পথের কাঁটা অপসারণ করেই এগোতে হবে by এম আবদুল হাফিজ
দেশের উন্নতি বা অগ্রগতি যে ব্যক্তি, মহল বা সরকারের উদ্যোগ বা প্রচেষ্টায়ই তা হোক, যে কোনো দেশপ্রেমিক ও দেশের মঙ্গলাকাক্সক্ষী নাগরিকেরই তাতে উল্লসিত হওয়ার কথা এবং সাধ্যানুসারে সেই প্রচেষ্টায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে শামিল হওয়া দরকার। এই নিবন্ধনকারও দেশমাতৃকার নতুন নতুন গৌরবে বিভূষিত হওয়াতে অনির্বচনীয় পুলক এবং শিহরণ অনুভব করে। আমার মনে হয় এই অনুভূতি সার্বজনীন। সংযুক্ত পাকিস্তানের আমলে খেলায় বিশেষ করে ক্রিকেট, গলফ বা পোলোর মতো অভিজাত ও আন্তর্জাতিক খেলার ভুবনটি পাঞ্জাবি পাঠানদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই ভূখণ্ডের মানুষদের খেলার জগতে ইচ্ছাকৃত বর্জনে আমরা সংযত কারণেই ব্যথিত হয়েছি এবং হীনম্মন্যতায় ভুগেছি। অথচ ক্রিকেটপ্রীতি ও নৈপুণ্য আমাদের আয়ত্তের বাইরে ছিল না। কিন্তু সেই ক্রিকেট কদাচিৎ আমাদের প্রবেশাধিকার ছিল।
পাকিস্তানের অন্যান্য খেলায়ও যখন জাতীয় দল সংগঠিত হতো সেগুলোতেও সংযুক্ত পাকিস্তানের পড়ন্ত বেলায়ও বাঙালিরা অচ্ছুত ও আনাড়িই বিবেচিত হয়ে এসেছে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। তবে নিখিল পাকিস্তান সামরিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় কিছু কিছু বাঙালির ছিটেফোঁটা অন্তর্র্ভুক্তি দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডের কাউকে এমনকি সাঁতার প্রতিযোগিতায়ই খুব একটা দেখা যেত না। অথচ সেই পঞ্চাশের দশকেই ব্রজেন দাস ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সে সময়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমান ক্রীড়াবান্ধব সরকার ক্রীড়া জগতে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়েছে। আগে যাদের দেশের পশ্চিমাংশেই ক্রিকেট খেলতে বা দেখতে যাওয়াটাই স্বপ্নবৎ ছিল তারা এখন কয়েকটি মহাদেশে পরিব্যাপ্ত ক্রিকেট বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি অভিবাসীদের বদৌলতে তাদের প্রণোদনা দিতে সুদূর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে তাদের দর্শকের অভাব নেই। এদিকে ঢাকাও আর ক্রীড়ামোদীদের নিষিদ্ধ গন্তব্য নয়। বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেট তারকাদের এখন এ দেশে পদচারণা। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেটাররা খেলে যাওয়ার পর এখন সদলবলে এলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বায়িত বিশ্বে প্রত্যেক দেশকেই এখন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে বিপণনের বিষয় আছে। সেই কাজটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় খেলোয়াড়দের মাধ্যমে। আনন্দের বিষয় এই যে, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। অথচ কয়েক যুগ পূর্বেই আমরা তালি বাজানোর দলভুক্ত ছিলাম। পাকিস্তান, ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কানদের ক্রিকেট দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে পছন্দের দলটিকে চিয়ার আপ করতাম।
সে অবস্থা পাল্টে গেছে। কখনো কখনো বিদেশে গিয়ে হোমসিক হয়ে স্বদেশের খবর জানতে উদগ্রীব হই। রাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ঘেঁটে ঘুঁটে যখনই কোনো সুবেশ চৌকস উপস্থাপক বা পথের কাঁটা অপসারণ করেই এগোতে হবেউপস্থাপিকাকে দেখি বুঝতে পারি এটা অবশ্যই বাংলাদেশের চ্যানেল। পাকিস্তান আমলে আমাদের সর্বোত্তম পরিধেয় ছিল পাজামা ও হাফশার্ট। কলেজে পড়ার সময়েও অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে দেখেছি রোগা-পটকা নগ্নপদ। এখন সে অবস্থা নেই। বুঝতে বাকি থাকে না যে দেশ অনেকটাই এগিয়েছে। আর আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের তো কথাই নেই। এখন তো এ শিল্প অনেক বেশি অগ্রসর। সেই সিকি শতাব্দী পূর্বে নব্বইয়ের দশকে আমি সুইজারল্যান্ডের বার্নভিত্তিক সুইস পিস ফাউন্ডেশনে একটি পরিবেশ গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত হয়েছিলাম। প্রকল্প প্রধান ও তার সেক্রেটারি (পরে স্ত্রী) ম্যারেনের জন্য প্রকল্পের সমন্বয় সভাগুলোর সময়ে কিছু গিফট নিয়ে যেতাম। আমাদের গার্মেন্টস শিল্প তখনো এখনকার মতো বিকশিত হয়নি। তাই তখন একমাত্র ভরসা ছিল আড়ং সামগ্রী, আমার সামান্য আড়ং উপহার সামগ্রীতেই তারা কি যে উচ্ছ্বসিত হতেন। বুঝিয়ে বলতে পারব না। এই আমার দেশ এবং সূচি শিল্পের কদর। আমার এক সন্তান কানাডার নাগরিক। তাকে ও পরিবারকে দেখতে গড়পরতা বছরে একবার সে দেশে যেতে হয়। ফিরে আসলে স্বজন-বন্ধুরা হাপিত্যেস তাকিয়ে থাকত যে কি এনেছি ওদের জন্য ওদেশ থেকে। আমাদের দেশে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী প্রথমবার কিছু কাপড় চোপড় এনেছিলাম। মুখে না বললেও বুঝেছি যে আমার আনা বিদেশি মাল ওদের পছন্দ হয়নি। বরং কানাডায় বসবাসরত আমার সন্তান আমাকে পই পই বুঝিয়েছে যে ওখানে যাই কিনি না কেন সেগুলো অবশ্যই বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি এ বড়জোর চীনা বা তাইওয়ানিজ। বরং আর্মি ওদের জন্য ঢাকা থেকে যাই নিয়ে গিয়েছি, সেগুলোই ওদের পছন্দ। অভিজ্ঞতাই বুঝেছি যে বাংলাদেশে প্রস্তুত গার্মেন্টস ছাড়াও চামরাজাত জিনিস, যেমন জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি অনেক উন্নতমানের।
আজকের বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা খাদ্যের জোগান। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমরা সাত কোটি মানুষ ছিলাম এ দেশে। সাত কোটি মানুষ নিয়েই সে সময়ে আমরা একটি খাদ্য ঘাটতি দেশ অস্তিত্বে এনেছিলাম। ভাবতে অবাক লাগে কোন জাদু বলে ষোলো কোটি মানুষের এখনকার বাংলাদেশ থেকে আমরা খাদ্য রফতানি করি। মনে হয় যেন মহান আল্লাহ তার বারাকাহ এ দেশকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাই বলে বাংলাদেশ সমস্যা বিবজিত নয়। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বাধিক প্রকট সমস্যা এখন। দেশ রয়েছে নৈতিকতা অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে যেখানে মাদক ও মানবপাচার একই সমান্তরালে অগ্রসরমান। আরো আছে দুর্নীতির সংক্রামক বিস্তার এবং হাজার কোটি টাকার এলিট শ্রেণীর সহাবস্থানে বস্তিবাসী হতদরিদ্ররা। আছে আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। আছে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহরণ, বাছবিচারহীন যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ। আরো আছে ক্রমবর্ধমান বিচারবহির্ভূত এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু।
আমরা কি নানাবিধ অপরাধ ও অবক্ষয়ের মোকাবিলা করতে পারি না। যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ধাপে ধাপে উন্নয়নের সোপান বেয়ে একটি উচ্চতায় পৌঁছবার উদ্দেশ্যে সামনে ধাবমান তারা অবশ্যই সংকট উন্নয়নের পথ জানেন। আমরা সঙ্গত কারণেই আশাবাদী হতে চাই, থাকতে চাই। আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সড়ক এখন অনেক প্রশস্ত।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক বিআইআইএসএস ও কলামিস্ট। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের অন্যান্য খেলায়ও যখন জাতীয় দল সংগঠিত হতো সেগুলোতেও সংযুক্ত পাকিস্তানের পড়ন্ত বেলায়ও বাঙালিরা অচ্ছুত ও আনাড়িই বিবেচিত হয়ে এসেছে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। তবে নিখিল পাকিস্তান সামরিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় কিছু কিছু বাঙালির ছিটেফোঁটা অন্তর্র্ভুক্তি দৃষ্টিগোচর হতে থাকে। নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডের কাউকে এমনকি সাঁতার প্রতিযোগিতায়ই খুব একটা দেখা যেত না। অথচ সেই পঞ্চাশের দশকেই ব্রজেন দাস ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সে সময়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমান ক্রীড়াবান্ধব সরকার ক্রীড়া জগতে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়েছে। আগে যাদের দেশের পশ্চিমাংশেই ক্রিকেট খেলতে বা দেখতে যাওয়াটাই স্বপ্নবৎ ছিল তারা এখন কয়েকটি মহাদেশে পরিব্যাপ্ত ক্রিকেট বিশ্ব চষে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি অভিবাসীদের বদৌলতে তাদের প্রণোদনা দিতে সুদূর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে তাদের দর্শকের অভাব নেই। এদিকে ঢাকাও আর ক্রীড়ামোদীদের নিষিদ্ধ গন্তব্য নয়। বিশ্বের নামি-দামি ক্রিকেট তারকাদের এখন এ দেশে পদচারণা। কিছুদিন আগেই পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেটাররা খেলে যাওয়ার পর এখন সদলবলে এলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বায়িত বিশ্বে প্রত্যেক দেশকেই এখন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে বিপণনের বিষয় আছে। সেই কাজটি নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় খেলোয়াড়দের মাধ্যমে। আনন্দের বিষয় এই যে, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। অথচ কয়েক যুগ পূর্বেই আমরা তালি বাজানোর দলভুক্ত ছিলাম। পাকিস্তান, ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কানদের ক্রিকেট দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে পছন্দের দলটিকে চিয়ার আপ করতাম।
সে অবস্থা পাল্টে গেছে। কখনো কখনো বিদেশে গিয়ে হোমসিক হয়ে স্বদেশের খবর জানতে উদগ্রীব হই। রাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ঘেঁটে ঘুঁটে যখনই কোনো সুবেশ চৌকস উপস্থাপক বা পথের কাঁটা অপসারণ করেই এগোতে হবেউপস্থাপিকাকে দেখি বুঝতে পারি এটা অবশ্যই বাংলাদেশের চ্যানেল। পাকিস্তান আমলে আমাদের সর্বোত্তম পরিধেয় ছিল পাজামা ও হাফশার্ট। কলেজে পড়ার সময়েও অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে দেখেছি রোগা-পটকা নগ্নপদ। এখন সে অবস্থা নেই। বুঝতে বাকি থাকে না যে দেশ অনেকটাই এগিয়েছে। আর আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের তো কথাই নেই। এখন তো এ শিল্প অনেক বেশি অগ্রসর। সেই সিকি শতাব্দী পূর্বে নব্বইয়ের দশকে আমি সুইজারল্যান্ডের বার্নভিত্তিক সুইস পিস ফাউন্ডেশনে একটি পরিবেশ গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত হয়েছিলাম। প্রকল্প প্রধান ও তার সেক্রেটারি (পরে স্ত্রী) ম্যারেনের জন্য প্রকল্পের সমন্বয় সভাগুলোর সময়ে কিছু গিফট নিয়ে যেতাম। আমাদের গার্মেন্টস শিল্প তখনো এখনকার মতো বিকশিত হয়নি। তাই তখন একমাত্র ভরসা ছিল আড়ং সামগ্রী, আমার সামান্য আড়ং উপহার সামগ্রীতেই তারা কি যে উচ্ছ্বসিত হতেন। বুঝিয়ে বলতে পারব না। এই আমার দেশ এবং সূচি শিল্পের কদর। আমার এক সন্তান কানাডার নাগরিক। তাকে ও পরিবারকে দেখতে গড়পরতা বছরে একবার সে দেশে যেতে হয়। ফিরে আসলে স্বজন-বন্ধুরা হাপিত্যেস তাকিয়ে থাকত যে কি এনেছি ওদের জন্য ওদেশ থেকে। আমাদের দেশে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী প্রথমবার কিছু কাপড় চোপড় এনেছিলাম। মুখে না বললেও বুঝেছি যে আমার আনা বিদেশি মাল ওদের পছন্দ হয়নি। বরং কানাডায় বসবাসরত আমার সন্তান আমাকে পই পই বুঝিয়েছে যে ওখানে যাই কিনি না কেন সেগুলো অবশ্যই বাংলাদেশি, ভারতীয়, পাকিস্তানি এ বড়জোর চীনা বা তাইওয়ানিজ। বরং আর্মি ওদের জন্য ঢাকা থেকে যাই নিয়ে গিয়েছি, সেগুলোই ওদের পছন্দ। অভিজ্ঞতাই বুঝেছি যে বাংলাদেশে প্রস্তুত গার্মেন্টস ছাড়াও চামরাজাত জিনিস, যেমন জুতা, বেল্ট, ব্যাগ ইত্যাদি অনেক উন্নতমানের।
আজকের বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা খাদ্যের জোগান। স্বাধীনতার প্রাক্কালে আমরা সাত কোটি মানুষ ছিলাম এ দেশে। সাত কোটি মানুষ নিয়েই সে সময়ে আমরা একটি খাদ্য ঘাটতি দেশ অস্তিত্বে এনেছিলাম। ভাবতে অবাক লাগে কোন জাদু বলে ষোলো কোটি মানুষের এখনকার বাংলাদেশ থেকে আমরা খাদ্য রফতানি করি। মনে হয় যেন মহান আল্লাহ তার বারাকাহ এ দেশকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাই বলে বাংলাদেশ সমস্যা বিবজিত নয়। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বাধিক প্রকট সমস্যা এখন। দেশ রয়েছে নৈতিকতা অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে যেখানে মাদক ও মানবপাচার একই সমান্তরালে অগ্রসরমান। আরো আছে দুর্নীতির সংক্রামক বিস্তার এবং হাজার কোটি টাকার এলিট শ্রেণীর সহাবস্থানে বস্তিবাসী হতদরিদ্ররা। আছে আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। আছে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপহরণ, বাছবিচারহীন যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণ। আরো আছে ক্রমবর্ধমান বিচারবহির্ভূত এবং পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু।
আমরা কি নানাবিধ অপরাধ ও অবক্ষয়ের মোকাবিলা করতে পারি না। যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে ধাপে ধাপে উন্নয়নের সোপান বেয়ে একটি উচ্চতায় পৌঁছবার উদ্দেশ্যে সামনে ধাবমান তারা অবশ্যই সংকট উন্নয়নের পথ জানেন। আমরা সঙ্গত কারণেই আশাবাদী হতে চাই, থাকতে চাই। আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সড়ক এখন অনেক প্রশস্ত।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক বিআইআইএসএস ও কলামিস্ট। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সেনাপ্রধান
No comments