রোদ ও মেঘ হলেই স্কুল ছুটি by মনিরুল ইসলাম
গ্রীষ্মের
কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে পাঠগ্রহণ (ক্লাস) করতে হচ্ছে ওদের।
বৃষ্টিতে ভেজার আশঙ্কায় আকাশে মেঘ জমলেই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ
পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিশুরা পাঠে মনোযোগ দিতে পারছে না।
এ চিত্র যশোর সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের ৫৩ নম্বর এফএমবি (ফরিদপুর, মনোহরপুর ও বাঁশবাড়িয়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে ৪১১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক আছেন ছয়জন।
১৩ মে সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেল, বিদ্যালয়ের মাঠে গাছতলায় ছোট ছোট চটে বসে প্রথম শ্রেণির জনা পঞ্চাশেক শিশু ক্লাস করছে। এক নারী শিক্ষক পড়াচ্ছেন। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কারও গায়ে রোদ পড়লে শিক্ষক বলছেন, ‘ছায়ার দিকে সরে বসো।’ শিক্ষার্থী চট গুটিয়ে যেখানে ছায়া আছে, সেখানে গিয়ে বসছে। এক ঘণ্টার মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে তিনবার নিজের জায়গা বদল করতে দেখা গেল।
অনিক নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী বলল, ‘বেঞ্চি হলে ভালো হতো। বাড়ি থেকে চট বয়ে আনে বসতি ভালো লাগে না। রোদ আসলি সরে সরে বসতি হয়।’
অভিভাবক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার মাইয়েডা ঝড়-বৃষ্টির খুব ভয় পায়। বাইরে বসতি হয় বলে বৃষ্টি হলে আর স্কুলে যেতে চায় না।’
স্কুল ক্যাম্পাসের টিনের চালার ভবনে গিয়ে দেখা গেল, দেয়ালজুড়ে ফাটল। জানা যায়, এ ভবনেই স্কুলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটির একটি ছোট কক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগার রয়েছে। আরেকটি লম্বা কক্ষে ক্লাস হতো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত ছয় বছর আগে ভবনটি মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও সেখানে পড়ানো হতো। সাম্প্রতিক কয়েক দফার ভূমিকম্পে ওই ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সেখানে আর না বসার জন্য সতর্ক করে গেছেন। ওই ভবনে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হতো। তাই এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাইরে পাঠদান করতে হচ্ছে।
স্কুলের তিনজন সহকারী শিক্ষক বলেন, আকাশে মেঘ জমলে বাইরে বসা শিশুদের ছুটি দিতে হয়। তীব্র রোদেও অনেক সময় ছুটি ঘোষণা করতে হচ্ছে। স্কুলের মূল ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, সেখানে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চালানো হয়।
জরুরি ভিত্তিতে ভবন চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু আবেদনে তেমন সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যালয়ের ওই ভবনটি পরিদর্শন করে মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবনের জন্য তাঁর লিখিত প্রতিবেদনটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। আপাতত স্কুলের পাঠদান চালিয়ে দেওয়ার জন্য টিনের এক চালার খোলা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এ চিত্র যশোর সদর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের ৫৩ নম্বর এফএমবি (ফরিদপুর, মনোহরপুর ও বাঁশবাড়িয়া) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে ৪১১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। শিক্ষক আছেন ছয়জন।
১৩ মে সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেল, বিদ্যালয়ের মাঠে গাছতলায় ছোট ছোট চটে বসে প্রথম শ্রেণির জনা পঞ্চাশেক শিশু ক্লাস করছে। এক নারী শিক্ষক পড়াচ্ছেন। গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে কারও গায়ে রোদ পড়লে শিক্ষক বলছেন, ‘ছায়ার দিকে সরে বসো।’ শিক্ষার্থী চট গুটিয়ে যেখানে ছায়া আছে, সেখানে গিয়ে বসছে। এক ঘণ্টার মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে তিনবার নিজের জায়গা বদল করতে দেখা গেল।
অনিক নাঈম নামের এক শিক্ষার্থী বলল, ‘বেঞ্চি হলে ভালো হতো। বাড়ি থেকে চট বয়ে আনে বসতি ভালো লাগে না। রোদ আসলি সরে সরে বসতি হয়।’
অভিভাবক আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার মাইয়েডা ঝড়-বৃষ্টির খুব ভয় পায়। বাইরে বসতি হয় বলে বৃষ্টি হলে আর স্কুলে যেতে চায় না।’
স্কুল ক্যাম্পাসের টিনের চালার ভবনে গিয়ে দেখা গেল, দেয়ালজুড়ে ফাটল। জানা যায়, এ ভবনেই স্কুলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। এটির একটি ছোট কক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠাগার রয়েছে। আরেকটি লম্বা কক্ষে ক্লাস হতো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত ছয় বছর আগে ভবনটি মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও সেখানে পড়ানো হতো। সাম্প্রতিক কয়েক দফার ভূমিকম্পে ওই ভবনে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সেখানে আর না বসার জন্য সতর্ক করে গেছেন। ওই ভবনে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির ক্লাস হতো। তাই এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাইরে পাঠদান করতে হচ্ছে।
স্কুলের তিনজন সহকারী শিক্ষক বলেন, আকাশে মেঘ জমলে বাইরে বসা শিশুদের ছুটি দিতে হয়। তীব্র রোদেও অনেক সময় ছুটি ঘোষণা করতে হচ্ছে। স্কুলের মূল ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে, সেখানে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চালানো হয়।
জরুরি ভিত্তিতে ভবন চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যশোর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু আবেদনে তেমন সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যালয়ের ওই ভবনটি পরিদর্শন করে মৌখিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভবনের জন্য তাঁর লিখিত প্রতিবেদনটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। আপাতত স্কুলের পাঠদান চালিয়ে দেওয়ার জন্য টিনের এক চালার খোলা ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
No comments