মানুষগুলোকে বাঁচাতে এখনই ব্যবস্থা নিন -জাতিসংঘের চার সংস্থা ও দপ্তরের যৌথ বিবৃতি
গভীর
সাগরে ভাসতে থাকা হাজারো বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং এরই
মধ্যে উদ্ধার হওয়া মানুষের প্রাণ রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান
জানিয়েছে জাতিসংঘের চারটি সংস্থা ও দপ্তর।
গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতি ওই আহ্বান জানায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ দূত (এসআরএসজি) ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কার্যালয়। আর এসব লোককে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।
সাগরে ভাসমান নারী-পুরুষ ও শিশুদের অমানবিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া লোকজন এবং বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে বিভিন্ন নৌযানে ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুরক্ষা, নিরাপদে তীরে অবতরণের সুযোগ দেওয়া, জীবন বাঁচানোর বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া, অধিকার রক্ষা এবং মানবিক মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমরা ওই দেশগুলোর নেতাদের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে এসব বিষয়ে নয় দফা সুপারিশ করা হয়।
গণমাধ্যমের খবর ও মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, গভীর সাগরে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ও মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সাত-আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভেসে বেড়াচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে এই ব্যক্তিদের নিয়ে মর্মান্তিক যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে এটি নিশ্চিত যে সারা বিশ্বের অরক্ষিত মানুষেরা নিরাপত্তা ও মর্যাদার খোঁজে এবং নিপীড়ন, দারিদ্র্য, নানা রকমের বঞ্চনা, বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে এ রকম বিপজ্জনক যাত্রাকে বেছে নিচ্ছেন। এই যাত্রা স্থল, নৌ বা আকাশ যে পথেই হোক না কেন, তা বৈশ্বিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাগরের বিপৎসংকুল যাত্রায় পা বাড়িয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। শুধু চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই পাড়ি জমানো মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রযাত্রায় বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তাঁদের প্রায় এক হাজার লোক মারা গেছেন। সমসংখ্যক লোক মারা গেছেন পাচারকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গোপসাগরে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের শুধু ভাত খেতে দেওয়া ও যৌন নির্যাতনসহ সহিংসতার সম্মুখীন করা হয়েছে। নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। শিশুদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন ও নির্যাতন করা হয়েছে। পুরুষদের মারধর ও সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রস্তাব: গভীর সাগরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ভেসে চলা মানুষগুলোকে আশ্রয়দানের প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন। এই মানুষগুলোর জন্য থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যখন তাদের সীমান্ত বন্ধ এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী কোনো নৌকা কূলের কাছাকাছি ভিড়লে তা সাগরে ঠেলে পাঠাচ্ছে, ঠিক সে মুহূর্তে এই প্রস্তাব দিল ফিলিপাইন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনই প্রথম ভাসমান এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিল। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর ফোরাম আসিয়ানের সদস্য। গত কিছু দিন ধরে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ওই তিন দেশের প্রতি সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিল। একই সঙ্গে চাপ দিচ্ছিল মানুষগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর মুখপাত্র হারমিনিয়ো কলোমা বলেন, ‘নৌকারোহীদের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ফিলিপাইন এবং সত্তরের দশকে ভিয়েতনামি অভিবাসীদের জন্য ব্যবহৃত আশ্রয়কেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রস্তুত করার কাজ শুরু করা হয়েছে।’
কলোমা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ সনদের অধীন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এই মানুষগুলোর জীবন বাঁচাতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আমাদের প্রচলিত ও দীর্ঘদিনের ব্যবস্থার আলোকেই এ প্রচেষ্টা চালানো হবে।’
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ফিলিপাইন সরকারের এই প্রস্তাব উদ্ধার হওয়া অভিবাসী ও সাগরে ভাসমান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে চলা সংকট সমাধানে দারুণ আশার সঞ্চার করেছে।
আইওএমের মুখপাত্র জো লোউরি বলেন, ‘এটা আশা জাগানোর মতোই চিহ্ন। সেই সঙ্গে আমরা আশা করব, এ অঞ্চলের সরকারগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যে খেলা শুরু করেছে তা বন্ধ করবে।’
লোউরি আরও বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে আমরা বলছি, সরকারগুলোর উচিত মানুষগুলোকে তীরে ভিড়তে দেওয়া। আমরা জানি না, তাঁদের মধ্যে কতজন মারা গেছেন।’ তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রায় ৩০০ যাত্রীবাহী একটি নৌকাকে নিয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের ঠেলাঠেলির পর সেটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা সম্পর্কে আমরা এখন অনিশ্চিত। অন্তত তিন দিন ধরে এ সম্পর্কে আর কোনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।
ফেরত আনা হবে আটক বাংলাদেশিদের: নৌকায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কয়েকটি দেশে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনবে জাতিসংঘ।
ঢাকায় আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর গত রাতে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের এ ব্যাপারে একটি অনুরোধে তাঁরা সম্মতি দিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ১০ লাখ ডলারের একটি তহবিলও মঞ্জুর করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় দুই থেকে তিন হাজারের মতো বাংলাদেশি আটক রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় এই বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
আসিফ মুনীর জানান, প্রথমে মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতি ওই আহ্বান জানায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘ মহাসচিবের আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ দূত (এসআরএসজি) ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কার্যালয়। আর এসব লোককে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের।
সাগরে ভাসমান নারী-পুরুষ ও শিশুদের অমানবিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া লোকজন এবং বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে বিভিন্ন নৌযানে ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুরক্ষা, নিরাপদে তীরে অবতরণের সুযোগ দেওয়া, জীবন বাঁচানোর বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া, অধিকার রক্ষা এবং মানবিক মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমরা ওই দেশগুলোর নেতাদের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে এসব বিষয়ে নয় দফা সুপারিশ করা হয়।
গণমাধ্যমের খবর ও মানবাধিকারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী, গভীর সাগরে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি ও মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সাত-আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ভেসে বেড়াচ্ছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে এই ব্যক্তিদের নিয়ে মর্মান্তিক যেসব ঘটনা ঘটেছে তাতে এটি নিশ্চিত যে সারা বিশ্বের অরক্ষিত মানুষেরা নিরাপত্তা ও মর্যাদার খোঁজে এবং নিপীড়ন, দারিদ্র্য, নানা রকমের বঞ্চনা, বৈষম্য ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে এ রকম বিপজ্জনক যাত্রাকে বেছে নিচ্ছেন। এই যাত্রা স্থল, নৌ বা আকাশ যে পথেই হোক না কেন, তা বৈশ্বিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাগরের বিপৎসংকুল যাত্রায় পা বাড়িয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। শুধু চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই পাড়ি জমানো মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রযাত্রায় বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তাঁদের প্রায় এক হাজার লোক মারা গেছেন। সমসংখ্যক লোক মারা গেছেন পাচারকারীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বঙ্গোপসাগরে অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের শুধু ভাত খেতে দেওয়া ও যৌন নির্যাতনসহ সহিংসতার সম্মুখীন করা হয়েছে। নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে। শিশুদের বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন ও নির্যাতন করা হয়েছে। পুরুষদের মারধর ও সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের প্রস্তাব: গভীর সাগরে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ভেসে চলা মানুষগুলোকে আশ্রয়দানের প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন। এই মানুষগুলোর জন্য থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া যখন তাদের সীমান্ত বন্ধ এবং অভিবাসনপ্রত্যাশী কোনো নৌকা কূলের কাছাকাছি ভিড়লে তা সাগরে ঠেলে পাঠাচ্ছে, ঠিক সে মুহূর্তে এই প্রস্তাব দিল ফিলিপাইন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনই প্রথম ভাসমান এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিল। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর ফোরাম আসিয়ানের সদস্য। গত কিছু দিন ধরে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা ওই তিন দেশের প্রতি সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিল। একই সঙ্গে চাপ দিচ্ছিল মানুষগুলোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর মুখপাত্র হারমিনিয়ো কলোমা বলেন, ‘নৌকারোহীদের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ফিলিপাইন এবং সত্তরের দশকে ভিয়েতনামি অভিবাসীদের জন্য ব্যবহৃত আশ্রয়কেন্দ্র ইতিমধ্যে প্রস্তুত করার কাজ শুরু করা হয়েছে।’
কলোমা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ সনদের অধীন আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় এই মানুষগুলোর জীবন বাঁচাতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আমাদের প্রচলিত ও দীর্ঘদিনের ব্যবস্থার আলোকেই এ প্রচেষ্টা চালানো হবে।’
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ফিলিপাইন সরকারের এই প্রস্তাব উদ্ধার হওয়া অভিবাসী ও সাগরে ভাসমান অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে চলা সংকট সমাধানে দারুণ আশার সঞ্চার করেছে।
আইওএমের মুখপাত্র জো লোউরি বলেন, ‘এটা আশা জাগানোর মতোই চিহ্ন। সেই সঙ্গে আমরা আশা করব, এ অঞ্চলের সরকারগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে যে খেলা শুরু করেছে তা বন্ধ করবে।’
লোউরি আরও বলেন, ‘গত ১০ দিন ধরে আমরা বলছি, সরকারগুলোর উচিত মানুষগুলোকে তীরে ভিড়তে দেওয়া। আমরা জানি না, তাঁদের মধ্যে কতজন মারা গেছেন।’ তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রায় ৩০০ যাত্রীবাহী একটি নৌকাকে নিয়ে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের ঠেলাঠেলির পর সেটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা সম্পর্কে আমরা এখন অনিশ্চিত। অন্তত তিন দিন ধরে এ সম্পর্কে আর কোনো কিছুই জানা যাচ্ছে না।
ফেরত আনা হবে আটক বাংলাদেশিদের: নৌকায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কয়েকটি দেশে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনবে জাতিসংঘ।
ঢাকায় আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর গত রাতে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের এ ব্যাপারে একটি অনুরোধে তাঁরা সম্মতি দিয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ১০ লাখ ডলারের একটি তহবিলও মঞ্জুর করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় দুই থেকে তিন হাজারের মতো বাংলাদেশি আটক রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইওএম জানিয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় এই বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
আসিফ মুনীর জানান, প্রথমে মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
No comments