রামপুরা ট্র্যাজেডি: যুবলীগ নেতা মনির গ্রেপ্তার
রাজধানীর
রামপুরার চৌধুরীপাড়ায় ঝিলের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত দেবে যাওয়া টংঘরের মালিক
মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল ভোরে কুমিল্লা
টিপরাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল দুপুরে ঢাকার
টিকাটুলিতে র্যাব-৩-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর পরিচালক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম সারোয়ার
জানান, গত ১৫ই এপ্রিল দুপুরে রামপুরার চৌধুরীপাড়ায় বেগেরবাড়ি ঝিলে বাঁশের
খুঁটির ওপর নির্মিত টিনের দোতালা ঘর দেবে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে শিশুসহ ১২
জনের মৃত্যু হয়। অনেকেই গুরুতর আহত হন। যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তথ্য
ও গবেষণা সম্পাদক মনিরুজ্জামান চৌধুরী অবৈধভাবে দখল করে ডোবার ওপর বাঁশ
এবং কাঠ দিয়ে দোতলাবিশিষ্ট টিনশেড ঘর নির্মাণ করে প্রায় ২০-২৫টি কক্ষ তৈরি
করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন লোকের কাছে ভাড়া দেয়। তিনি
আরও বলেন, এ ঘটনায় রামপুরা থানার এসআই আবদুর রশিদ বাদী হয়ে মনিরকে আসামি
করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৯। ঘটনার পর থেকে মনির পলাতক ছিল।
র্যাব প্রথম থেকেই ওই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে
থাকেন। গোপন সংবাদের মাধ্যমে র্যাব জানতে পারে, মনিরুজ্জামান কুমিল্লার
টিপরাবাজার এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। পরে তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা
হয়।
খন্দকার গোলাম সারোয়ার আরও জানান, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩টি হত্যা, ২টি অস্ত্র আইনসহ একাধিক মামলা আছে। বিভিন্ন মামলায় সে একাধিকবার জেলও খেটেছে। মনিরুজ্জামান ডিস ব্যবসায়ী দাবি করলেও গত ২২ বছর ধরে মালিবাগ এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার এক ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরেক ভাই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অপর ভাই চলতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রামপুরার চৌধুরীপাড়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছে। মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঝিলের ওই জমিটি মূলত কার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই জমিটি মূলত সরকারি খাসজমি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। যুবলীগের নেতা হিসেবে মনিরুজ্জামানও সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। ওই বাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছিল। ঝিলের ওপর নির্মিত অবৈধভাবে দখল করা অন্য বাড়িগুলোর মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম, র্যাব-৩-এর অপারেশন অফিসার সাইফুল ইসলামসহ ওই ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খন্দকার গোলাম সারোয়ার আরও জানান, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩টি হত্যা, ২টি অস্ত্র আইনসহ একাধিক মামলা আছে। বিভিন্ন মামলায় সে একাধিকবার জেলও খেটেছে। মনিরুজ্জামান ডিস ব্যবসায়ী দাবি করলেও গত ২২ বছর ধরে মালিবাগ এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার এক ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আরেক ভাই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অপর ভাই চলতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রামপুরার চৌধুরীপাড়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছে। মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঝিলের ওই জমিটি মূলত কার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই জমিটি মূলত সরকারি খাসজমি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। যুবলীগের নেতা হিসেবে মনিরুজ্জামানও সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছিল। ওই বাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করছিল। ঝিলের ওপর নির্মিত অবৈধভাবে দখল করা অন্য বাড়িগুলোর মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে কিনা- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম, র্যাব-৩-এর অপারেশন অফিসার সাইফুল ইসলামসহ ওই ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
No comments