যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থী ভিসায় নতুন পরিবর্তন
ইইউভুক্ত দেশের বাইরের শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ রহিত করাসহ তাঁদের ভিসায় বেশ কিছু পরিবর্তন ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে শিক্ষার্থী ভিসার (টিয়ার ৪) নতুন নিয়ম প্রকাশ করা হয়। এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের বাইরে থেকে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর বেশ কিছু নতুন শর্ত চাপানো হয়েছে।
আগে বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করতে না পারলেও পাবলিক ফান্ডেড (সরকারি কলেজ) কলেজে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে পারতেন। সেই সুযোগও এবার বন্ধ করা হলো। আগামী আগস্ট থেকে যারা কলেজে ভর্তি হয়ে যুক্তরাজ্যে আসবেন তাদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে থেকে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না। তবে কলেজ যদি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোনো ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন হয়, তবে যুক্তরাজ্যে থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। আসছে নভেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
নভেম্বর থেকে কলেজ পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা এক কোর্স শেষ করে নতুন কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে ওয়ার্ক পারমিটে (কর্ম ভিসা যা টিয়ার ২ ও ৫ নামে পরিচিত) যাওয়ার সুযোগও থাকছে না নভেম্বর থেকে। নতুন কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে অথবা কর্মসংস্থান নিতে চাইলে তাদের নিজ দেশে ফেরত গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এত দিন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে থেকেই কর্ম ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট) আবেদন করতে পারতেন।
তবে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়বেন, তাদের ক্ষেত্রে নিয়মের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তাদের জন্য আগের মতোই সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ ঠিক থাকছে। তারা যুক্তরাজ্যে থেকেই ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন এবং ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে কর্মসংস্থান নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা এক কোর্স শেষ করে পুনরায় সমপর্যায়ের কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি যদি শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারের জন্য জরুরি মনে করে এবং অভিবাসন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর সন্তুষ্ট হয়, তবেই সমপর্যায়ের কোর্সে ভিসা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
আগে বিদেশি শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য তিন বছর সময় পেতেন। এখন সেটাকে কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সুযোগ বন্ধ করতে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসন বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইইউর বাইরের দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা যাতে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে না পারেন, সে জন্য কনজারভেটিভ সরকার গত মেয়াদেই বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন করে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী বৈধভাবে এক নাগাড়ে কেউ ১০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পান। এই পথ বন্ধ করতে ক্যামেরন সরকার গত মেয়াদেই শিক্ষার্থী ভিসায় সর্বোচ্চ ৮ বছর এবং কর্মজীবী ভিসায় সর্বোচ্চ ৬ বছর থাকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। এমন কড়াকড়ির পরও শিক্ষার্থী এবং কর্ম ভিসা মিলে ১০ বছর পূর্ণ করে স্থায়ী বসবাসের সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ এত দিন ছিল।
নতুন নিয়মের ফলে কলেজ পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম টিউশন ফির কারণে যুক্তরাজ্যের কলেজগুলোতে ভর্তি হন। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করে আয় করার সুযোগ পেতেন। তবে অনেক কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে খোদ শিক্ষার্থীদের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ফি এবং আনুষঙ্গিক অনেক অর্থ খরচ করে যুক্তরাজ্যে আসার পর তারা বিষয়টি টের পান বলে কিছু করার উপায় থাকে না। ফলে অনেকেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে অর্থ উপার্জনের কাজে লেগে যান। যে কারণে কলেজগুলো যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করে সরকার। তেরেসা মে জানান, কনজারভেটিভ সরকার গত মেয়াদে মোট ৮৭০ টি কলেজ বন্ধ করে দেয়।
আগে বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কাজ করতে না পারলেও পাবলিক ফান্ডেড (সরকারি কলেজ) কলেজে পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে পারতেন। সেই সুযোগও এবার বন্ধ করা হলো। আগামী আগস্ট থেকে যারা কলেজে ভর্তি হয়ে যুক্তরাজ্যে আসবেন তাদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে।
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে থেকে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না। তবে কলেজ যদি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোনো ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন হয়, তবে যুক্তরাজ্যে থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাবে। আসছে নভেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
নভেম্বর থেকে কলেজ পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরা এক কোর্স শেষ করে নতুন কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে ওয়ার্ক পারমিটে (কর্ম ভিসা যা টিয়ার ২ ও ৫ নামে পরিচিত) যাওয়ার সুযোগও থাকছে না নভেম্বর থেকে। নতুন কোর্সে ভর্তি হতে চাইলে অথবা কর্মসংস্থান নিতে চাইলে তাদের নিজ দেশে ফেরত গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এত দিন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে থেকেই কর্ম ভিসার (ওয়ার্ক পারমিট) আবেদন করতে পারতেন।
তবে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটিগুলোতে পড়বেন, তাদের ক্ষেত্রে নিয়মের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। তাদের জন্য আগের মতোই সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ ঠিক থাকছে। তারা যুক্তরাজ্যে থেকেই ভিসার মেয়াদ বাড়াতে পারবেন এবং ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে কর্মসংস্থান নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা এক কোর্স শেষ করে পুনরায় সমপর্যায়ের কোনো কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি যদি শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ারের জন্য জরুরি মনে করে এবং অভিবাসন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর সন্তুষ্ট হয়, তবেই সমপর্যায়ের কোর্সে ভিসা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
আগে বিদেশি শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য তিন বছর সময় পেতেন। এখন সেটাকে কমিয়ে দুই বছর করা হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সুযোগ বন্ধ করতে এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল সরকার যুক্তরাজ্যের মোট অভিবাসন বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইইউর বাইরের দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা যাতে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে না পারেন, সে জন্য কনজারভেটিভ সরকার গত মেয়াদেই বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তবায়ন করে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী বৈধভাবে এক নাগাড়ে কেউ ১০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করলে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পান। এই পথ বন্ধ করতে ক্যামেরন সরকার গত মেয়াদেই শিক্ষার্থী ভিসায় সর্বোচ্চ ৮ বছর এবং কর্মজীবী ভিসায় সর্বোচ্চ ৬ বছর থাকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। এমন কড়াকড়ির পরও শিক্ষার্থী এবং কর্ম ভিসা মিলে ১০ বছর পূর্ণ করে স্থায়ী বসবাসের সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ এত দিন ছিল।
নতুন নিয়মের ফলে কলেজ পড়ুয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল। বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক কম টিউশন ফির কারণে যুক্তরাজ্যের কলেজগুলোতে ভর্তি হন। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজ করে আয় করার সুযোগ পেতেন। তবে অনেক কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে খোদ শিক্ষার্থীদের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ফি এবং আনুষঙ্গিক অনেক অর্থ খরচ করে যুক্তরাজ্যে আসার পর তারা বিষয়টি টের পান বলে কিছু করার উপায় থাকে না। ফলে অনেকেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে অর্থ উপার্জনের কাজে লেগে যান। যে কারণে কলেজগুলো যুক্তরাজ্যে কর্মসংস্থান খোঁজার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে মনে করে সরকার। তেরেসা মে জানান, কনজারভেটিভ সরকার গত মেয়াদে মোট ৮৭০ টি কলেজ বন্ধ করে দেয়।
No comments