পুরাকীর্তির বিকৃতি by সুমন মোল্লা
সুলতানি আমলের স্থাপত্যের নিদর্শন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের কুতুব শাহী মসজিদের উঠানে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো |
কুতুব শাহী মসজিদের পাশে মাজার ঘিরে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা l প্রথম আলো |
পুরাকীর্তির
আইন ভঙ্গ করে সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে
‘কুতুব শাহী মসজিদ’-এর পাশে নতুন করে স্থাপনা করা হচ্ছে। এতে করে
পুরাকীর্তির বিকৃতি হলেও প্রতিকারে স্থানীয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
হাওর জনপদের সাংস্কৃতিক সংগঠক ফরিদ রায়হান আক্ষেপ করে বলেন, ‘হাওর মানে
নেই আর নেই। এত নেইয়ের মধ্যে গর্ব করার মতো আছে শুধু কুতুব শাহী মসজিদ।
শুধু ধর্ম ব্যবসার নামে নিজেদের পকেট ভারী করার উদ্দেশ্যে ইট-সিমেন্টের
স্থাপনা করে এখন গর্ব করার জায়গাটিও নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।’
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মসজিদটি পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট। নামকরণ হয়েছে ওই আমলের বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহের নামে। নির্মাণকাল ১৬০০ শতাব্দী। ধারণা করা হয়, অঞ্চলটিতে সুলতানি আমলের শক্তিশালী কোনো শাসকের বিচরণ ছিল। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে ১৯০৯ সালে সরকার মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পুরাকীর্তিটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কবরসদৃশ একটি স্থাপনাকে কুতুব শাহীর কবর ভেবে লাগোয়া বাড়ির লোকজন প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে ওরস পালন করে থাকেন। ওরসে দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। এ থেকেই প্রাপ্ত আয় খাদেম পরিবারের সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। স্থানীয়রা জানান, দিন দিন ভক্ত-সমাগম বাড়ছে। আয়ও বাড়ছে।
এই অবস্থায় ঐতিহাসিক দিকটি কাজে লাগিয়ে খাদেমরা মাজার পরিচয়টিকে বড় করে তুলছেন। এ অবস্থায় সুবিধার জন্য খাদেমরা এখন মসজিদের ৩০ গজের মধ্যে ঘরসহ বড় একটি গম্বুজ নির্মাণ করছেন। এরই মধ্যে পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তা ছাড়া জুমা দিনে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় সামনের অংশে টিন দিয়ে শেড নির্মাণ করা হয়েছে।
আশিক শাহ নামে এক খাদেমের দাবি, মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়, মাজার নয়। কুতুব শাহী মসজিদ পুরাকীর্তি হলে কবর কেন হবে না—এমন প্রশ্নে আশিক শাহ বিব্রতবোধ করেন। সামাদ শাহ নামে আরেক খাদেম জানান, ঢাকার এক ভক্ত নিজের পরিচয় গোপন করে ভবন নির্মাণের অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় জামান খান নামে এক ব্যক্তি কাজটির তদারক করছেন।
গত ২৩ মার্চ মুঠোফোনে কথা হয় জামান খানের সঙ্গে। গম্বুজ নির্মাণের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যিনি করছেন মাজার থেকে ওই ব্যক্তির মনোবাসনা পূরণ হয়েছে। এই কারণে কৃতজ্ঞতা থেকে গম্বুজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ টাকার কাজ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কুতুব শাহী মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘এই স্টেশনে আমি আছি দুই বছর ধরে। কাজটি শুরু হয়েছে তারও আগ থেকে।’ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। একই কথা বলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখি রায়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মসজিদটি পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট। নামকরণ হয়েছে ওই আমলের বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহের নামে। নির্মাণকাল ১৬০০ শতাব্দী। ধারণা করা হয়, অঞ্চলটিতে সুলতানি আমলের শক্তিশালী কোনো শাসকের বিচরণ ছিল। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের কারণে ১৯০৯ সালে সরকার মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পুরাকীর্তিটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কবরসদৃশ একটি স্থাপনাকে কুতুব শাহীর কবর ভেবে লাগোয়া বাড়ির লোকজন প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহে ওরস পালন করে থাকেন। ওরসে দূরদূরান্ত থেকে হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে। এ থেকেই প্রাপ্ত আয় খাদেম পরিবারের সদস্যরা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। স্থানীয়রা জানান, দিন দিন ভক্ত-সমাগম বাড়ছে। আয়ও বাড়ছে।
এই অবস্থায় ঐতিহাসিক দিকটি কাজে লাগিয়ে খাদেমরা মাজার পরিচয়টিকে বড় করে তুলছেন। এ অবস্থায় সুবিধার জন্য খাদেমরা এখন মসজিদের ৩০ গজের মধ্যে ঘরসহ বড় একটি গম্বুজ নির্মাণ করছেন। এরই মধ্যে পিলারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তা ছাড়া জুমা দিনে মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় সামনের অংশে টিন দিয়ে শেড নির্মাণ করা হয়েছে।
আশিক শাহ নামে এক খাদেমের দাবি, মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়, মাজার নয়। কুতুব শাহী মসজিদ পুরাকীর্তি হলে কবর কেন হবে না—এমন প্রশ্নে আশিক শাহ বিব্রতবোধ করেন। সামাদ শাহ নামে আরেক খাদেম জানান, ঢাকার এক ভক্ত নিজের পরিচয় গোপন করে ভবন নির্মাণের অর্থ দিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় জামান খান নামে এক ব্যক্তি কাজটির তদারক করছেন।
গত ২৩ মার্চ মুঠোফোনে কথা হয় জামান খানের সঙ্গে। গম্বুজ নির্মাণের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যিনি করছেন মাজার থেকে ওই ব্যক্তির মনোবাসনা পূরণ হয়েছে। এই কারণে কৃতজ্ঞতা থেকে গম্বুজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ লাখ টাকার কাজ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কুতুব শাহী মসজিদ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। জানতে চাইলে ইউএনও মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘এই স্টেশনে আমি আছি দুই বছর ধরে। কাজটি শুরু হয়েছে তারও আগ থেকে।’ বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। একই কথা বলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখি রায়।
No comments