশমার বাবা আলমগীর হোসেন জানান, তিনি মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। রেশমার মা বের হওয়ার পর তিনি অফিসে যাওয়ার জন্য বাইরে থেকে তালা দিয়ে যান। ঘরে রেশমা একাই ছিল। তাদের সবার কাছেই ঘরের চাবি আছে। কারা-কিভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তিনি কিছু ধারণা করতে পারছেন না। ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা মাসুদ মিয়া জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে আলমগীর পরিবার নিয়ে দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটে বসবাস শুরু করেন। ভবনের পঞ্চম তলায় নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করছেন। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তারাও কিছু বলতে পারছেন না। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা এলোমেলো কথা বলছে। মিরপুর থানার এসআই তৌহিদুল আরেফিন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের পিতার তিনবার বিয়ে হয়েছিল। মার এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। এ ছাড়াও তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক কলহের জেরে ওই কলেজছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভুইয়া এলাকায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
No comments