যৌন নিপীড়কদের বাঁচাতে মরিয়া জাবি প্রশাসন by নুর আলম
যৌন
নিপীড়কদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নিপীড়নবিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও প্রক্টর অধ্যাপক তপন
কুমার সাহার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা
অভিযোগকারী ছাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত
পহেলা বৈশাখে হলে ফেরার পথে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের
হাতে যৌন হয়রানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম ব্যাচের এক ছাত্রী। ওই
ঘটনায় নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নিশাত ইসলাম ওরফে নিশাত
ইমতিয়াজ বিজয়। এ ঘটনার পরপরই প্রক্টরকে মুঠোফোনে ঘটনার বিস্তারিত জানান ওই
ছাত্রী। এ সময় প্রক্টর লিখিত ‘অভিযোগ’ ছাড়া কোন বিচার করতে পারবেন না বলে
ফোন রেখে দেন। পরদিন ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ জমা দিতে চাইলে প্রক্টর
অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত
থাকার অজুহাত দেখান। আর এ সুযোগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় সমঝোতা চেষ্টা
করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার একদিন পর ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ হাতে পেয়ে প্রক্টর ওই ছাত্রীকে
অভিযুক্তদের পুরো নাম বলতে বলেন। কিন্তু তিনি পুরো নাম বলতে না পারায় তাকে
‘ধমক’ দেন প্রক্টর। তার এই আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী। প্রক্টর
অভিযোগে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে পুনরায় ওই ছাত্রী ভিসি বরাবর আরেকটি লিখিত
অভিযোগ করেন। ঘটনার পরে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে হস্তান্তর করা হলে সেখানেও
তাকে জিজ্ঞসাবাদের নামে হয়রানি করা হয়। সেলের প্রধান অধ্যাপক রাশেদা আখতার
ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অসংলগ্ন প্রশ্ন করে বিব্রত করার চেষ্টা
করেন। ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে তিনি ওই ছাত্রীর সম্পর্কে অপত্তিকর মন্তব্য
করেন বলে শিক্ষকদের একটি অংশ অভিযোগ করেন।
এ নিয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের নেতা সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরেও প্রশাসন বিচার কার্য নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। নাটুকে নিপীড়ন সেল গঠন করে নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে নানা রকম হয়রানি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য এটা করা হচ্ছে।’
অধিকাংশ ঘটনাকে ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা: শুধু পহেলা বৈশাখের ঘটনা নয় অন্যান্য সময়ের যৌন নিপীড়নের ঘটনাকেও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। ২০১৩ সালে ৩০শে সেপ্টেম্বরে দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র জাহিদ সুলতান ওরফে লিখনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন ওই বিভাগের এক ছাত্রী। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত লিখন সেলের প্রধানসহ বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে বিচার কাজকে প্রভাবিত করেন। বিভিন্ন সময় ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামও যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধানের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেন তিনি। কিভাবে একজন যৌন নিপীড়কের সঙ্গে ভিসি ও সেলের প্রধান ছবি তোলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারের সময়ে অধ্যাপক রাশেদা অভিযুক্ত ছাত্রের পক্ষ নিয়ে ওই ছাত্রী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন এবং অভিযুক্তে ছাত্রের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা। এ ছাড়া গত ৬ই মার্চ শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য হামজা রহমান ওরফে অন্তরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক ছাত্রীর। ভিসি ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এ বিষয়ে আমার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেনি।
কারা এই যৌন নিপীড়ক: মূল নাম নিশাত ইসলাম হলেও ক্যাম্পাসে নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় নামে তিনি পরিচিত। প্রথম বর্ষ থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে (৪২তম ব্যাচ) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ভর্তি হয়েই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন শহীদ সালাম-বরকত হলের এই ছাত্র। দায়িত্বও পান শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য পদে। সে সময় থেকেই সব জায়গায় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বেপোরয়া হয়ে উঠেন এই ক্যাডার। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে নিজেকে দাপটে নেতা হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রথম বর্ষ থেকেই মেয়েদের হলের সামনে তার আনাগোনা ছিল আপত্তিকর। ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে প্রীতিলতা হলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে মূত্র ত্যাগ করেন। সে ঘটনায় তাকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শাড়ি ধরে টান দিয়ে সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এই ঘটনায় পরে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাহিদ সুলতান ওরফে লিখন, এই চক্রের অরেক সদস্য। একটি জাতীয় দৈনিকের পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এই ছাত্র। পরীক্ষায় নকল করা থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর, কর্মচারীকে হুমকিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এই ছাত্র। এ ছাড়া, হামজা রহমান ওরফে অন্তর। ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য। সংগঠনের এই পদ ব্যবহার করে নানা সময়ে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন এই নেতা। সর্বশেষ এক মেয়েকে দুই বোতল রং দিয়ে হয়রানি করেন তিনি।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের বক্তব্য: নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ছাত্রী এ প্রতিবেদকে বলেন, ‘নিপীড়ন সেলের যিনি প্রধান; তিনি একজন নারীবিদ্বেষী মহিলা। তাকে কিভাবে এই পদে রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অধিকাংশ সময় ওই নারী ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করার নামে পুনরায় নিপীড়ন করে থাকেন। তার কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়।’
অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বর্তমান অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় এই সুস্পষ্ট ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে উল্টো নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।’
প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। অভিযোগ হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলকে অনুরোধ করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা বাস্তবসম্মত নয়। তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর যদি তা সুস্পষ্ট না হয়, তাহলে অভিযোগকারী পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ক্রমে হাইকোর্টে যেতে চাইলে আমরা সুপারিশ করবো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চের নেতা সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরেও প্রশাসন বিচার কার্য নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। নাটুকে নিপীড়ন সেল গঠন করে নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে নানা রকম হয়রানি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য এটা করা হচ্ছে।’
অধিকাংশ ঘটনাকে ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা: শুধু পহেলা বৈশাখের ঘটনা নয় অন্যান্য সময়ের যৌন নিপীড়নের ঘটনাকেও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। ২০১৩ সালে ৩০শে সেপ্টেম্বরে দর্শন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র জাহিদ সুলতান ওরফে লিখনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন ওই বিভাগের এক ছাত্রী। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। এই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত লিখন সেলের প্রধানসহ বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে বিচার কাজকে প্রভাবিত করেন। বিভিন্ন সময় ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামও যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধানের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেন তিনি। কিভাবে একজন যৌন নিপীড়কের সঙ্গে ভিসি ও সেলের প্রধান ছবি তোলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারের সময়ে অধ্যাপক রাশেদা অভিযুক্ত ছাত্রের পক্ষ নিয়ে ওই ছাত্রী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেন এবং অভিযুক্তে ছাত্রের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা। এ ছাড়া গত ৬ই মার্চ শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য হামজা রহমান ওরফে অন্তরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক ছাত্রীর। ভিসি ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসন এ বিষয়ে আমার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করেনি।
কারা এই যৌন নিপীড়ক: মূল নাম নিশাত ইসলাম হলেও ক্যাম্পাসে নিশাত ইমতিয়াজ বিজয় নামে তিনি পরিচিত। প্রথম বর্ষ থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে (৪২তম ব্যাচ) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ভর্তি হয়েই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন শহীদ সালাম-বরকত হলের এই ছাত্র। দায়িত্বও পান শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য পদে। সে সময় থেকেই সব জায়গায় ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বেপোরয়া হয়ে উঠেন এই ক্যাডার। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে নিজেকে দাপটে নেতা হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করেন। বিশেষ করে প্রথম বর্ষ থেকেই মেয়েদের হলের সামনে তার আনাগোনা ছিল আপত্তিকর। ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে প্রীতিলতা হলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে একযোগে মূত্র ত্যাগ করেন। সে ঘটনায় তাকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। সর্বশেষ পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শাড়ি ধরে টান দিয়ে সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এই ঘটনায় পরে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাহিদ সুলতান ওরফে লিখন, এই চক্রের অরেক সদস্য। একটি জাতীয় দৈনিকের পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত এই ছাত্র। পরীক্ষায় নকল করা থেকে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর, কর্মচারীকে হুমকিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এই ছাত্র। এ ছাড়া, হামজা রহমান ওরফে অন্তর। ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য। সংগঠনের এই পদ ব্যবহার করে নানা সময়ে ক্যাম্পাসে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন এই নেতা। সর্বশেষ এক মেয়েকে দুই বোতল রং দিয়ে হয়রানি করেন তিনি।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের বক্তব্য: নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক ছাত্রী এ প্রতিবেদকে বলেন, ‘নিপীড়ন সেলের যিনি প্রধান; তিনি একজন নারীবিদ্বেষী মহিলা। তাকে কিভাবে এই পদে রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অধিকাংশ সময় ওই নারী ছাত্রীদের জিজ্ঞাসা করার নামে পুনরায় নিপীড়ন করে থাকেন। তার কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব নয়।’
অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বর্তমান অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় এই সুস্পষ্ট ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করে উল্টো নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।’
প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। অভিযোগ হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলকে অনুরোধ করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। নিপীড়ন বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা বাস্তবসম্মত নয়। তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর যদি তা সুস্পষ্ট না হয়, তাহলে অভিযোগকারী পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ক্রমে হাইকোর্টে যেতে চাইলে আমরা সুপারিশ করবো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
No comments