‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জিতবো’ -মনজুর আলম by কাজী সুমন
অসমাপ্ত
উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন ও পরিচ্ছন্ন তিলোত্তমা নগরী গড়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়ে চট্টগ্রামে মেয়র পদে লড়ছেন সাবেক মেয়র মনজুর আলম। আশা
প্রকাশ করেছেন সুষ্ঠু ভোট হলে ফের মেয়র নির্বাচিত হবেন তিনি। মানবজমিনের
সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, এ শহরে সবাই মিলে একসঙ্গে বসবাস করার
চেষ্টা করেছি। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে দিইনি। ওয়ার্ডগুলোতে যেসব সমস্যা
ছিল সেগুলো নিরসনের জন্য প্রতি মাসে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছি। বারবার
সেগুলোর ব্যাপারে কথা হয়েছে। যত দিন দায়িত্ব পালন করেছি সিটি করপোরেশনকে
কোন দল বা ব্যক্তির হাতে জিম্মি হতে দিইনি। জনগণ কখনোই আমাকে নিরাশ করবেন
না। তারা দেখেছেন, শত সমস্যার মধ্যেও আমি তাদের ভাল রাখার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবো।
সাবেক মেয়র হিসেবে নিজেকে সফল মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্নে মনজুর বলেন, আমি পুরোপুরি সফল না হলেও ব্যর্থ হইনি। ৫ বছরে অনেক কাজ করতে পারি নি। আবার যেসব কাজ হাতে নিয়েছিলাম সেগুলো নানা প্রতিকূলতার কারণে শেষ হয়নি। সব মিলিয়ে নগরবাসীর জন্য পুরোপুরি কাজ করার আফসোসটা রয়েই গেছে। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো করে নিজের পরিচয় দিতে চাই। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এ শহর কেমন ছিল তা সবাই জানে। আমার ৫ বছরে সেই চিত্র অনেকখানি পাল্টে গেছে। আমার আগে যেসব মেয়র ছিলেন তারা সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। অথচ আমাকে অনেকেই সহযোগিতা করতে চাননি। যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে অনেক কাজ করেছি। এর ভাল-মন্দের বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
চট্টগ্রাম সিটির প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সে সমস্যার কতটা সমাধান হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থিত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছি, এ শহরের জলাবদ্ধতার যে সমস্যা তা অল্প সময়ে সমাধান করা যাবে না। কেননা দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনাই নেয়া হয়নি আমার আগের আমলে। শহরের অল্প পানি জমে থাকলে তা দূর করা যায় না। কারণ খালগুলো সরকারদলীয় নেতাদের দখলে। সেখানে পানি যাওয়ার মুখ বন্ধ করে দিয়ে ভবন তৈরি করা হয়েছে। আমি সব খাল দখলমুক্ত করেছি। সংস্কার করে পানি চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছি। এবার নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকখানি কেটে যাবে।
এ বিষয়ে এবার ভোটারদের কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য জাইকার কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া ২৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প চালু রয়েছে। এ বরাদ্দগুলো দিয়ে স্থায়ীভাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ খনন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। কর্ণফুলী খাল ৪ সেন্টিমিটার খনন করলে নগরীতে বৃষ্টির পানি আর জমবে না। নর্দমা ও খালগুলো খননের পাশাপাশি আবর্জনা পরিষ্কার করবো। তিনি আরও বলেন, চাক্তাই খালের পাড়ে মেরিনার্স বাইপাস সড়ক নির্মিত হলে শহরকে পরিপূর্ণ চেহারায় দেখতে পাবেন ভোটাররা। যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার ও ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিছু কিছু জায়গায় স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হবে। লালদীঘিতে ১০ তলা ডিজাস্টার সেন্টার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। কোন কোন খাতে এত টাকা ব্যয় করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনজুর বলেন, এ ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা এসেছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে। বাকি ৪০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় থেকে এসেছে। এ টাকাগুলো নগরীর রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাল খনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আবর্জনা পরিষ্কার, স্টাফদের বেতনে খরচ হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসায় উন্নয়নকাজে ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, ডাস্টবিন থেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ১০০ কনটেইনার কিনেছি। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের জন্য ৬৩টি ডাম্প ট্রাক ও ১২টি কনটেইনার মুভার কিনেছি।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বিপরীত স্রোতে থেকে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে তেমন অসহযোগিতা পাইনি। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। বরাদ্দগুলো নগরীর উন্নয়নে ব্যয় করেছি।
নির্বাচনে ২০ দলের শরিক ও বিএনপির সবাইকে পাশে পাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপিসহ ২০ দলের সব নেতাকর্মীই আমার পক্ষে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। এ ছাড়া জামায়াতের জন্য ১০টি কাউন্সিলর পদ ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে মনজুর বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সরকার দলের প্রার্থীরা প্রায়ই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আস্থা রাখছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় আমার নির্বাচনী প্রচারণায় দলের কর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তবুও আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। আশা করবো- সব প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানাবো। তার পরও আমার সুসংগঠিত নেতাকর্মীরা কাজ করে যাবে। নিরপেক্ষ ভোট হলে বেশির ভাগ রায় পড়বে আমার বাক্সে।
এক প্রশ্নের জবাবে মনজুর বলেন, ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক। এ ঘটনার পর সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশা করি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
সাবেক মেয়র হিসেবে নিজেকে সফল মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্নে মনজুর বলেন, আমি পুরোপুরি সফল না হলেও ব্যর্থ হইনি। ৫ বছরে অনেক কাজ করতে পারি নি। আবার যেসব কাজ হাতে নিয়েছিলাম সেগুলো নানা প্রতিকূলতার কারণে শেষ হয়নি। সব মিলিয়ে নগরবাসীর জন্য পুরোপুরি কাজ করার আফসোসটা রয়েই গেছে। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো করে নিজের পরিচয় দিতে চাই। তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এ শহর কেমন ছিল তা সবাই জানে। আমার ৫ বছরে সেই চিত্র অনেকখানি পাল্টে গেছে। আমার আগে যেসব মেয়র ছিলেন তারা সরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। অথচ আমাকে অনেকেই সহযোগিতা করতে চাননি। যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে অনেক কাজ করেছি। এর ভাল-মন্দের বিচারের ভার জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
চট্টগ্রাম সিটির প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে সে সমস্যার কতটা সমাধান হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থিত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছি, এ শহরের জলাবদ্ধতার যে সমস্যা তা অল্প সময়ে সমাধান করা যাবে না। কেননা দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনাই নেয়া হয়নি আমার আগের আমলে। শহরের অল্প পানি জমে থাকলে তা দূর করা যায় না। কারণ খালগুলো সরকারদলীয় নেতাদের দখলে। সেখানে পানি যাওয়ার মুখ বন্ধ করে দিয়ে ভবন তৈরি করা হয়েছে। আমি সব খাল দখলমুক্ত করেছি। সংস্কার করে পানি চলাচলের উদ্যোগ নিয়েছি। এবার নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকখানি কেটে যাবে।
এ বিষয়ে এবার ভোটারদের কি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য জাইকার কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এক হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। এ ছাড়া ২৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প চালু রয়েছে। এ বরাদ্দগুলো দিয়ে স্থায়ীভাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ খনন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। কর্ণফুলী খাল ৪ সেন্টিমিটার খনন করলে নগরীতে বৃষ্টির পানি আর জমবে না। নর্দমা ও খালগুলো খননের পাশাপাশি আবর্জনা পরিষ্কার করবো। তিনি আরও বলেন, চাক্তাই খালের পাড়ে মেরিনার্স বাইপাস সড়ক নির্মিত হলে শহরকে পরিপূর্ণ চেহারায় দেখতে পাবেন ভোটাররা। যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার ও ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কিছু কিছু জায়গায় স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হবে। লালদীঘিতে ১০ তলা ডিজাস্টার সেন্টার নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। কোন কোন খাতে এত টাকা ব্যয় করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনজুর বলেন, এ ৯০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা এসেছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে। বাকি ৪০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয় থেকে এসেছে। এ টাকাগুলো নগরীর রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাল খনন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, আবর্জনা পরিষ্কার, স্টাফদের বেতনে খরচ হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসায় উন্নয়নকাজে ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, ডাস্টবিন থেকে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য ১০০ কনটেইনার কিনেছি। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের জন্য ৬৩টি ডাম্প ট্রাক ও ১২টি কনটেইনার মুভার কিনেছি।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বিপরীত স্রোতে থেকে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালনকালে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে তেমন অসহযোগিতা পাইনি। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। বরাদ্দগুলো নগরীর উন্নয়নে ব্যয় করেছি।
নির্বাচনে ২০ দলের শরিক ও বিএনপির সবাইকে পাশে পাচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপিসহ ২০ দলের সব নেতাকর্মীই আমার পক্ষে কাজ করছেন। কারও সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। এ ছাড়া জামায়াতের জন্য ১০টি কাউন্সিলর পদ ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে মনজুর বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশন আমার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সরকার দলের প্রার্থীরা প্রায়ই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।
এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আস্থা রাখছেন কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় আমার নির্বাচনী প্রচারণায় দলের কর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে। আমার পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। তবুও আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। আশা করবো- সব প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে। ছাত্রলীগের ছেলেরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানাবো। তার পরও আমার সুসংগঠিত নেতাকর্মীরা কাজ করে যাবে। নিরপেক্ষ ভোট হলে বেশির ভাগ রায় পড়বে আমার বাক্সে।
এক প্রশ্নের জবাবে মনজুর বলেন, ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক। এ ঘটনার পর সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশা করি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
No comments