আওয়ামী লীগে অস্থিরতা
রাজপথ
শান্ত থাকলেও দলের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনে অস্থিরতা চলছে সরকারি দল আওয়ামী
লীগে। মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যে অতি উৎসাহের পাশাপাশি এক
অংশে হতাশাও দেখা গেছে।
এ ছাড়া দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার ঘটনা দলকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ রকম ধারণা পাওয়া গেছে।
সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার পর কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও তাঁকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁরা ঘণ্টা খানেক কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তিনি আপাতত লন্ডন যাননি। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মনে করেন, সৈয়দ আশরাফ উপযুক্ত মর্যাদায় দল ও সরকারে থাকবেন।
কাল সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে তাঁর বেইলি রোডের বাসভবনে দেখা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ আরও কয়েকজন সাংসদ।
আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৯ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দলের আন্দোলনসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত সফলতার সঙ্গে সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও এই প্রথম দলের শীর্ষ পর্যায় যথেষ্ট চাপ ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আদালতের রায় নিয়ে বেশ সমালোচনার মধ্যে রয়েছেন। একইভাবে মহানগরের অপর নেতা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের গম কেলেঙ্কারি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিভিন্ন মহল থেকে এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার রদবদলের খবরে মন্ত্রিত্ব পেতে ইচ্ছুক নেতারা মরিয়া হয়ে ওঠেন। অন্তত দুদিন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে ছবিসহ কয়েকজনের নাম দিয়ে তাঁদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির খবর পরিবেশন করা হয়।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি শপথ অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে থেকেই অভিনন্দন গ্রহণ শুরু করেন। এমনকি শপথের আগের দিন রাতে তিনি প্রথম আলোকে জানান, সকালে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিশ্চিতভাবেই টেলিফোন পাবেন। কিন্তু ওই নেতা শেষ পর্যন্ত ফোন পাননি।
সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সত্যিকার অর্থে মন্ত্রিসভার কোনো রদবদল হয়নি। শুধু দু-একটি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর দুজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আসলে এটা কোনো রদবদল নয়। মন্ত্রী হওয়ার জন্য আশা করতে পারেন অনেকেই। তবে যাঁদের নাম প্রচার হয়েছে, তাঁদের নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রী হতে পারেন এমন অনেক নাম গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা ছিল গুজব। আবার অনেকে নিজের নাম প্রচার করিয়েছেন, এটাও ঠিক।
নাম প্রকাশ না করে একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কিছু নেতা মনে করেন, গণমাধ্যমে নাম এলেই তাঁরা মন্ত্রী হতে পারবেন। ফলে মন্ত্রিসভার রদবদলের খবর শুনলেই সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নাম প্রচারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
ফারুক খান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বলে খবর প্রচার হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল না জেনে-শুনে খবর প্রচার করেছে। এই প্রচারে আমি বিব্রত, বিস্মিত।’
এ রকম প্রচারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মোবাইলে অন্তত ৫০০ এসএমএস এসেছে মন্ত্রী হিসেবে অভিনন্দন জানিয়ে। আমিও ফিরতি বার্তায় তাদের ধন্যবাদ জানালাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে শপথ নিতে ডাকেনি। এ অবস্থায় বলুন, আমার অবস্থাটা কী!’
এ ছাড়া দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার ঘটনা দলকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ রকম ধারণা পাওয়া গেছে।
সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ার পর কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও তাঁকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁরা ঘণ্টা খানেক কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে তিনি আপাতত লন্ডন যাননি। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা মনে করেন, সৈয়দ আশরাফ উপযুক্ত মর্যাদায় দল ও সরকারে থাকবেন।
কাল সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে তাঁর বেইলি রোডের বাসভবনে দেখা করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ আরও কয়েকজন সাংসদ।
আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৯ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী দলের আন্দোলনসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত সফলতার সঙ্গে সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও এই প্রথম দলের শীর্ষ পর্যায় যথেষ্ট চাপ ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আদালতের রায় নিয়ে বেশ সমালোচনার মধ্যে রয়েছেন। একইভাবে মহানগরের অপর নেতা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের গম কেলেঙ্কারি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। বিভিন্ন মহল থেকে এই দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার রদবদলের খবরে মন্ত্রিত্ব পেতে ইচ্ছুক নেতারা মরিয়া হয়ে ওঠেন। অন্তত দুদিন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে ছবিসহ কয়েকজনের নাম দিয়ে তাঁদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির খবর পরিবেশন করা হয়।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি শপথ অনুষ্ঠানের দুই দিন আগে থেকেই অভিনন্দন গ্রহণ শুরু করেন। এমনকি শপথের আগের দিন রাতে তিনি প্রথম আলোকে জানান, সকালে তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিশ্চিতভাবেই টেলিফোন পাবেন। কিন্তু ওই নেতা শেষ পর্যন্ত ফোন পাননি।
সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, সত্যিকার অর্থে মন্ত্রিসভার কোনো রদবদল হয়নি। শুধু দু-একটি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর দুজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আসলে এটা কোনো রদবদল নয়। মন্ত্রী হওয়ার জন্য আশা করতে পারেন অনেকেই। তবে যাঁদের নাম প্রচার হয়েছে, তাঁদের নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রী হতে পারেন এমন অনেক নাম গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যা ছিল গুজব। আবার অনেকে নিজের নাম প্রচার করিয়েছেন, এটাও ঠিক।
নাম প্রকাশ না করে একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কিছু নেতা মনে করেন, গণমাধ্যমে নাম এলেই তাঁরা মন্ত্রী হতে পারবেন। ফলে মন্ত্রিসভার রদবদলের খবর শুনলেই সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নাম প্রচারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
ফারুক খান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন বলে খবর প্রচার হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল না জেনে-শুনে খবর প্রচার করেছে। এই প্রচারে আমি বিব্রত, বিস্মিত।’
এ রকম প্রচারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মোবাইলে অন্তত ৫০০ এসএমএস এসেছে মন্ত্রী হিসেবে অভিনন্দন জানিয়ে। আমিও ফিরতি বার্তায় তাদের ধন্যবাদ জানালাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে শপথ নিতে ডাকেনি। এ অবস্থায় বলুন, আমার অবস্থাটা কী!’
No comments