ইছামতীর কচুরিপানায় দুর্ভোগ by বরুন রায়
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতী নদীতে অত্যধিক কচুরিপানা হওয়ায় স্থানীয় লোকজন গোসলসহ নানা কাজ করতে পারছেন না। সম্প্রতি তোলা ছবি: প্রথম আলো |
পাবনার
সাঁথিয়া উপজেলায় কচুরিপানার কারণে ইছামতী নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে।
এতে ইছামতীপারের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে দায়িত্ব নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে থমকে আছে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ। ইছামতি নদীর এ অংশ সেচ প্রকল্পের অধীন।
এলাকাবাসী ও পাউবো সূত্র জানায়, ঘন কচুরিপানা জন্মানোয় পাঁচ-ছয় বছর ধরে গৃহস্থালির কাজে আগের মতো এ নদীর পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, কচুরিপানার কারণে ইছামতীতে নৌ চলাচলও বন্ধ। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে কচুরিপানা পচে যাওয়ায়। পচা কচুরিপানার দুর্গন্ধে একদিকে বসবাস যেমন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি এই পানি পরিণত হয়েছে মশার প্রজননক্ষেত্রে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাতলা গ্রাম থেকে ধুলাউড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে জন্মেছে ঘন কচুরিপানা। কচুরিপানার কারণে কোথাও পানি দেখার উপায় নেই। প্রয়োজনের তাগিদে এলাকাবাসী কোনো কোনো স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে কচুরিপানা ঠেকিয়ে সামান্য জায়গা বের করলেও সেই পানি দুর্গন্ধযুক্ত।
সাঁথিয়া পৌরসভার বাজার এলাকার ঘাটে কচুরিপানা সরিয়ে গোসল করতে থাকা দক্ষিণ বোয়ালমারী মহল্লার রহম আলী বলেন, ‘পচা পানিতে গোসল কইর্যাা গায়ে চুলকানি হয়া গ্যাছে। তার পরেও উপায় না থাকায় কচুরিপানা সরায়া আমাগরে গোসল করা লাগত্যাছে।’
পাইকশা গ্রামের বাসিন্দা কলেজশিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ‘১৫ গ্রামের মানুষের দুঃখ এই কচুরিপানা। বাড়ির পাশে পানিভর্তি নদী থাকা সত্ত্বেও সেই পানি ব্যবহার করা যায় না। বাধ্য হয়ে চরম আয়রনযুক্ত নলকূপের পানিতে গোসল ও রান্না করা লাগে।’
পাউবোর বেড়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধান সেচখালটি (ইছামতী) ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করে জেলা প্রশাসন। কাজেই কচুরিপানা অপসারণের দায়িত্ব তাদের।’
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানা অপসারণের দায়িত্ব পাউবোর। আসলে তারা দায়িত্ব এড়াতে চায় বলেই জেলা প্রশাসনের ওপর দায় চাপাচ্ছে। যে অংশে কচুরিপানা রয়েছে, সে অংশ জেলা প্রশাসন কাউকে ইজারা দেয়নি।
এদিকে দায়িত্ব নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে থমকে আছে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ। ইছামতি নদীর এ অংশ সেচ প্রকল্পের অধীন।
এলাকাবাসী ও পাউবো সূত্র জানায়, ঘন কচুরিপানা জন্মানোয় পাঁচ-ছয় বছর ধরে গৃহস্থালির কাজে আগের মতো এ নদীর পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, কচুরিপানার কারণে ইছামতীতে নৌ চলাচলও বন্ধ। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে কচুরিপানা পচে যাওয়ায়। পচা কচুরিপানার দুর্গন্ধে একদিকে বসবাস যেমন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি এই পানি পরিণত হয়েছে মশার প্রজননক্ষেত্রে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাতলা গ্রাম থেকে ধুলাউড়ি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার অংশজুড়ে জন্মেছে ঘন কচুরিপানা। কচুরিপানার কারণে কোথাও পানি দেখার উপায় নেই। প্রয়োজনের তাগিদে এলাকাবাসী কোনো কোনো স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে কচুরিপানা ঠেকিয়ে সামান্য জায়গা বের করলেও সেই পানি দুর্গন্ধযুক্ত।
সাঁথিয়া পৌরসভার বাজার এলাকার ঘাটে কচুরিপানা সরিয়ে গোসল করতে থাকা দক্ষিণ বোয়ালমারী মহল্লার রহম আলী বলেন, ‘পচা পানিতে গোসল কইর্যাা গায়ে চুলকানি হয়া গ্যাছে। তার পরেও উপায় না থাকায় কচুরিপানা সরায়া আমাগরে গোসল করা লাগত্যাছে।’
পাইকশা গ্রামের বাসিন্দা কলেজশিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, ‘১৫ গ্রামের মানুষের দুঃখ এই কচুরিপানা। বাড়ির পাশে পানিভর্তি নদী থাকা সত্ত্বেও সেই পানি ব্যবহার করা যায় না। বাধ্য হয়ে চরম আয়রনযুক্ত নলকূপের পানিতে গোসল ও রান্না করা লাগে।’
পাউবোর বেড়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী কবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রধান সেচখালটি (ইছামতী) ইজারা দিয়ে রাজস্ব আদায় করে জেলা প্রশাসন। কাজেই কচুরিপানা অপসারণের দায়িত্ব তাদের।’
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কচুরিপানা অপসারণের দায়িত্ব পাউবোর। আসলে তারা দায়িত্ব এড়াতে চায় বলেই জেলা প্রশাসনের ওপর দায় চাপাচ্ছে। যে অংশে কচুরিপানা রয়েছে, সে অংশ জেলা প্রশাসন কাউকে ইজারা দেয়নি।
No comments