নেপালে মানবিক সঙ্কট, চারদিকে শুধু লাশ
চারদিকে
লাশ আর লাশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে শুধু লাশ। শিশুর লাশ। নারীর লাশ। মায়ের
লাশ। বোনের লাশ। তার মাঝে এখনও রয়েছে জীবন্ত মানুষের বাঁচার শেষ আকুতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভূমিকম্পের পরবর্তী ৭২ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ
সময়ের মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করা না গেলে তাদের প্রাণপ্রদীপ নিভে
যাওয়ার আশঙ্কা আছে। নেপালে এ এক অবর্ণনীয় দৃশ্য। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ। একটি
বহুতল ভবনের ধাক্কায় পড়ে আছে আরেকটি ভবন। যেকোন দিকে চোখ রাখলেই এমন
ভয়াবহতাই ফুটে উঠছে। উদ্ধারকর্মীরা পরিস্থিতি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন।
তার ওপর একের পর এক ভূমিকম্পে পরিস্থিতিকে সঙ্গীন করে তুলেছে। ১৯৩৪ সালের
পর সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২০০০।
অসংখ্য মানুষ হয়েছে হয়েছেন আহত। এখন সরকার ও উদ্ধারকর্মীদের জন্য জীবিতদের
উদ্ধার করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। জরুরি সহায়তা বিষয়ক
প্রোগ্রাম আমেরিকেয়ারস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট গারেথ ইঙ্গোগলিয়া বলেছেন ,
ঘটনার পরের ৭২ ঘন্টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ের মধ্যে জীবিতদের
উদ্ধার করা না গেলে তাদের প্রাণহানীর সমূহ আশঙ্কা থাকে। ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিন
পরে জীবিত মানুষকে উদ্ধারের সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়। ভূমিকম্পের পর আবার
ভূমিকম্পে উদ্ধার অভিযান মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো
যাচ্ছে না। সব মিলে নেপালে সৃষ্টি হয়েছে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
No comments