লুক ইস্টর দিন শেষ, এখন সময় অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির
এশিয়ায়
ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ ধাপে সোমবার দু’দিনের সফরে দ. কোরিয়ায়
পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম
অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং বিনিয়োগ
বাড়ানো তার এ সফরের মূল লক্ষ্য। বাণিজ্যিক ও কৌশলগত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৭টি
চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক
গিউন-হাইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অবস্থা নিয়ে
কথা বলেন মোদি। বৈঠকে কূটনীতি থেকে অর্থনীতি এবং কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা
পরিস্থিতি নিয়ে উভয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মোদি
বলেন, ‘লুক ইস্ট’ নয়, এখন সময় ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র। প্রসঙ্গত ভারতের লুক
ইস্ট পলিসি হচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নয়াদিল্লির
অর্থনৈতিক ও কৌশলগত বৈদেশিক সম্পর্ক বিস্তারের একটি কার্যকরী পরিকল্পনা
নীতি। এ নীতির অন্যতম লক্ষ্য ভারতকে একটি আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত করা এবং
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনের কৌশলগত প্রভাব খর্ব করা। ভারত এবং চীন নিজেদের
মধ্যে আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রতিযোগিতায় এ সম্পর্ক গড়ে তুললেও এর সঙ্গে
জাপানের সংযুক্তি ধারণাটিকে কিছুটা হলেও পূর্ণতা দিয়েছে। তার সঙ্গে
অঙ্গীভূত হয়েছে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভবিষ্যৎ
অর্থনীতির কেন্দ্রভূমি এশিয়া হওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি হচ্ছে ‘পিভট
এশিয়া’। দক্ষিণ চীন সাগর, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনাবিষ্কৃত বিপুল সম্পদকে
কেন্দ্র করে শক্তিশালী দেশগুলোর এসব নীতি আবর্তিত হচ্ছে। ভারতের কংগ্রেস
সরকার প্রণীত লুক ইস্ট পলিসি মোদির কাছে পানসে ঠেকে। তাই তিনি আরও
প্রো-অ্যাক্টিভ পলিসি নেন, যার নাম ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’। এ নীতি গ্রহণের
সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের উদ্দেশে আমেরিকা থেকে বলা হয়, আমরা খুব ভালোভাবেই লুক
ইস্ট নীতি সম্পর্কে অবহিত ছিলাম, কিন্তু আমরা অ্যাক্ট ইস্ট নীতির এ নতুন
পরিবর্তনকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানাই’। লুক্ট ইস্ট নীতি থেকে অ্যাক্ট ইস্ট
নীতির মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে, এখন ভারত আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ
বৈশ্বিক ভূমিকা রাখতে চায় এবং জাপান, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া আর আসিয়ানের
সঙ্গে ভারতের বাস্তব সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি প্রধান ট্রেডিং নেশন হিসেবে
দ্রুততার সঙ্গে নিজের উত্থান চায়। আর তারই অংশ হিসেবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা
বৃদ্ধি ও নিবিড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ সফর করছেন
মোদি। চীন মঙ্গোলিয়া সফরের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে কৌশলগত সম্পর্ক
বাড়ানোর ও ভারতে সিউলের বিনিয়োগ টানার চেষ্টা করছেন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বৈত কর পরিহার সংক্রান্ত চুক্তি, বিভিন্ন দ্রব্য আমদানি-রফতানির ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি, যোগাযোগব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়। ভারতের অবকাঠামো খাতে ১০০০ কোটি ডলার বিনিযোগ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় ৩০০ কোরিয়ান সংস্থা রয়েছে। এদেশে তারা প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সেদেশের প্রায় ৪০ হাজার কর্মী ভারতে কর্মরত। ভারতও প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বহু ভারতীয় আইটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোরিয়ায় ব্যবসা করতে উৎসুক।
এদিকে, মোদির হুন্দাই, স্যামসাং ও এলজি’র মতো বৃহত্তম কোম্পানির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ভারতে এ তিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ফার্ম রয়েছে। মোদি সফরকালে তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে দ্বৈত কর পরিহার সংক্রান্ত চুক্তি, বিভিন্ন দ্রব্য আমদানি-রফতানির ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি, যোগাযোগব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়। ভারতের অবকাঠামো খাতে ১০০০ কোটি ডলার বিনিযোগ করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় ৩০০ কোরিয়ান সংস্থা রয়েছে। এদেশে তারা প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। সেদেশের প্রায় ৪০ হাজার কর্মী ভারতে কর্মরত। ভারতও প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বহু ভারতীয় আইটি ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোরিয়ায় ব্যবসা করতে উৎসুক।
এদিকে, মোদির হুন্দাই, স্যামসাং ও এলজি’র মতো বৃহত্তম কোম্পানির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। ভারতে এ তিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ফার্ম রয়েছে। মোদি সফরকালে তার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
No comments