ইংলাকের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
থাইল্যান্ডের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার দেশ ত্যাগে (বিদেশ ভ্রমণ)
নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্যাংককের একটি আদালত। ক্ষমতায় থাকাকালীন চালে
ভর্তুকি প্রকল্পে অবহেলার মামলার শুনানি চলাকালে মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞা
জারি করা হয়। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি বিতর্কিত চাল কেনা প্রকল্পে ভর্তুকিতে
দায়িত্বে অবহেলা করেছেন বলে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে
কমপক্ষে ১০ বছরের জেল হবে ইংলাকের। খবর বিবিসির। মামলার পরবর্তী শুনানির
জন্য আগামী ২১ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিতর্কিত এই মামলাটির প্রথম
শুনানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি চলাকালে ৪৭ বছর বয়সী ইংলাকের বিদেশ
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৩ কোটি বাথ (প্রায় ৯ লাখ মার্কিন ডলার) বন্ডের
বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দেশটির
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন চালে ভর্তুকি প্রকল্পে অবহেলা প্রদর্শন করেন
ইংলাক। ফলে সরকারি কোষাগারের ১৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। মঙ্গলবার
আদালতে হাজির হওয়ার পর সিনাওয়াত্রা সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব এবং এ
ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। এর আগে গত সপ্তাহে থাই সংবাদপত্রকে দেয়া এক বিবৃতিতে
তিনি বলেছিলেন, তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আইনি লড়াই চালাতে
প্রস্তুত। দেশটিতে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশটির
প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২০১৪
সালে দেশটির সাংবিধানিক আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে পদত্যাগ
করার রায় দেয়। এরপর ওই বছরেরই মে মাসে সেনাবাহিনী তাকে পদচ্যুত করে ক্ষমতা
দখল করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার পার্লামেন্টে ভোটের
মাধ্যমে ইংলাককে অভিশংসিত করে। পাশাপাশি রাজনীতিতে পাঁচ বছরের জন্য
নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। ইংলাকের বড় ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ২০০৬ সালে
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদচ্যুত করেছিল সেনাবাহিনী। বর্তমানে তিনি
নির্বাসনে রয়েছেন।
No comments