কী চাই নতুন মেয়রের কাছে? by পলাশ আহসান
নতুন
মেয়রদের কাছে কে কী চান, এ নিয়ে দেখলাম বেশ আলোচনা হচ্ছে গণমাধ্যমে। একই
আলোচনা চলছে চায়ের দোকান, পাড়ার মোড় এবং জ্যামের মধ্যে যাত্রীবাহী
বাসে। নির্বাচন কেমন হয়েছে, সে আলোচনার গতি এখন খানিকটা কম। মানুষ ভাবছে,
এই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে কীভাবে কাজ করানো যায়।
দ্রুত নির্বাচনী জটিলতা ভুলে কেন মানুষ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে কাজ চাইছে, সে ব্যাখ্যা হয়তো একেকজনের কাছে একেক রকম। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি ছাড়া থাকার কারণে মানুষের বঞ্চনা বেড়েছে। মানুষ দ্রুত সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি চাইছে। কেউ না থাকার চেয়ে কেউ থাকা ভালো—সবাই হয়তো এটাই ভাবছে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ আশাও মানুষের মনে তেমন একটা ছিল না।
জনপ্রতিনিধির কাছে মানুষের চাওয়া এখন পাহাড়সমান। কেউ রাস্তা চায়। কেউ ড্রেন চায়। কেউ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায়। আবার কেউ বা চায় যানজট থেকে মুক্তি। মাদকসহ নানা অপরাধপ্রবণতার হাত থেকেও মুক্তি চায় কেউ কেউ। মোদ্দা কথা, এই নগরে মানুষের ভালো থাকার আকুতি প্রবল। কারণ, তারা ভালো নেই।
এই নগরে একজন মানুষ সকালে কাজে বের হয় এবং রাতে ঘরে ফেরে। এই দীর্ঘ সময়ে যতটা না কাজ করে, তার চেয়ে বেশি সময় তাকে নষ্ট করতে হয়। শুধু কি যানজট? হাজারো সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। তবে সবচেয়ে বেশি শিকার হতে হয় প্রতারকের। দিনের শুরুতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাওয়ালা ধমক দেয়, ‘ট্রাফিক জিগাইলে কইবেন মিটারে যাইতাছেন।’ বাসে উঠে নিরাপদে কখনো কখনো নামতে পারলেও নিস্তার নেই ভিড়ের মধ্যে রিকশার জন্য দাঁড়ালে। পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে মুহূর্তেই।
এমন তো হওয়ার কথা নয়। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য আছেন। কিন্তু তাঁদের কাজ যেন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া নয়। রাস্তায় বের হওয়া মানুষটি যদি নারী হন, তাহলে তাঁর সমস্যা আর লিখে শেষ করা যাবে না। এর জন্য সারা দিন তাঁকে অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি সমস্যা খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ৮০ শতাংশ কারণ অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচার। অব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আর স্বেচ্ছাচার নাগরিকের নিজের। বেশির ভাগ নগরবাসীই নগরজীবনের সমস্যা তৈরি করে অথবা করার সুযোগ পায়। এই অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচারের দুষ্টচক্রই সব দুর্ভোগের কারণ। আঘাত করা দরকার এখানেই।
মেয়রদের ক্ষমতা সীমিত। তাঁদের পক্ষে গণ্ডির বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা সেই সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই সব করার চেষ্টা করবেন, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করবেন—এটাই সবার প্রত্যাশা।
লেখক: নাগরিক, ঢাকা
দ্রুত নির্বাচনী জটিলতা ভুলে কেন মানুষ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে কাজ চাইছে, সে ব্যাখ্যা হয়তো একেকজনের কাছে একেক রকম। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি ছাড়া থাকার কারণে মানুষের বঞ্চনা বেড়েছে। মানুষ দ্রুত সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তি চাইছে। কেউ না থাকার চেয়ে কেউ থাকা ভালো—সবাই হয়তো এটাই ভাবছে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এ আশাও মানুষের মনে তেমন একটা ছিল না।
জনপ্রতিনিধির কাছে মানুষের চাওয়া এখন পাহাড়সমান। কেউ রাস্তা চায়। কেউ ড্রেন চায়। কেউ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায়। আবার কেউ বা চায় যানজট থেকে মুক্তি। মাদকসহ নানা অপরাধপ্রবণতার হাত থেকেও মুক্তি চায় কেউ কেউ। মোদ্দা কথা, এই নগরে মানুষের ভালো থাকার আকুতি প্রবল। কারণ, তারা ভালো নেই।
এই নগরে একজন মানুষ সকালে কাজে বের হয় এবং রাতে ঘরে ফেরে। এই দীর্ঘ সময়ে যতটা না কাজ করে, তার চেয়ে বেশি সময় তাকে নষ্ট করতে হয়। শুধু কি যানজট? হাজারো সমস্যায় পড়তে হয় তাকে। তবে সবচেয়ে বেশি শিকার হতে হয় প্রতারকের। দিনের শুরুতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাওয়ালা ধমক দেয়, ‘ট্রাফিক জিগাইলে কইবেন মিটারে যাইতাছেন।’ বাসে উঠে নিরাপদে কখনো কখনো নামতে পারলেও নিস্তার নেই ভিড়ের মধ্যে রিকশার জন্য দাঁড়ালে। পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে মুহূর্তেই।
এমন তো হওয়ার কথা নয়। রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য আছেন। কিন্তু তাঁদের কাজ যেন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া নয়। রাস্তায় বের হওয়া মানুষটি যদি নারী হন, তাহলে তাঁর সমস্যা আর লিখে শেষ করা যাবে না। এর জন্য সারা দিন তাঁকে অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিটি সমস্যা খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, ৮০ শতাংশ কারণ অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচার। অব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আর স্বেচ্ছাচার নাগরিকের নিজের। বেশির ভাগ নগরবাসীই নগরজীবনের সমস্যা তৈরি করে অথবা করার সুযোগ পায়। এই অব্যবস্থাপনা আর স্বেচ্ছাচারের দুষ্টচক্রই সব দুর্ভোগের কারণ। আঘাত করা দরকার এখানেই।
মেয়রদের ক্ষমতা সীমিত। তাঁদের পক্ষে গণ্ডির বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁরা সেই সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই সব করার চেষ্টা করবেন, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করবেন—এটাই সবার প্রত্যাশা।
লেখক: নাগরিক, ঢাকা
No comments