উভয় সংকটে সালাহউদ্দিনের স্ত্রী by দীন ইসলাম
কি
করবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
আইনি লড়াই চালিয়ে ভারতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন নাকি মুক্ত করে
সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন- এ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন।
গতকাল পর্যন্ত দুদিনের শিলং আগমনে তার দিন কাটছে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে।
প্রথম দিন স্বামীর সঙ্গে দেখা করা ছাড়া আর কোন কাজ করেননি। কিন্তু দ্বিতীয়
দিন আইনজীবীদের অফিস, এসপি অফিস ও হাসপাতাল- এ তিন জায়গায় রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি
করেছেন। এসব আসা যাওয়ার তার সঙ্গী বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ
জনি, জাপান প্রবাসী ক্যাপ্টেন রবিন কে জামান, বোনের জামাই, ভাতিজা আবদুল
করিমসহ স্থানীয় কয়েক জন। গতকাল হাসিনা আহমেদের দিন শুরু হয় স্বামীর সঙ্গে
সাক্ষাতের মাধ্যমে। স্বামীর সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টায় দেখা করার সময়
সালাহউদ্দিন ও মিসেস সালাহউদ্দিন আইনগত বিষয়গুলো নিয়েই বেশি আলোচনা করেছেন।
পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন সালাহউদ্দিন। এছাড়া নিজের
শরীরের নানা সমস্যার কথাও বলেন তিনি। বাইরে বেরিয়ে হাসিনা আহমেদ
সাংবাদিকদের বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদের শরীর খুবই খারাপ। তাই তাকে সিঙ্গাপুর
নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। কারণ সেখানেই এর আগে তার চিকিৎসা হয়েছে।
সালাহউদ্দিনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হাসিনা বলেন, উনার শরীর খুবই খারাপ।
একটানা দুই মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। হাত-পা কাঁপতে থাকে। খুব দ্রুত
তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিনের হৃদরোগের সমস্যা আছে।
কিডনির সমস্যাও জটিল আকার ধারণ করেছে। এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন,
ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই সেখানে
চিকিৎসার জন্য যায়। তাহলে তিনি স্বামীকে কেন তৃতীয় একটি দেশে নিতে চাচ্ছেন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসিনা আহমদ বলেন, গত ২০ বছর ধরে সালাহউদ্দিনের সব
চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে হয়েছে। হৃদরোগের জন্য তিনবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
রিং পরানো হয়েছে। কিডনির চিকিৎসাও সিঙ্গাপুরেই হচ্ছে। তাই সেখানেই স্বামীকে
নিয়ে যেতে চাই। তৃতীয় দেশ বলতে তারা সিঙ্গাপুরকেই বোঝাচ্ছেন। সিঙ্গাপুরে
নেয়ার ব্যাপারে আইনি জটিলতার বিষয়টি বিবেচনা করছেন কিনা জানতে চাইলে হাসিনা
আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে জটিলতা আছে কিনা, বুঝতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা
বলবো। অপরাধবিষয়ক আইনজীবী এসপি মাহান্ত ব্যস্ত থাকায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি।
তার কার্যালয়ের কনিষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে
স্বামীর সঙ্গে কি কথা হলো জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, পারিবারিক বিষয় ও
বাচ্চাদের নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এদিকে বিকাল পাঁচটার দিকে
মোহান্তের সঙ্গে দেখা করেন হাসিনা আহমেদ। এ সময় মামলার বিষয়ে তারা কথা
বলেন। এর আগে সালাহউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার আগে দুপুরে শিলংয়ের লাশুমের
এলাকায় ক্রিমিনালবিষয়ক আইনজীবী এসপি মাহান্তর কার্যালয়ে যান হাসিনা আহমেদ।
এসপি মাহান্ত এ সময় আদালতে থাকায় হাসিনা তার কনিষ্ঠ সহকর্মীদের সঙ্গে
আলোচনা করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে
মামলার বিষয়ে শেয়ার করবেন হাসিনা আহমেদ। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কোন
লাইনে যাবেন। এ নিয়েও দোটানায় রয়েছেন হাসিনা আহমেদ। এদিকে শিলং সিভিল
হাসপাতালে সালাহউদ্দিনের কার্ডিওলজিস্ট জি কে গোস্বামী জানান,
সালাহউদ্দিনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার করা
সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এতে সালাহউদ্দিনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা
ধরা পড়েছে। এছাড়া তার চর্মরোগের সমস্যা আছে। এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।
সব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। এদিকে
সালাহউদ্দিন আহমদকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোয় দেরি হতে পারে। মেঘালয়ের ইংরেজি
দৈনিক শিলং টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সালাহউদ্দিনকে ফেরত
পাঠাতে দেরি হতে পারে।
নতুন করে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি
স্বামী সালাহউদ্দিনকে পেয়ে যেন নতুন করে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি- এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করলেন শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালের ইউটিপি সেলে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তবে নিখোঁজ হওয়ার আগের সাক্ষাতের সময় দেখা সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বর্তমান সালাহউদ্দিনের বিস্তর ফারাক বলে মনে করেন তিনি। গতকাল দুপুরে শিলংয়ের পুলিশ বাজারস্থ হোটেল সেন্টার পয়েন্ট হোটেলের লবিতে বসে মানবজমিনকে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, ভাতিজা আ. করিম (সাফওয়ান) ও স্থানীয় বাসিন্দা স্ট্যালিনসহ আরও দুই নিকটাত্মীয় উপস্থিত ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে দুই মাস ১৫ দিন পর আবার দেখা হয়েছে- কেমন লাগছে আপনার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তবে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার পর মানুষের যেমন অবস্থা হয় আমারও তেমন অবস্থা হয়েছে। সোমবার ও গতকাল সিভিল হাসপাতালের ইউটিপি সেলে কেমন দেখলেন স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে- এমন প্রশ্নে কিছুটা চুপ করে যান হাসিনা আহমেদ। এ সময় তার চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। নিজেকে সামলে তিনি বলেন, এমন সালাহউদ্দিনকে আমি চাইনি। এত শুকিয়ে গেছে। মনে হয়েছে আমি কোন কঙ্কালের সঙ্গে কথা বলছি। এ কারণে সেলের ভেতর গিয়ে নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমার চোখের সামনে দেখলাম একটি জলজ্যান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে বলুন। তার কি কি শারীরিক অসুবিধা রয়েছে?- এমন প্রশ্নে হাসিনা আহমেদ বলেন, তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ রিংটি মাত্র ছয় মাস আগে পরানো হয়েছে। এখনও রিংটি সেট হয়নি। অন্যদিকে বাম দিকে কিডনি অনেক বড় হয়ে গেছে। ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিক্রম করেছে। চর্মসহ নানা ছোটখাটো সমস্যাতো রয়েছেই। কি বলবো বলুন। তাহলে কি শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে তার চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? প্রশ্নটি শেষ হওয়ার আগেই কথাটি ছোঁ মেরে নিয়ে তিনি বলেন, না না তা হবে কেন। আমার স্বামীর দেখভালের জন্য আমি ভারত সরকার, মেঘালয়ের প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খুব খুব কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার স্বামীকে আশ্রয় দিয়েছেন ও সেবা দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করবো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য থার্ড কোন দেশে নিয়ে যেতে। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে বারবার থার্ড দেশে চিকিৎসার কথা বলছেন কেন?- এর জবাবে হাসিনা আহমেদ বলেন, ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আমি পূর্ণ আস্থাশীল। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বা বিশেয়ায়িত ডাক্তারের অধীনে সিঙ্গাপুরে তার কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। ওই চিকিৎসা ব্যবস্থায় তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। এ কারণে তৃতীয় কোন দেশে চিকিৎসার কথা বলছি আমরা। সালাহউদ্দিনের কোন বিষয়ে আপনারা আপাতত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন?- এর জবাবে তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপাতত আমরা বেশি উদ্বিগ্ন। শিগগিরই তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো না হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। আইনি লড়াই চালানোর জন্য আপনাদের প্রস্তুতি কতটুকু?- এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিনের সহধর্মিণী বলেন, গত দুই দিন তার (সালাহউদ্দিন) সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে সামান্য কথাবার্তা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে চেষ্টা করবো আইনজীবী নিয়ে এসে কথাবার্তা বলতে। এখনও আইনজীবী ঠিক করিনি। তবে আইনজীবী নিয়োগের কথাবার্তা চলছে। এই মুহূর্তে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে?- হাসিনা আহমেদ বলেন, দেশবাসীর দোয়ায় আমার স্বামীকে ফিরে পেয়েছি। আমি সবার কাছে এ নিয়ে কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য, হাসিনা আহমেদ গত সোমবার টানা জার্নি করে ভারতের শিলংয়ে আসার পর থেকে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। স্বামীর সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন।
নতুন করে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি
স্বামী সালাহউদ্দিনকে পেয়ে যেন নতুন করে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি- এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করলেন শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালের ইউটিপি সেলে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তবে নিখোঁজ হওয়ার আগের সাক্ষাতের সময় দেখা সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বর্তমান সালাহউদ্দিনের বিস্তর ফারাক বলে মনে করেন তিনি। গতকাল দুপুরে শিলংয়ের পুলিশ বাজারস্থ হোটেল সেন্টার পয়েন্ট হোটেলের লবিতে বসে মানবজমিনকে এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, ভাতিজা আ. করিম (সাফওয়ান) ও স্থানীয় বাসিন্দা স্ট্যালিনসহ আরও দুই নিকটাত্মীয় উপস্থিত ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে দুই মাস ১৫ দিন পর আবার দেখা হয়েছে- কেমন লাগছে আপনার? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুভূতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তবে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার পর মানুষের যেমন অবস্থা হয় আমারও তেমন অবস্থা হয়েছে। সোমবার ও গতকাল সিভিল হাসপাতালের ইউটিপি সেলে কেমন দেখলেন স্বামী সালাহউদ্দিন আহমেদকে- এমন প্রশ্নে কিছুটা চুপ করে যান হাসিনা আহমেদ। এ সময় তার চোখ ছলছল করতে দেখা যায়। নিজেকে সামলে তিনি বলেন, এমন সালাহউদ্দিনকে আমি চাইনি। এত শুকিয়ে গেছে। মনে হয়েছে আমি কোন কঙ্কালের সঙ্গে কথা বলছি। এ কারণে সেলের ভেতর গিয়ে নিজেকে সামলাতে পারিনি। আমার চোখের সামনে দেখলাম একটি জলজ্যান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে বলুন। তার কি কি শারীরিক অসুবিধা রয়েছে?- এমন প্রশ্নে হাসিনা আহমেদ বলেন, তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ রিংটি মাত্র ছয় মাস আগে পরানো হয়েছে। এখনও রিংটি সেট হয়নি। অন্যদিকে বাম দিকে কিডনি অনেক বড় হয়ে গেছে। ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিক্রম করেছে। চর্মসহ নানা ছোটখাটো সমস্যাতো রয়েছেই। কি বলবো বলুন। তাহলে কি শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে তার চিকিৎসায় গাফিলতি হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? প্রশ্নটি শেষ হওয়ার আগেই কথাটি ছোঁ মেরে নিয়ে তিনি বলেন, না না তা হবে কেন। আমার স্বামীর দেখভালের জন্য আমি ভারত সরকার, মেঘালয়ের প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খুব খুব কৃতজ্ঞ। কারণ তারা আমার স্বামীকে আশ্রয় দিয়েছেন ও সেবা দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করবো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য থার্ড কোন দেশে নিয়ে যেতে। ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে বারবার থার্ড দেশে চিকিৎসার কথা বলছেন কেন?- এর জবাবে হাসিনা আহমেদ বলেন, ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আমি পূর্ণ আস্থাশীল। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বা বিশেয়ায়িত ডাক্তারের অধীনে সিঙ্গাপুরে তার কয়েক বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। ওই চিকিৎসা ব্যবস্থায় তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ আছেন। এ কারণে তৃতীয় কোন দেশে চিকিৎসার কথা বলছি আমরা। সালাহউদ্দিনের কোন বিষয়ে আপনারা আপাতত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন?- এর জবাবে তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপাতত আমরা বেশি উদ্বিগ্ন। শিগগিরই তাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো না হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। আইনি লড়াই চালানোর জন্য আপনাদের প্রস্তুতি কতটুকু?- এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিনের সহধর্মিণী বলেন, গত দুই দিন তার (সালাহউদ্দিন) সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে সামান্য কথাবার্তা হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে চেষ্টা করবো আইনজীবী নিয়ে এসে কথাবার্তা বলতে। এখনও আইনজীবী ঠিক করিনি। তবে আইনজীবী নিয়োগের কথাবার্তা চলছে। এই মুহূর্তে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে?- হাসিনা আহমেদ বলেন, দেশবাসীর দোয়ায় আমার স্বামীকে ফিরে পেয়েছি। আমি সবার কাছে এ নিয়ে কৃতজ্ঞ। উল্লেখ্য, হাসিনা আহমেদ গত সোমবার টানা জার্নি করে ভারতের শিলংয়ে আসার পর থেকে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। স্বামীর সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও আইনগত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিচ্ছেন।
No comments