কালভার্ট আটকে মাছ চাষ বিপাকে কৃষক ও জেলে
দুই কিলোমিটারের ব্যবধানে পানির প্রবাহের তিনটি বড় প্রতিবন্ধকতার কারণে এখন ওই অঞ্চলের অন্য সেতুগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে |
কিশোরগঞ্জের
ভৈরবে মাছ চাষের জন্য সিমেন্টের দেয়াল তৈরি করে কয়েকটি কালভার্টের
পানিপ্রবাহ আটকে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। বিল ভরাট
করে করা হয়েছে পুকুর। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও জেলেরা।
ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দারা জানান, মেঘনার শাখা নদী উপজেলার শিমুলকান্দি, সাদেকপুর, শ্রীনগর ও আগানগর ইউনিয়নের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত। আবার শিমুলকান্দি ইউনিয়ন দিয়ে কোদালকাটির খাল নামে একটি দীর্ঘ খাল মেঘনার সঙ্গে মিলেছে। পানির সহজলভ্যতার কারণে চার ইউনিয়নের জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পান আর কৃষকেরা পান সেচসুবিধা। প্রবাহ ঠিক রাখতে সরকার চার ইউনিয়নে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ১০টি সেতু নির্মাণ করেছে। কিন্তু দুই কিলোমিটারের ব্যবধানে পানির প্রবাহের তিনটি বড় প্রতিবন্ধকতার কারণে এখন ওই অঞ্চলের অন্য সেতুগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে। পাশাপাশি খাল, বিল ও নদী মরতে বসেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এক বছর আগে দেয়াল তুলে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন একটি কালভার্ট বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী ফুল মিয়া। এরই মধ্যে তিনি মাটি ভরাট করে ফেলেছেন। তবে জনতার বাধার মুখে কালভার্টের নিচ দিয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে কোনো রকম পানি সরবরাহ সচল রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শিমুলকান্দি উপজেলার শিমুলকান্দি বাজারের কাছের কালভার্টটিরও একই অবস্থা। ওই কালভার্টে একই কায়দায় পানি আটকে দুই বছর ধরে মাছ চাষ করছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফিকুল ইসলাম ওরফে হারিছ। আর তিন বছর আগে শ্রীনগর ইউনিয়নের বাউশমারা গ্রামে বিল ভরাট করে পুকুর তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কফিল উদ্দিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীনগর, শিমুলকান্দিসহ কয়েকটি এলাকার কৃষকেরা জানিয়েছেন, পানির অভাবে এবার তাঁরা বীজতলা করতে পারেননি।
শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সেতু-সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে তাঁরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন তাঁরা কেই হাঁড়িপাতিল বিক্রি করেন। আবার কেই কামলার কাজ করেন।
শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ফুল মিয়া ও কফিল উদ্দিন প্রভাবশালী। সে কারণেই কিছু করা সম্ভব হয়নি।
পানি আটকে দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফুল মিয়া বলেন, বন্ধ করলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, পাইপ দেওয়া আছে। আর কফিল উদ্দিন বলেন, ফুল মিয়া ও হারিছও তো একই কাজ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খবর নেবেন। সত্যতা পেলে প্রতিকারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দারা জানান, মেঘনার শাখা নদী উপজেলার শিমুলকান্দি, সাদেকপুর, শ্রীনগর ও আগানগর ইউনিয়নের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত। আবার শিমুলকান্দি ইউনিয়ন দিয়ে কোদালকাটির খাল নামে একটি দীর্ঘ খাল মেঘনার সঙ্গে মিলেছে। পানির সহজলভ্যতার কারণে চার ইউনিয়নের জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পান আর কৃষকেরা পান সেচসুবিধা। প্রবাহ ঠিক রাখতে সরকার চার ইউনিয়নে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ১০টি সেতু নির্মাণ করেছে। কিন্তু দুই কিলোমিটারের ব্যবধানে পানির প্রবাহের তিনটি বড় প্রতিবন্ধকতার কারণে এখন ওই অঞ্চলের অন্য সেতুগুলো অকার্যকর হয়ে গেছে। পাশাপাশি খাল, বিল ও নদী মরতে বসেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এক বছর আগে দেয়াল তুলে উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের শ্রীনগর উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন একটি কালভার্ট বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকার প্রভাবশালী ফুল মিয়া। এরই মধ্যে তিনি মাটি ভরাট করে ফেলেছেন। তবে জনতার বাধার মুখে কালভার্টের নিচ দিয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে কোনো রকম পানি সরবরাহ সচল রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শিমুলকান্দি উপজেলার শিমুলকান্দি বাজারের কাছের কালভার্টটিরও একই অবস্থা। ওই কালভার্টে একই কায়দায় পানি আটকে দুই বছর ধরে মাছ চাষ করছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফিকুল ইসলাম ওরফে হারিছ। আর তিন বছর আগে শ্রীনগর ইউনিয়নের বাউশমারা গ্রামে বিল ভরাট করে পুকুর তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কফিল উদ্দিন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রীনগর, শিমুলকান্দিসহ কয়েকটি এলাকার কৃষকেরা জানিয়েছেন, পানির অভাবে এবার তাঁরা বীজতলা করতে পারেননি।
শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সেতু-সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগে তাঁরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এখন তাঁরা কেই হাঁড়িপাতিল বিক্রি করেন। আবার কেই কামলার কাজ করেন।
শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ফুল মিয়া ও কফিল উদ্দিন প্রভাবশালী। সে কারণেই কিছু করা সম্ভব হয়নি।
পানি আটকে দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফুল মিয়া বলেন, বন্ধ করলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, পাইপ দেওয়া আছে। আর কফিল উদ্দিন বলেন, ফুল মিয়া ও হারিছও তো একই কাজ করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খবর নেবেন। সত্যতা পেলে প্রতিকারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments