রসে টসটস লটকন by রাফাত জামিল
বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমি ফল লটকন। ছবি: জাহিদুল করিম |
কোন
নামটি দেবেন? হাড়ফাটা, ডুবি, বুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান নাকি
লটকন? নাম যা-ই হোক, ফলটা রসে টসটসে। দেশি ফল, বর্ষার ফল লটকন। বাজার,
ফলের দোকান কিংবা ফেরিওয়ালার ঝুড়ি—সবখানেই চোখে পড়বে থোকা থোকা এ
ফল। হালকা টক ও মিষ্টির মিশ্রণে এর স্বাদটাও ব্যতিক্রম। খাওয়ার পর মুখের
ভেতরে খানিকটা কষ কষ লাগে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই লটকনের ঔষধিগুণ।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি লটকন পাওয়া যায়। তবে এর ফলন সবচেয়ে বেশি সিলেট, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায়।
লটকন ব্যবসায়ী মো. লোকমান বলেন, ‘লটকন গাছে ফুল আসে মার্চ মাসে। ফল পরিপক্ব হতে সময় লেগে যায় চার-পাঁচ মাস। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে বাজারে লটকনের দেখা মেলে। বর্ষা ঋতুর এ ফল, বাজারে থাকবে আরও কিছুদিন।’
লটকনের খোসা ছাড়ালেই পাবেন দুই থেকে পাঁচটি কোয়া (বীজ)। বীজের গায়ে লাগানো হালকা গোলাপি বা বেগুনি রসাল আঁশটাই খাবার। জাতভেদে লটকনের স্বাদ টক বা মিষ্টি হয়ে থাকে।
এমদাদুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ফলটা আমার বেশ পছন্দের। বাসার অন্যরাও এটি পছন্দ করে। দামটা নাগালের মধ্যে। দেশি ফল হিসেবে লটকনের স্বাদ দারুণ। বাচ্চারা খুব মজা করে খায়, রুচিও বাড়ে অনেকখানি।’
পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুসারে, ১০০ গ্রাম লটকনে খাদ্যশক্তি আছে ৯২ কিলোক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ভিটামিন-সি আছে ১৭৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬৯ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৩৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ১৪.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২০ মিলিগ্রাম; আমিষ আছে ১ দশমিক ৪২ গ্রাম, লৌহ ১০০ মিলিগ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ৪৫ গ্রাম আর খনিজ পদার্থ ৯ গ্রাম।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘ভিটামিন সি, থায়ামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে লটকন খেলে মুখে ঘা হবে না। শরীর সুস্থ রাখতেও ফলটি বিশেষ কাজের। এর জলীয় অংশ রক্তশূন্যতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ত্বকের রুক্ষতা কমায়, শরীরে পানির সমতা ঠিক রাখে।’ তিনি বলেন, লটকন খেলে বমির ভাব কমে, খাওয়ায় রুচি বাড়ে। মানসিক চাপ কমাতেও ফলটি বিশেষ কার্যকর। তৃষ্ণা নিবারণে লটকন অতুলনীয়।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশি লটকন পাওয়া যায়। তবে এর ফলন সবচেয়ে বেশি সিলেট, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায়।
লটকন ব্যবসায়ী মো. লোকমান বলেন, ‘লটকন গাছে ফুল আসে মার্চ মাসে। ফল পরিপক্ব হতে সময় লেগে যায় চার-পাঁচ মাস। জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে বাজারে লটকনের দেখা মেলে। বর্ষা ঋতুর এ ফল, বাজারে থাকবে আরও কিছুদিন।’
লটকনের খোসা ছাড়ালেই পাবেন দুই থেকে পাঁচটি কোয়া (বীজ)। বীজের গায়ে লাগানো হালকা গোলাপি বা বেগুনি রসাল আঁশটাই খাবার। জাতভেদে লটকনের স্বাদ টক বা মিষ্টি হয়ে থাকে।
এমদাদুল হক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ফলটা আমার বেশ পছন্দের। বাসার অন্যরাও এটি পছন্দ করে। দামটা নাগালের মধ্যে। দেশি ফল হিসেবে লটকনের স্বাদ দারুণ। বাচ্চারা খুব মজা করে খায়, রুচিও বাড়ে অনেকখানি।’
পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুসারে, ১০০ গ্রাম লটকনে খাদ্যশক্তি আছে ৯২ কিলোক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনে ভিটামিন-সি আছে ১৭৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬৯ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৩৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ ১৪.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.২০ মিলিগ্রাম; আমিষ আছে ১ দশমিক ৪২ গ্রাম, লৌহ ১০০ মিলিগ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ৪৫ গ্রাম আর খনিজ পদার্থ ৯ গ্রাম।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘ভিটামিন সি, থায়ামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে লটকন খেলে মুখে ঘা হবে না। শরীর সুস্থ রাখতেও ফলটি বিশেষ কাজের। এর জলীয় অংশ রক্তশূন্যতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ত্বকের রুক্ষতা কমায়, শরীরে পানির সমতা ঠিক রাখে।’ তিনি বলেন, লটকন খেলে বমির ভাব কমে, খাওয়ায় রুচি বাড়ে। মানসিক চাপ কমাতেও ফলটি বিশেষ কার্যকর। তৃষ্ণা নিবারণে লটকন অতুলনীয়।
No comments