যুক্তরাষ্ট্রে বাইক রাখা নিয়ে পাঁচ গ্রুপের গোলাগুলি
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে রোববার প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ ‘মোটরবাইকার’ গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ১৮ জন। স্থানীয় সাংবাদিকদের পুলিশ বলছে, টেক্সাসের মধ্যাঞ্চল ওয়াকোর এক রেস্তোরাঁয় (টুইন পিকস স্পোর্টস বার অ্যান্ড গ্রিল) এ বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে পাঁচটি চক্র অংশ নেয়। যেখানে বন্দুকযুদ্ধ চলে তার মাত্র ২৫ ফুট দূরে কিছু পরিবার ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ হতাহত হয়নি। ওয়াকো পুলিশের ধারণা, রেস্তোরাঁর পার্কিং স্পেসে বাইক রাখার জায়গা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্র“পগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাইকারদের পাঁচটি দল এ ঘটনায় জড়িত। এক প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে ওয়াকো ট্রিবিউন-হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হলে ওই রেস্তোরাঁর গাড়ি রাখার জায়গা রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। মাইকেল লোগান নামের ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অন্তত ৩০টি অস্ত্র থেকে কয়েকশ’ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হন, হাসপাতলে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয় বলে ওয়াকো পুলিশ জানিয়েছে।
ওই রেস্তোরাঁয় যারা খেতে এসেছিলেন এবং যারা কাজ করছিলেন, তারা সবাই গুলি থেকে বাঁচতে খাবার রাখার একটি হিমঘরে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ এসে পাহারা দিয়ে তাদের সরিয়ে নেয়। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট ডব্লিউ প্যাট্রিক সোয়ানটন জানান, মারামারি শুরু হয় ঘোষাঘুষি দিয়ে। এরপর চেইন, গদা, ছুরি এবং শেষপর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রুপগুলো রীতিমতো যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়। ‘আমার ৩৪ বছরের পুলিশের চাকরিতে এমন ঘটনা দেখিনি, চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত’, বলেন সোয়ানটন। সার্জেন্ট সোয়ানটন জানান, গোলাগুলি শুরুর পর পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয় এবং অস্ত্রসহ অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। ‘বাইকারদের এসব গ্যাং খুবই ভয়ঙ্কর। বহু নিরীহ মানুষ হয়তো আজ আহত হয়েছে।’ এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা সরে গিয়ে শহরের অন্য কোথাও আবারও সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, বন্দুক ও ছুরি হামলায় প্রায় ১৮ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একশরও বেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করছে, কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রয়োজনে পুলিশ ভ্যানে করে অনেককে তুলেও নিয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকে ওয়াকো পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় কোনো পুলিশ আহত হয়নি।
No comments