বোনদের ভূখণ্ডে সব নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু
জনসমক্ষে
তারা একে অপরকে আপা বলে সম্বোধন করেন। শীর্ষে আরোহণের আগে উভয়েই তারা
একগুঁয়ে রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য সুপরিচিত। সীমান্তের উভয় দিকে এবারের পৌর
নির্বাচনের মওসুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর পশ্চিমবঙ্গের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মুখে এখন একই সুর। সেটা হলো, ‘নির্বাচন ছিল
অবাধ ও সুষ্ঠু।’ দুজনের রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে ঢালাওভাবে জয়ী হয়েছে।
বাংলাদেশে পৌর নির্বাচনের লড়াই রাজনৈতিক দৃশ্যপটের আদলে হয় না। তবে দলগুলো
পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে তাদের পছন্দ প্রকাশ করেন। মঙ্গলবারের
নির্বাচনে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামের পৌর নির্বাচনে ১৮২ জন বিজয়ীর
মধ্যে ১৫২ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্ট। মাত্র ২০ জন বিজয়ীর প্রতি
ছিল বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন। তিন সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকটির মেয়র পদ
গেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের অনুকূলে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের ধরাশায়ী করেছে কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের ১১৪টিতে এবং বিভিন্ন জেলার ৯১টি পৌর কাঠামোর ৭০টিতে জয়ী হয়ে। সীমান্তের উভয় দিকে সাদৃশ্যের তালিকা এখানেই শেষ নয়। এক তরফা ভোটের ফলকে ইঙ্গিত করে ভারত ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন দলগুলোর বিরুদ্ধে পুলিশ ও পোল প্যানেল ব্যবহার করে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতির অভিযোগ যখন পত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যানেলে উঠে এসেছে, তখন ‘দুবোন’ই একই রকম উদ্যোমে মিডিয়াকে তিরস্কার করেছেন। এ ছাড়া জালিয়াতির অভিযোগ খণ্ডনে তারা বিরোধীদের পক্ষে পড়া ভোটের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যখন ভাষা দিবসে অংশ নিতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন দুই নেত্রীর মুখেই ছিল একে অপরের স্তুতি।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ন ভিন্ন। আপনাকে বুঝতে হবে এখানকার বিরোধী দল ধ্বংসাত্মক রাজনীতি আর হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত।’ ৩রা জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্ফুটনাঙ্কে। ওই ঘটনা থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হন। বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিবাদকারীরা যানবাহনে ভয়াবহ পেট্রলবোমা হামলা চালায়। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচন বর্জনের পর থেকেই খালেদা জিয়া ব্যাকফুটে রয়েছেন। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ সরকার। রাজপথে কয়েক মাসের প্রতিবাদে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাদের দাবি মেনে নেয় নি। একচেটিয়া নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হন হাসিনা। এরপর বিএনপি এবং তাদের জোট শরিক কট্টরপন্থি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বের ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর (যে সময়টায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়) বিএনপি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য খালেদা জিয়াও প্রচারণায় নামেন। বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা বুঝতে পারে যে তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হবে এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে তারা নির্বাচন বর্জন করে।
লেটনাইট টক শোতে আবিষ্ট বাংলাদেশে বিএনপির নির্বাচন বর্জন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ফাঁস হয়েছে ফোনালাপ, যেখানে দলের নেতারা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার কৌশল আলোচনা করছেন। মিডিয়ার একটি অংশ প্রতিবেদন করেছে, নির্বাচন থেকে সরে আসাটা বিএনপির একটি পূর্বপরিকল্পিত চাল। বিএনপির মুখপাত্র মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচন স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ হবে এ প্রত্যাশায় আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের দিন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে পুলিশ সহযোগিতা করে ভোটকেন্দ্র দখল করে। এর পরও আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন যদি ১০ ভাগ ভোটকেন্দ্রে জালিয়াতি হয়। কিন্তু ৯৯ শতাংশ কেন্দ্রেই যদি জালিয়াতি হয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। আমাদের ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রত্যাহার করতে হয়েছে।’ বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে নির্বাচনের কাভারেজে মওদুদ আহমদের অভিযোগগুলো প্রতিধ্বনিত হয়। ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেয়া এবং বিরোধী পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার সত্যিকারের অভিযোগই শুধু নয়, মিডিয়াকে কিভাবে নির্বাচনী অনিয়ম ধারণ করতে বাধা দেয়া হয়েছে সে রিপোর্টও এসেছে। কিন্তু নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রত্যাহার সমাজের আওয়ামী লীগ বিরোধী অংশও ঠিক ভালভাবে নেয় নি। ঢাকাভিত্তিক একজন প্রকৌশলী মন্তব্য করেন, আমি বিএনপির প্রতি হতাশ। তারা আবারও মাঠ ছেড়ে গেছে। তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেশে শান্তি আনবে। সীমান্তের এপারে উদাহরণ রয়েছে, মাঠ থেকে সরে গেলে কোন উপকার হয় না। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে পৌর নির্বাচনে বর্ধমান ও চকধা এলাকার পৌর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে তৃণমূল অবাধ জালিয়াতি করেছে অভিযোগ করে সিপিএম নির্বাচন বর্জন করে। এমন পদক্ষেপে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার পরিবর্তে তা বামপন্থি ক্যাডারদের মনোবল আরও দুর্বল করেছে। আর বর্ধমান ও নদীয়া উভয় এলাকায় ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা চরম পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। রাজ্যে আরেকটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় বিজেপি। সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে তৃণমূল একচেটিয়া জয়ী হলেও, সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ৫টি পৌর বডি জিততে সমর্থ হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দ্বারা জালিয়াতির অভিযোগ সত্ত্বেও সিএমসিতে ১৫টি আসনে জয়ী হয় তারা। বাংলাদেশী এক টেলিভিশন চ্যানেলের সম্পাদক বলেন, আমরা জানি যে, পশ্চিমবঙ্গে বনধ চলছে, বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু এখানে বিরোধী দলগুলো স্রেফ মাঠ ছেড়ে চলে গেছে যদিও কিছু প্রার্থী বিশেষ করে মেয়র প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভোট পাচ্ছিলেন। এখানে বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া আদর্শ নয়।
লেখক: দেবদ্বীপ পুরোহিত, ভারতের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের ধরাশায়ী করেছে কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের ১১৪টিতে এবং বিভিন্ন জেলার ৯১টি পৌর কাঠামোর ৭০টিতে জয়ী হয়ে। সীমান্তের উভয় দিকে সাদৃশ্যের তালিকা এখানেই শেষ নয়। এক তরফা ভোটের ফলকে ইঙ্গিত করে ভারত ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন দলগুলোর বিরুদ্ধে পুলিশ ও পোল প্যানেল ব্যবহার করে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতির অভিযোগ যখন পত্রপত্রিকা আর টিভি চ্যানেলে উঠে এসেছে, তখন ‘দুবোন’ই একই রকম উদ্যোমে মিডিয়াকে তিরস্কার করেছেন। এ ছাড়া জালিয়াতির অভিযোগ খণ্ডনে তারা বিরোধীদের পক্ষে পড়া ভোটের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যখন ভাষা দিবসে অংশ নিতে ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন, তখন দুই নেত্রীর মুখেই ছিল একে অপরের স্তুতি।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ন ভিন্ন। আপনাকে বুঝতে হবে এখানকার বিরোধী দল ধ্বংসাত্মক রাজনীতি আর হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত।’ ৩রা জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্ফুটনাঙ্কে। ওই ঘটনা থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হন। বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্ট প্রতিবাদকারীরা যানবাহনে ভয়াবহ পেট্রলবোমা হামলা চালায়। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচন বর্জনের পর থেকেই খালেদা জিয়া ব্যাকফুটে রয়েছেন। বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখান করে আওয়ামী লীগ সরকার। রাজপথে কয়েক মাসের প্রতিবাদে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হওয়া সত্ত্বেও সরকার তাদের দাবি মেনে নেয় নি। একচেটিয়া নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হন হাসিনা। এরপর বিএনপি এবং তাদের জোট শরিক কট্টরপন্থি জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বের ওপর কঠোর চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর (যে সময়টায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়) বিএনপি সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে সিদ্ধান্ত নেয়। এজন্য খালেদা জিয়াও প্রচারণায় নামেন। বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা বুঝতে পারে যে তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হবে এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ দেখিয়ে তারা নির্বাচন বর্জন করে।
লেটনাইট টক শোতে আবিষ্ট বাংলাদেশে বিএনপির নির্বাচন বর্জন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ফাঁস হয়েছে ফোনালাপ, যেখানে দলের নেতারা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ার কৌশল আলোচনা করছেন। মিডিয়ার একটি অংশ প্রতিবেদন করেছে, নির্বাচন থেকে সরে আসাটা বিএনপির একটি পূর্বপরিকল্পিত চাল। বিএনপির মুখপাত্র মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচন স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ হবে এ প্রত্যাশায় আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের দিন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে পুলিশ সহযোগিতা করে ভোটকেন্দ্র দখল করে। এর পরও আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন যদি ১০ ভাগ ভোটকেন্দ্রে জালিয়াতি হয়। কিন্তু ৯৯ শতাংশ কেন্দ্রেই যদি জালিয়াতি হয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। আমাদের ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের প্রত্যাহার করতে হয়েছে।’ বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে নির্বাচনের কাভারেজে মওদুদ আহমদের অভিযোগগুলো প্রতিধ্বনিত হয়। ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেয়া এবং বিরোধী পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার সত্যিকারের অভিযোগই শুধু নয়, মিডিয়াকে কিভাবে নির্বাচনী অনিয়ম ধারণ করতে বাধা দেয়া হয়েছে সে রিপোর্টও এসেছে। কিন্তু নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রত্যাহার সমাজের আওয়ামী লীগ বিরোধী অংশও ঠিক ভালভাবে নেয় নি। ঢাকাভিত্তিক একজন প্রকৌশলী মন্তব্য করেন, আমি বিএনপির প্রতি হতাশ। তারা আবারও মাঠ ছেড়ে গেছে। তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেশে শান্তি আনবে। সীমান্তের এপারে উদাহরণ রয়েছে, মাঠ থেকে সরে গেলে কোন উপকার হয় না। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে পৌর নির্বাচনে বর্ধমান ও চকধা এলাকার পৌর বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে তৃণমূল অবাধ জালিয়াতি করেছে অভিযোগ করে সিপিএম নির্বাচন বর্জন করে। এমন পদক্ষেপে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলার পরিবর্তে তা বামপন্থি ক্যাডারদের মনোবল আরও দুর্বল করেছে। আর বর্ধমান ও নদীয়া উভয় এলাকায় ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তারা চরম পরাজয়ের মুখোমুখি হয়। রাজ্যে আরেকটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় বিজেপি। সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে তৃণমূল একচেটিয়া জয়ী হলেও, সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ৫টি পৌর বডি জিততে সমর্থ হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দ্বারা জালিয়াতির অভিযোগ সত্ত্বেও সিএমসিতে ১৫টি আসনে জয়ী হয় তারা। বাংলাদেশী এক টেলিভিশন চ্যানেলের সম্পাদক বলেন, আমরা জানি যে, পশ্চিমবঙ্গে বনধ চলছে, বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। কিন্তু এখানে বিরোধী দলগুলো স্রেফ মাঠ ছেড়ে চলে গেছে যদিও কিছু প্রার্থী বিশেষ করে মেয়র প্রার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভোট পাচ্ছিলেন। এখানে বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া আদর্শ নয়।
লেখক: দেবদ্বীপ পুরোহিত, ভারতের অনলাইন দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ
No comments