অভিবাসী সংকটে সহায়তায় রাজি মিয়ানমার
ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে আজ উদ্ধার হওয়া এক রোহিঙ্গা অভিবাসন-প্রত্যাশী তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাচ্ছেন |
আঞ্চলিক অভিবাসী সংকট সমাধানে প্রথমবারের মতো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে মিয়ানমার। এত দিন দেশটি এই সংকটের দায় অস্বীকার করে আসছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘অভিবাসী সংকট’ নিয়ে আজ কুয়ালালামপুরে ত্রিদেশীয় আলোচনার প্রাক্কালে এ বিষয়ে ইয়াঙ্গুন তাদের আগের কঠোর অবস্থানে পরিবর্তন আনল।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কুয়ালালামপুরে ওই আলোচনায় মিলিত হবেন। সাগরে অসহায়ভাবে নৌকায় ভাসতে থাকা হাজারো অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ায় এই তিন দেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়ে। অভিবাসী সংকটের দায় অস্বীকার করায় মিয়ানমারের ভূমিকার নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
আঞ্চলিক ‘অভিবাসী সংকট’ নিয়ে সবশেষ পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকেও মন্তব্য এসেছে। এর আগে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি মানবিক সহায়তার আহ্বান জানায়।
সম্প্রতি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হয় থাইল্যান্ড সরকার। প্রায় তিন হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে পাচারকারীরা জরাজীর্ণ ও ভিড়ে ঠাসা নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। এতে তারা ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে এক দেশের জলসীমা থেকে আরেক দেশের জলসীমায় ঘুরতে বাধ্য হয়। এর মধ্যে আজ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে ৪২৬ জন অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সহিংসতা ও ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে সে দেশ থেকে রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে। বিশেষ করে তারা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে ইয়াঙ্গুন। এমনকি রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলেও স্বীকার করতে নারাজ মিয়ানমার।
গত সোমবার মিয়ানমারের অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এনএলডির এক মুখপাত্র ‘দেশহীন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে’ নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এমন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আজ জানায়, আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সঙ্গে একমত ইয়াঙ্গুন। সমুদ্রে যারাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তাদের মানবিক সহায়তা দিতে মিয়ানমার প্রস্তুত।
আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটের দায় প্রশ্নে মিয়ানমার যে কিছুটা নমনীয় হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিটি সেটাই ইঙ্গিত করছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘অভিবাসী সংকট’ নিয়ে আজ কুয়ালালামপুরে ত্রিদেশীয় আলোচনার প্রাক্কালে এ বিষয়ে ইয়াঙ্গুন তাদের আগের কঠোর অবস্থানে পরিবর্তন আনল।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কুয়ালালামপুরে ওই আলোচনায় মিলিত হবেন। সাগরে অসহায়ভাবে নৌকায় ভাসতে থাকা হাজারো অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ায় এই তিন দেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়ে। অভিবাসী সংকটের দায় অস্বীকার করায় মিয়ানমারের ভূমিকার নিন্দা জানায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
আঞ্চলিক ‘অভিবাসী সংকট’ নিয়ে সবশেষ পোপ ফ্রান্সিসের কাছ থেকেও মন্তব্য এসেছে। এর আগে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি মানবিক সহায়তার আহ্বান জানায়।
সম্প্রতি মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হয় থাইল্যান্ড সরকার। প্রায় তিন হাজার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসন-প্রত্যাশীকে পাচারকারীরা জরাজীর্ণ ও ভিড়ে ঠাসা নৌকায় রেখে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই অভিবাসন-প্রত্যাশীদের তীরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। এতে তারা ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে এক দেশের জলসীমা থেকে আরেক দেশের জলসীমায় ঘুরতে বাধ্য হয়। এর মধ্যে আজ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে ৪২৬ জন অভিবাসন-প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মিয়ানমারে সহিংসতা ও ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে সে দেশ থেকে রোহিঙ্গারা পালাচ্ছে। বিশেষ করে তারা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে ইয়াঙ্গুন। এমনকি রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক বলেও স্বীকার করতে নারাজ মিয়ানমার।
গত সোমবার মিয়ানমারের অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এনএলডির এক মুখপাত্র ‘দেশহীন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে’ নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এমন প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আজ জানায়, আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সঙ্গে একমত ইয়াঙ্গুন। সমুদ্রে যারাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, তাদের মানবিক সহায়তা দিতে মিয়ানমার প্রস্তুত।
আঞ্চলিক অভিবাসী সংকটের দায় প্রশ্নে মিয়ানমার যে কিছুটা নমনীয় হয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিটি সেটাই ইঙ্গিত করছে।
No comments