‘এইডা আবার কী? ’ by কমল জোহা খান
বাজারের থলে বহনে ক্লান্ত ওরা। কিন্তু উপায় নেই। ছবি : কমল জোহা খান |
বাজারের থলে বহনে ক্লান্ত ওরা। কিন্তু উপায় নেই। ছবি : কমল জোহা খান |
‘স্যার, বাজার টানাইবেন। স্যার, নেন না আমারে।’
এটা-সেটা কিনে বাজারের ব্যাগ ভরে ফেলার পর এভাবে ছুটে আসে এই শিশুরা, দুবেলা দুমুঠো খাবার পেতে যাদের কষ্টের শেষ নেই। শরীর অনুপাতে ব্যাগটা ভারী, তাতে কী, দুটো আয় হবে তো। সে টাকায় থামানো যাবে চাগিয়ে ওঠা ক্ষুধা।
বয়স কতইবা হবে ওদের? আট থেকে দশ বছর। খুব বেশি হলে ১২। রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে কাঁচাবাজারের এটি প্রতিদিনের দৃশ্য। বাজার করা মানুষের ভারী ব্যাগ বা থলে রাস্তা পর্যন্ত বয়ে দিয়ে ২০-৩০ টাকা পায় ওরা।
সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাহিদা বুঝে এসব শিশুর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাদের আয় বাবা-মায়ের সংসারে যোগ করে একটুখানি স্বস্তি। কোনো কোনো সংসার তো এসব শিশুর আয়েই চলে।
আজ শুক্রবার এই মে দিবসেও ওরা ঘরে বসে নেই। ক্রেতা-পণ্য বেশি হওয়ায় সকাল হতে না হতে দলবেঁধে ছুটে এসেছে বিশাল এই কাঁচাবাজারে। এদেরই একজন জুনায়েদ। বছর দশেক হবে বয়স। জুনায়েদের দুই হাতে তিনটি ব্যাগ। মাছ-মাংস-সবজিতে ভরা। একেকটি প্রায় ১৫ কেজি ওজনের জিনিস। হাতে বয়ে বেড়াতে কষ্ট হচ্ছিল ওর, তাই কায়দা করে ব্যাগগুলো পিঠে নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছিল জুনায়েদ। ব্যাগের মালিক নির্ভার হয়ে স্বচ্ছন্দে আরও কেনাকাটা সারছিলেন। জুনায়েদের ছবি তোলার সময় তিনি তেড়ে আসেন এই প্রতিবেদকের দিকে। পরে ছেলেটিকে ধমকের সুরে বলেন, ‘ওই চল।’
জুনায়েদের পাশে ছিল হাবিব নামের আরেক শিশু। নয় বছর বয়স। হাবিব জানাল, তারা প্রায় ৩০ জন এই বাজারে প্রতিদিন এভাবে বাজারের ব্যাগ বহন করে। অনেকের বাবা-মা ছেলেকে এ কাজে পাঠান।
হাবিব বলে, ‘আমরা মিরপুর ৬ নম্বরের ট ব্লকের বস্তিতে থাকি। বাবায় রিকশা চালায়। ছয় ভাইবোন আমরা। বস্তিতে মাসে দুই হাজার টাকায় একটা ঘরে ভাড়া থাকি।’
পড়াশোনা করা হয় কি না, জানতে চাইলে হাবিব বলে, ‘বিকাল পর্যন্ত ব্যাগ টানি। দিনে ১৫০ থিকা ২০০ ট্যাকা পাই। বিকালে ইশকুলে পড়ি। তয় নাম জানি না। কোন ক্লাসে পড়ি, কইতে পারুম না।’
আজকের এই মে দিবস সম্পর্কে কিছু জানো কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে ছোট্ট হাবিব ডান-বাম দুদিকে মাথা নাড়ায়। আর বলে, ‘এইডা আবার কী? ’
এটা-সেটা কিনে বাজারের ব্যাগ ভরে ফেলার পর এভাবে ছুটে আসে এই শিশুরা, দুবেলা দুমুঠো খাবার পেতে যাদের কষ্টের শেষ নেই। শরীর অনুপাতে ব্যাগটা ভারী, তাতে কী, দুটো আয় হবে তো। সে টাকায় থামানো যাবে চাগিয়ে ওঠা ক্ষুধা।
বয়স কতইবা হবে ওদের? আট থেকে দশ বছর। খুব বেশি হলে ১২। রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে কাঁচাবাজারের এটি প্রতিদিনের দৃশ্য। বাজার করা মানুষের ভারী ব্যাগ বা থলে রাস্তা পর্যন্ত বয়ে দিয়ে ২০-৩০ টাকা পায় ওরা।
সরকারি বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে চাহিদা বুঝে এসব শিশুর সংখ্যা বেড়ে যায়। তাদের আয় বাবা-মায়ের সংসারে যোগ করে একটুখানি স্বস্তি। কোনো কোনো সংসার তো এসব শিশুর আয়েই চলে।
আজ শুক্রবার এই মে দিবসেও ওরা ঘরে বসে নেই। ক্রেতা-পণ্য বেশি হওয়ায় সকাল হতে না হতে দলবেঁধে ছুটে এসেছে বিশাল এই কাঁচাবাজারে। এদেরই একজন জুনায়েদ। বছর দশেক হবে বয়স। জুনায়েদের দুই হাতে তিনটি ব্যাগ। মাছ-মাংস-সবজিতে ভরা। একেকটি প্রায় ১৫ কেজি ওজনের জিনিস। হাতে বয়ে বেড়াতে কষ্ট হচ্ছিল ওর, তাই কায়দা করে ব্যাগগুলো পিঠে নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছিল জুনায়েদ। ব্যাগের মালিক নির্ভার হয়ে স্বচ্ছন্দে আরও কেনাকাটা সারছিলেন। জুনায়েদের ছবি তোলার সময় তিনি তেড়ে আসেন এই প্রতিবেদকের দিকে। পরে ছেলেটিকে ধমকের সুরে বলেন, ‘ওই চল।’
জুনায়েদের পাশে ছিল হাবিব নামের আরেক শিশু। নয় বছর বয়স। হাবিব জানাল, তারা প্রায় ৩০ জন এই বাজারে প্রতিদিন এভাবে বাজারের ব্যাগ বহন করে। অনেকের বাবা-মা ছেলেকে এ কাজে পাঠান।
হাবিব বলে, ‘আমরা মিরপুর ৬ নম্বরের ট ব্লকের বস্তিতে থাকি। বাবায় রিকশা চালায়। ছয় ভাইবোন আমরা। বস্তিতে মাসে দুই হাজার টাকায় একটা ঘরে ভাড়া থাকি।’
পড়াশোনা করা হয় কি না, জানতে চাইলে হাবিব বলে, ‘বিকাল পর্যন্ত ব্যাগ টানি। দিনে ১৫০ থিকা ২০০ ট্যাকা পাই। বিকালে ইশকুলে পড়ি। তয় নাম জানি না। কোন ক্লাসে পড়ি, কইতে পারুম না।’
আজকের এই মে দিবস সম্পর্কে কিছু জানো কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে ছোট্ট হাবিব ডান-বাম দুদিকে মাথা নাড়ায়। আর বলে, ‘এইডা আবার কী? ’
No comments