পালপাড়ায় গণশুনানিতে মোরশেদের ফাঁসি দাবি
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার পালপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সন্ত্রাসী মোরশেদের নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেন এক সংখ্যালঘু নারী l ছবি: প্রথম আলো |
বগুড়ার
পালপাড়া ‘পোড়ানো’ সন্ত্রাসী মোরশেদ আলম ছিঁচকে মাদকসেবী থেকে মাদকের
ব্যবসা, খুন, চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে
পড়ে। শুধু সংখ্যালঘু নারীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন নয়; নিজের স্ত্রীকে
নির্যাতনের অভিযোগেও মামলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এক যুগ ধরে পালপাড়ার
সংখ্যালঘু শতাধিক পরিবারের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালানোর পর পুলিশের হাতে
গ্রেপ্তার হওয়া মোরশেদ সম্পর্কে এমন তথ্য দিয়েছে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। গত
সোমবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর কিছুটা স্বস্তি
নেমে আসে এলাকায়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পালপাড়ায় পূজামন্দির চত্বরে
মোরশেদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে
সাক্ষ্যগ্রহণ করেন শাজাহানপুরের ইউএনও মোহাম্মদ রুবায়েত খান। এ সময় এসি
ল্যান্ড রিভা চাকমা ও ওসি আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে
মোরশেদের ফাঁসির দাবি জানায় ভুক্তভোগীরা।
প্রতিবেশীরা জানান, মোরশেদ কম বয়সেই সঙ্গদোষে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তান ফেলে নেশার জগতে ডুবে যায়। নেশার টাকা জোগাতে এক সময় ছিঁচকে চুরিতেও জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আড়িয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মশিউর রহমানের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ নানা মামলায় জড়িয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল মান্নান জানান, ‘মাদক সেবনের কারণে স্ত্রীকে নির্যাতনও করত মোরশেদ। ২০১০ সালে নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্ত্রী রুমি বেগম মোরশেদের বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ২০১২ সালে মাদকের মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের এবং ২০১৩ সালের আরেকটি মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় তার। প্রতিপক্ষের লয়া মিয়া হত্যাকাণ্ডের পর মোরশেদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়।’
পালপাড়ার নির্যাতিত ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, ২০০৩ সাল থেকে মোরশেদের চাঁদাবাজি শুরু হয় পালপাড়ায়। ২০১২ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক কলেজছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় সে। এক দিন পর তাঁর বাড়ি থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও রাতেই মেয়েটির বাবা-মা সপরিবারে ভারতে চলে যান। ওই ঘটনার পর মোরশেদ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি পরিবার ভারতে চলে যায়। পালপাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ পালের ভাষ্য, আড়িয়াবাজারে সেলুন ব্যবসা করতেন ডাবলু পাল। কিছুদিন আগে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় মোরশেদ। চাঁদা না দিলে বউকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। দিশেহারা ডাবলু ভয়ে তিন দিনের মাথায় ভারতে পালিয়ে গেলেন।
আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন বলেন, মোরশেদ সঙ্গদোষে প্রথমে মাদক ব্যবসা এবং পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। একসময় পালপাড়ার লোকজনের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠে।
পুলিশি হেফাজতে থাকা মোরশেদ আলম বলে, ‘পালপাড়ার কাউকে নির্যাতন করিনি। চাঁদাবাজি বা ভাঙচুরের অভিযোগও ঠিক নয়। কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মোরশেদ বলে, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’
নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সাক্ষ্য: সংখ্যালঘু পরিবারের ৩৪ জন নির্যাতিত নারী-পুরুষ গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সন্ত্রাসী মোরশেদ ও তার সহযোগীদের অত্যাচারের সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা মোরশেদের ফাঁসি দাবি করেন।
নির্যাতিত অঞ্জলি রানী পাল তাঁর সাক্ষে বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও তিনি পালপাড়া পরিদর্শনে আসেননি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।’
প্রতিবেশীরা জানান, মোরশেদ কম বয়সেই সঙ্গদোষে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। বিয়ের পর স্ত্রী-সন্তান ফেলে নেশার জগতে ডুবে যায়। নেশার টাকা জোগাতে এক সময় ছিঁচকে চুরিতেও জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আড়িয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মশিউর রহমানের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদকসহ নানা মামলায় জড়িয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল মান্নান জানান, ‘মাদক সেবনের কারণে স্ত্রীকে নির্যাতনও করত মোরশেদ। ২০১০ সালে নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্ত্রী রুমি বেগম মোরশেদের বিরুদ্ধে বগুড়ার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ২০১২ সালে মাদকের মামলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের এবং ২০১৩ সালের আরেকটি মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় তার। প্রতিপক্ষের লয়া মিয়া হত্যাকাণ্ডের পর মোরশেদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়।’
পালপাড়ার নির্যাতিত ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে, ২০০৩ সাল থেকে মোরশেদের চাঁদাবাজি শুরু হয় পালপাড়ায়। ২০১২ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক কলেজছাত্রীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় সে। এক দিন পর তাঁর বাড়ি থেকে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও রাতেই মেয়েটির বাবা-মা সপরিবারে ভারতে চলে যান। ওই ঘটনার পর মোরশেদ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তার হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকটি পরিবার ভারতে চলে যায়। পালপাড়া মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ পালের ভাষ্য, আড়িয়াবাজারে সেলুন ব্যবসা করতেন ডাবলু পাল। কিছুদিন আগে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায় মোরশেদ। চাঁদা না দিলে বউকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। দিশেহারা ডাবলু ভয়ে তিন দিনের মাথায় ভারতে পালিয়ে গেলেন।
আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন বলেন, মোরশেদ সঙ্গদোষে প্রথমে মাদক ব্যবসা এবং পরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। একসময় পালপাড়ার লোকজনের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠে।
পুলিশি হেফাজতে থাকা মোরশেদ আলম বলে, ‘পালপাড়ার কাউকে নির্যাতন করিনি। চাঁদাবাজি বা ভাঙচুরের অভিযোগও ঠিক নয়। কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মোরশেদ বলে, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।’
নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সাক্ষ্য: সংখ্যালঘু পরিবারের ৩৪ জন নির্যাতিত নারী-পুরুষ গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সন্ত্রাসী মোরশেদ ও তার সহযোগীদের অত্যাচারের সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় তাঁরা মোরশেদের ফাঁসি দাবি করেন।
নির্যাতিত অঞ্জলি রানী পাল তাঁর সাক্ষে বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরও তিনি পালপাড়া পরিদর্শনে আসেননি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।’
No comments