কেশবপুরে জলাবদ্ধতা, পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী
যশোরের কেশবপুর শহরের কাঁচাবাজারে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। লোকজনকে পানি ভেঙে বাজারে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে l ছবি: প্রথম আলো |
যশোরের
কেশবপুর পৌর এলাকায় অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে পৌর এলাকার
সাহাপাড়া, ভবানীপুর মধ্যকুল এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে
পড়েছে। শহরের মাছ ও কাঁচাবাজার, ধান বিক্রির জায়গা (ধান হাটা) পনির নিচে
তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে শুক্রবার
পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে শহরের সাহাপাড়া, পোস্ট অফিসপাড়া, মধ্যকুল এলাকা
প্লাবিত হয়। ইতিমধ্যে পোস্ট অফিসপাড়ার পানি নেমে গেলেও সাহাপাড়া এবং
মধ্যকুল ভবানীপুর এলাকা এখনো জলমগ্ন হয়ে আছে। শহরের মাছ বাজার ও
কাঁচাবাজার, ধান হাটা এখনো পানির নিচে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচাবাজার ও মাছের বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ বাজার করছে পানি ভেঙে। বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাত দিন ধরে বাজার পানিতে তলিয়ে থাকলেও পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা একবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এই হাটে আর তেমন মাল আসছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত পানি না নামলে আমরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ব।’
শহরের সাহাপাড়ার দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। এখানকার বাসিন্দা নির্মল অধিকারী বলেন, পানি ভেঙে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগের শেষ নেই। সাহাপাড়া এলাকার হঠাৎপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা খালের মুখের একটি সরু রিং পাইপ বসানো রয়েছে। এই পাইপ দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি বের হতে পারছে না। সে কারণে সাহাপাড়ার পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। এই পাইপটি অপসারণের দাবি করেন তাঁরা। মধ্যকুল খাঁ পাড়া, বিশ্বাসপাড়া, সরদারপাড়ার প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে। এখানকার আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান ও রবিউল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, গত শুক্রবার এলাকার একটি খালে দেওয়া বাঁধ অপসারণ করার পর পোস্ট অফিসপাড়া ও উপজেলা পাড়া এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়েছে। এখন যেসব এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে আছে, সেসব এলাকার পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, ‘জলাবদ্ধতা এতটা প্রকট হবে তা আমাদের ধারণা ছিল না। পানিনিষ্কাশনের জন্য যা করার তা আমরা করেছি। সাহাপাড়ার পানিনিষ্কাশনের জন্য রিং পাইপ একটি সমস্যা, কিন্তু ওই পাইপ এখনই সরানো যাচ্ছে না। কারণ, ওই পাইপের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করে। তবে ভবিষ্যতে এখানে আমরা একটি কালভার্ট তৈরি করে দেব।’
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁচাবাজার ও মাছের বাজারের পশ্চিম পাশের রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ বাজার করছে পানি ভেঙে। বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাত দিন ধরে বাজার পানিতে তলিয়ে থাকলেও পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
বাজারের ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা একবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এই হাটে আর তেমন মাল আসছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত পানি না নামলে আমরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ব।’
শহরের সাহাপাড়ার দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। এখানকার বাসিন্দা নির্মল অধিকারী বলেন, পানি ভেঙে বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। এ দুর্ভোগের শেষ নেই। সাহাপাড়া এলাকার হঠাৎপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে খোঁজা খালের মুখের একটি সরু রিং পাইপ বসানো রয়েছে। এই পাইপ দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ পানি বের হতে পারছে না। সে কারণে সাহাপাড়ার পানিনিষ্কাশন হচ্ছে না। এই পাইপটি অপসারণের দাবি করেন তাঁরা। মধ্যকুল খাঁ পাড়া, বিশ্বাসপাড়া, সরদারপাড়ার প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে। এখানকার আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমান ও রবিউল ইসলাম বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, গত শুক্রবার এলাকার একটি খালে দেওয়া বাঁধ অপসারণ করার পর পোস্ট অফিসপাড়া ও উপজেলা পাড়া এলাকার পানি নিষ্কাশিত হয়েছে। এখন যেসব এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে আছে, সেসব এলাকার পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, ‘জলাবদ্ধতা এতটা প্রকট হবে তা আমাদের ধারণা ছিল না। পানিনিষ্কাশনের জন্য যা করার তা আমরা করেছি। সাহাপাড়ার পানিনিষ্কাশনের জন্য রিং পাইপ একটি সমস্যা, কিন্তু ওই পাইপ এখনই সরানো যাচ্ছে না। কারণ, ওই পাইপের ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করে। তবে ভবিষ্যতে এখানে আমরা একটি কালভার্ট তৈরি করে দেব।’
No comments