নেতার আগে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ নয়
গ্রামের সাধারণ মানুষের বাড়িতে আগে বিদ্যুতের সংযোগ যাবে—এটা ভালোভাবে নেননি আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। তাই বিদ্যুৎ-সংযোগই বন্ধ করে দিলেন এক নেতা। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামের।
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে গ্রামের ১২০ বাড়ির মালিক বিদ্যুৎ-সংযোগ পেতে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করেন। পল্লী বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এরপর বাড়ির মালিকেরা মিটারের জন্য টাকা জমা দেন। সে সময় সালন্দর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রামের ২০ বাড়ির মালিক মিটারের জন্য সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যাঁরা যোগাযোগ করে টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের নামে কাস্টমার মিটার অর্ডার (সিএমও) হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে ৩ জুলাই লাইনম্যানরা গ্রামে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেন। ৪৬টি মিটার স্থাপন করার পর হঠাৎ তাঁরা কাজ বন্ধ করে চলে যান। স্থানীয় লোকজন কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ আছে।
পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মজিবর রহমান বলেন, ‘৩ জুলাই কিছু মিটার লাগিয়ে আমরা চলে আসি। পরদিন আবার সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ সেখানে না পাঠিয়ে অন্য এলাকায় পাঠিয়ে দেন। তবে কারণ বলতে পারছি না।’
গ্রামের বাসিন্দা আজাদুর রহমান বলেন, কাজ বন্ধ করার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিয়ে সালন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম এ কাজ করিয়েছেন। পরে তাঁকে নিয়ে গ্রামবাসী বৈঠকে বসেন। সে সময় তিনি (মাহবুব) বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি অন্ধকারে রেখে অন্যদের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলে কী করে? তাঁদের বাড়িতে মিটার স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত কারওটিই হবে না। এরপর তিনি গ্রামবাসীর সামনে ১২ জুলাই গ্রামের সব বাড়িতে মিটার স্থাপনের পর স্থানীয় সাংসদের হাতে ১৫ জুলাই তা উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।
সালন্দর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সত্যবান সেন বলেন, ‘আমার বাড়িতে মিটার লাগেনি বলে কাজ বন্ধ করে দেব, এমন লোক আমি না। ইউনিয়ন সভাপতি নিজেই কাজ বন্ধ করেছেন।’
পরে সভাপতি মাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করার কে? কর্তৃপক্ষই নিজেদের প্রয়োজনে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। আবার বন্ধ রেখেছে। তাহলে বসতবাড়িতে কবে বিদ্যুতের মিটার স্থাপন ও উদ্বোধন করা হবে, সেটার তারিখ ঘোষণা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি দলের ইউনিয়ন সভাপতি। ইউনিয়নের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভাগীদার আমরাই। সংসদ সদস্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেই যেকোনো উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই এমনটি বলেছিলাম।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সদস্য সেবা) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাদ পড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে দুটি ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হচ্ছে। এ কারণে মিটার লাগানোর কাজ শুরু করে আবার বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করি, ঈদের দু-চার দিনের মধ্যেই গ্রামবাসী সংযোগ পেয়ে যাবেন।’
গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৯ সালে গ্রামের ১২০ বাড়ির মালিক বিদ্যুৎ-সংযোগ পেতে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবেদন করেন। পল্লী বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এরপর বাড়ির মালিকেরা মিটারের জন্য টাকা জমা দেন। সে সময় সালন্দর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গ্রামের ২০ বাড়ির মালিক মিটারের জন্য সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। যাঁরা যোগাযোগ করে টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের নামে কাস্টমার মিটার অর্ডার (সিএমও) হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে ৩ জুলাই লাইনম্যানরা গ্রামে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেন। ৪৬টি মিটার স্থাপন করার পর হঠাৎ তাঁরা কাজ বন্ধ করে চলে যান। স্থানীয় লোকজন কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ আছে।
পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান মজিবর রহমান বলেন, ‘৩ জুলাই কিছু মিটার লাগিয়ে আমরা চলে আসি। পরদিন আবার সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ সেখানে না পাঠিয়ে অন্য এলাকায় পাঠিয়ে দেন। তবে কারণ বলতে পারছি না।’
গ্রামের বাসিন্দা আজাদুর রহমান বলেন, কাজ বন্ধ করার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দিয়ে সালন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলম এ কাজ করিয়েছেন। পরে তাঁকে নিয়ে গ্রামবাসী বৈঠকে বসেন। সে সময় তিনি (মাহবুব) বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি অন্ধকারে রেখে অন্যদের বাড়িতে বিদ্যুতের আলো জ্বলে কী করে? তাঁদের বাড়িতে মিটার স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত কারওটিই হবে না। এরপর তিনি গ্রামবাসীর সামনে ১২ জুলাই গ্রামের সব বাড়িতে মিটার স্থাপনের পর স্থানীয় সাংসদের হাতে ১৫ জুলাই তা উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।
সালন্দর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সত্যবান সেন বলেন, ‘আমার বাড়িতে মিটার লাগেনি বলে কাজ বন্ধ করে দেব, এমন লোক আমি না। ইউনিয়ন সভাপতি নিজেই কাজ বন্ধ করেছেন।’
পরে সভাপতি মাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করার কে? কর্তৃপক্ষই নিজেদের প্রয়োজনে মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। আবার বন্ধ রেখেছে। তাহলে বসতবাড়িতে কবে বিদ্যুতের মিটার স্থাপন ও উদ্বোধন করা হবে, সেটার তারিখ ঘোষণা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি দলের ইউনিয়ন সভাপতি। ইউনিয়নের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভাগীদার আমরাই। সংসদ সদস্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেই যেকোনো উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই এমনটি বলেছিলাম।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সদস্য সেবা) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাদ পড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ দিতে দুটি ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হচ্ছে। এ কারণে মিটার লাগানোর কাজ শুরু করে আবার বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করি, ঈদের দু-চার দিনের মধ্যেই গ্রামবাসী সংযোগ পেয়ে যাবেন।’
No comments