ফের ঢাকায় এনআইএ- জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে তথ্যবিনিময়
ভারতীয়
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনআইএ-এর একটি প্রতিনিধি দল ফের ঢাকায় এসেছে।
দুদেশের জঙ্গি তৎপরতা ও জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্যবিনিময় করতেই তাদের এ সফর বলে
জানিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্র
জানিয়েছে, বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় পলাতক ৮ জঙ্গি সদস্যের খোঁজে ঢাকায়
এসেছেন এনআইএ সদস্যরা। এ আটজনের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক ও বাকি
পাঁচজন ভারতীয়। এনআইএয়ের ধারণা, এই আটজন ঘটনার পরপরই ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করে। এনিয়ে গতকাল দিনভর
মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে শীর্ষ গোয়েন্দা
কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত বাংলাদেশী জঙ্গি ও
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে দুদেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের
মধ্যে তথ্যবিনিময় হয়েছে।
গত রোববার রাতে এনআইএয়ের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সঞ্জীত কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি ঢাকায় আসে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা ঢাকায় অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের ১৭ই নভেম্বর এনআইএয়ের মহাপরিচালক শারদ কুমারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঢাকায় আসে। ওই দলে ডিআইজি অনুরাগ তঙ্গা ও সঞ্জীত কুমার সিং ছিলেন। দুই দিনের সফর শেষে ১৯শে নভেম্বর তারা দেশে ফিরে যান। গত বছরের ২রা অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খগড়াগড়ে আলোচিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাকিল আহমেদ ও সুবহান ওরফে করিম শেখ নামে দুজন নিহত হন। এ সময় আবদুল হাকিম নামে একজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানা যায়, এ তিনজনই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সদস্য। এর পাশাপাশি বর্ধমান পুলিশ সাজিদ ওরফে মাসুম নামে জেমএমবির একজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে। সাজিদের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দা গ্রাম থেকে সাজিদের ভাই মনাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সাজিদের স্ত্রী ফাতিমা বিবিকেও গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে নভেম্বর মাসে এনআইএ যখন ঢাকায় এসেছিল, তখন তাদের সঙ্গে দুই প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে ওঠে। এরই অংশ হিসেবে তারা আবারও ঢাকায় এসেছেন। তাদের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে বিশেষ করে জঙ্গি দমনে তথ্যবিনিময় ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনআইএ। সেই অভিযোগপত্রে কিছু জঙ্গির নাম রয়েছে, যারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের সম্পর্কে খোঁজ করতে ও তথ্য জানানোর জন্যই এনআইএয়ের সদস্যরা ঢাকায় এসেছেন। সূত্র জানায়, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় চার বাংলাদেশীসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি জড়িত। বাংলাদেশের জেএমবি সদস্যরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মালদা, বিরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি শহরে শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একই সঙ্গে ভারতে আত্মগোপন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ভারতীয় নাগরিকদের জেএমবিতে সম্পৃক্ত করা। ভারতে বসেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গি অর্থায়ন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য সংরক্ষণ করে আসছিল। চার্জশিটে যে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ৮ জন এখনও পলাতক। পলাতক জঙ্গি সদস্যরা ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলেও এনআইএ চার্জশিটে উল্লেখ করেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এনআইএয়ের অভিযোগপত্রে যে চার বাংলাদেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফারাজিকান্দার বাসিন্দা শেখ রহমতউল্লাহ ওরফে সাজিদকে গত বছরের ৮ই নভেম্বর কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার্জশিটভুক্ত অপর তিন জঙ্গি সদস্য হলো তালহা শেখ, কাউসার ও নসরুল্লাহ। এ তিনজন এখনও পলাতক। এ ছাড়া আরও পলাতক ৫ জঙ্গি সদস্য যারা ভারতীয় নাগরিক হলেও গ্রেপ্তারের ভয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে এনআইএ ধারণা করছেন। এদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে ভারত সরকার তিন থেকে দশ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পলাতক ভারতীয় পাঁচ জঙ্গি সদস্য হলো বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কেস্টোবটির মাওলানা ইউসুফ শেখ, বীরভূমের বোলপুরের হাবিবুর রহমান শেখ ও বীরভূমের কির্ণহার-কাজী মার্কেটের আমজাদ আলী, নদিয়ার জহিরুল ও বর্ধমানের রেজাউল করিম।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টিও নজরে রাখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। বিশেষ করে দুই ব্লগার হত্যা ও সর্বশেষ আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছেন তারা। ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করেন, বাংলাদেশে জঙ্গি বিস্তার হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তারাও হুমকির মধ্যে থাকবে। কারণ বাংলাদেশের জঙ্গিরা বড় কোন ঘটনার পরপরই ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের জঙ্গিরা ভারতেও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা।
গত রোববার রাতে এনআইএয়ের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সঞ্জীত কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি ঢাকায় আসে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা ঢাকায় অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের ১৭ই নভেম্বর এনআইএয়ের মহাপরিচালক শারদ কুমারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঢাকায় আসে। ওই দলে ডিআইজি অনুরাগ তঙ্গা ও সঞ্জীত কুমার সিং ছিলেন। দুই দিনের সফর শেষে ১৯শে নভেম্বর তারা দেশে ফিরে যান। গত বছরের ২রা অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খগড়াগড়ে আলোচিত বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাকিল আহমেদ ও সুবহান ওরফে করিম শেখ নামে দুজন নিহত হন। এ সময় আবদুল হাকিম নামে একজনকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানা যায়, এ তিনজনই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবির সদস্য। এর পাশাপাশি বর্ধমান পুলিশ সাজিদ ওরফে মাসুম নামে জেমএমবির একজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে। সাজিদের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাব নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দা গ্রাম থেকে সাজিদের ভাই মনাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সাজিদের স্ত্রী ফাতিমা বিবিকেও গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, এর আগে নভেম্বর মাসে এনআইএ যখন ঢাকায় এসেছিল, তখন তাদের সঙ্গে দুই প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার মনোভাব গড়ে ওঠে। এরই অংশ হিসেবে তারা আবারও ঢাকায় এসেছেন। তাদের সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে বিশেষ করে জঙ্গি দমনে তথ্যবিনিময় ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনআইএ। সেই অভিযোগপত্রে কিছু জঙ্গির নাম রয়েছে, যারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের সম্পর্কে খোঁজ করতে ও তথ্য জানানোর জন্যই এনআইএয়ের সদস্যরা ঢাকায় এসেছেন। সূত্র জানায়, বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের ঘটনায় চার বাংলাদেশীসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি জড়িত। বাংলাদেশের জেএমবি সদস্যরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, মালদা, বিরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি শহরে শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল একই সঙ্গে ভারতে আত্মগোপন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ভারতীয় নাগরিকদের জেএমবিতে সম্পৃক্ত করা। ভারতে বসেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গি অর্থায়ন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য সংরক্ষণ করে আসছিল। চার্জশিটে যে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ৮ জন এখনও পলাতক। পলাতক জঙ্গি সদস্যরা ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলেও এনআইএ চার্জশিটে উল্লেখ করেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এনআইএয়ের অভিযোগপত্রে যে চার বাংলাদেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ফারাজিকান্দার বাসিন্দা শেখ রহমতউল্লাহ ওরফে সাজিদকে গত বছরের ৮ই নভেম্বর কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চার্জশিটভুক্ত অপর তিন জঙ্গি সদস্য হলো তালহা শেখ, কাউসার ও নসরুল্লাহ। এ তিনজন এখনও পলাতক। এ ছাড়া আরও পলাতক ৫ জঙ্গি সদস্য যারা ভারতীয় নাগরিক হলেও গ্রেপ্তারের ভয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছে বলে এনআইএ ধারণা করছেন। এদের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে ভারত সরকার তিন থেকে দশ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পলাতক ভারতীয় পাঁচ জঙ্গি সদস্য হলো বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কেস্টোবটির মাওলানা ইউসুফ শেখ, বীরভূমের বোলপুরের হাবিবুর রহমান শেখ ও বীরভূমের কির্ণহার-কাজী মার্কেটের আমজাদ আলী, নদিয়ার জহিরুল ও বর্ধমানের রেজাউল করিম।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টিও নজরে রাখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। বিশেষ করে দুই ব্লগার হত্যা ও সর্বশেষ আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছেন তারা। ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করেন, বাংলাদেশে জঙ্গি বিস্তার হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তারাও হুমকির মধ্যে থাকবে। কারণ বাংলাদেশের জঙ্গিরা বড় কোন ঘটনার পরপরই ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের জঙ্গিরা ভারতেও তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা।
No comments