চট্টগ্রামে খালেদার চিঠি দিনভর আলোচনা by কাজী সুমন ও মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রামের
সাধারণ জনগণের উদ্দেশে আবেগমাখা চিঠি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া। সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় চট্টগ্রামে আসতে না পারায় চট্টলাবাসীর
প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত
মেয়রপ্রার্থী মনজুর আলমকে কমলালেবু মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন। তার এই চিঠি পেয়ে নড়েচড়ে বসেছেন চট্টগ্রামের বিএনপি
নেতারা। তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিঠিতে দলের নেতাকর্মীরা আরও
উৎসাহিত হবেন। তৃণমূল কর্মীরা মাঠে নামতে আরও সাহসী হবেন। এতে সাধারণ
ভোটারদের মধ্যে নতুন মাত্রা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষনেতা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে খালেদা জিয়া বলেছেন, বীর চট্টলার সংগ্রামী জনগণের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজেই তিনি শাহাদত বরণ করেছিলেন।
শহীদ জিয়ার পবিত্র রক্তে রঞ্জিত চট্টগ্রাম মহানগরীর সঙ্গে তাই আমার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার সেই বিশেষ সম্পর্কের কারণেই চট্টগ্রামকে আমি দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী করেছি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে চট্টগ্রামে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, আমব্রেলা প্রজেক্টের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনকে ৯৩ কোটি টাকার বিশেষ থোক বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, খাজা রোড, কে.বি. আমান আলী রোড, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, বন্দরে গেন্ট্রিক্রেন সরবরাহ ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, মেডিক্যাল কলেজে উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, চাক্তাই খাল খনন করে তলা পাকাকরণ করা, চিটাগাং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য জমি বরাদ্দ, স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, বন্দর হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোড নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছিলাম। এগুলো ছাড়াও ছোট-বড় আরও অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। মহান আল্লাহতায়ালা ভবিষ্যতে সুযোগ দিলে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরীর আরও উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিবো ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলম মনজুকে আমি, আমাদের দল বিএনপি এবং ২০দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সমর্থন দিয়েছি। মনজুর আলম বিগত দিনে মেয়র থাকাকালে আমি তাকে নগর ভবনকে দলমতের ঊর্ধ্বে রেখে নগরবাসীর সেবা ও উন্নয়ন করার জন্য উপদেশ দিয়েছিলাম এবং মনজুর আলম তা রক্ষা করেছেন। মনজুর আলম একজন সৎ, নির্লোভ, অমায়িক ও যোগ্য ব্যক্তি। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে অতীতের ধারাবাহিকতায় দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে মহানগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। সময় স্বল্পতার কারণে আমি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য চট্টগ্রাম আসতে পারিনি। আশাকরি, আপনারা আমার এই অনিচ্ছাকৃত অক্ষমতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল মুরব্বি, মা, ভাই ও বোনদেরকে আমার সালাম জানাচ্ছি এবং ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলম মনজুকে কমলালেবু মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভূমিকে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ার এবং চট্টগ্রাম মহানগরীকে একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও উন্নত মহানগরে পরিণত করার তৌফিক দিন।
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস মানবজমিনকে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসনের জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের কারণে তিনি যেতে পারেননি। তাই চট্টগ্রামের নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির অন্যতম কাণ্ডারি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডামের চিঠিটি পাঠানো হয়েছে শুক্রবার রাত একটায়। এই সময় তার সঙ্গে অনেক কথাও হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে মনজুর অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নোমান আরো বলেন, খালেদা জিয়ার চিঠি নিয়ে শহরজুড়ে আলোচনা চলছে। নেতাকর্মীরাও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। তবে আমরা শঙ্কিত সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে যেভাবে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন কাজ করছে তাতে সুষ্ঠু ভোট আদৌ হবে কিনা। চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহাজান জুয়েল বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সিটি নির্বাচনে কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের আহ্বানে দলের নেতাকর্মীরা আরও আনুপ্রাণিত হবেন। তৃণমূল কর্মীরা আরও উৎসাহিত হবেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি চট্টগ্রামবাসীর একটা দুর্বলতা আছে। এখানে তিনি না এলে তার প্রতি দলের নেতাকর্মীরা সহানুভূতিশীল। খালেদা জিয়ার আহ্বানে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর করা একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষনেতা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে খালেদা জিয়া বলেছেন, বীর চট্টলার সংগ্রামী জনগণের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম থেকে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এই চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজেই তিনি শাহাদত বরণ করেছিলেন।
শহীদ জিয়ার পবিত্র রক্তে রঞ্জিত চট্টগ্রাম মহানগরীর সঙ্গে তাই আমার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আমার সেই বিশেষ সম্পর্কের কারণেই চট্টগ্রামকে আমি দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী করেছি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকাকালে চট্টগ্রামে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু, আমব্রেলা প্রজেক্টের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনকে ৯৩ কোটি টাকার বিশেষ থোক বরাদ্দ দিয়ে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, খাজা রোড, কে.বি. আমান আলী রোড, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আধুনিক রেলওয়ে স্টেশন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, বন্দরে গেন্ট্রিক্রেন সরবরাহ ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, মেডিক্যাল কলেজে উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, চাক্তাই খাল খনন করে তলা পাকাকরণ করা, চিটাগাং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য জমি বরাদ্দ, স্টেডিয়ামের উন্নয়ন, বন্দর হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোড নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছিলাম। এগুলো ছাড়াও ছোট-বড় আরও অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। মহান আল্লাহতায়ালা ভবিষ্যতে সুযোগ দিলে আমরা চট্টগ্রাম মহানগরীর আরও উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিবো ইনশাআল্লাহ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলম মনজুকে আমি, আমাদের দল বিএনপি এবং ২০দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সমর্থন দিয়েছি। মনজুর আলম বিগত দিনে মেয়র থাকাকালে আমি তাকে নগর ভবনকে দলমতের ঊর্ধ্বে রেখে নগরবাসীর সেবা ও উন্নয়ন করার জন্য উপদেশ দিয়েছিলাম এবং মনজুর আলম তা রক্ষা করেছেন। মনজুর আলম একজন সৎ, নির্লোভ, অমায়িক ও যোগ্য ব্যক্তি। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে অতীতের ধারাবাহিকতায় দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে মহানগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। সময় স্বল্পতার কারণে আমি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য চট্টগ্রাম আসতে পারিনি। আশাকরি, আপনারা আমার এই অনিচ্ছাকৃত অক্ষমতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম মহানগরীর সকল মুরব্বি, মা, ভাই ও বোনদেরকে আমার সালাম জানাচ্ছি এবং ২৮শে এপ্রিলের নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলম মনজুকে কমলালেবু মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আল্লাহ আমাদেরকে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত মাতৃভূমিকে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ার এবং চট্টগ্রাম মহানগরীকে একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও উন্নত মহানগরে পরিণত করার তৌফিক দিন।
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস মানবজমিনকে বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসনের জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের কারণে তিনি যেতে পারেননি। তাই চট্টগ্রামের নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিএনপির অন্যতম কাণ্ডারি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডামের চিঠিটি পাঠানো হয়েছে শুক্রবার রাত একটায়। এই সময় তার সঙ্গে অনেক কথাও হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে মনজুর অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। নোমান আরো বলেন, খালেদা জিয়ার চিঠি নিয়ে শহরজুড়ে আলোচনা চলছে। নেতাকর্মীরাও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। তবে আমরা শঙ্কিত সরকারদলীয় প্রার্থীর পক্ষে যেভাবে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন কাজ করছে তাতে সুষ্ঠু ভোট আদৌ হবে কিনা। চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহাজান জুয়েল বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে সিটি নির্বাচনে কাজ করছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের আহ্বানে দলের নেতাকর্মীরা আরও আনুপ্রাণিত হবেন। তৃণমূল কর্মীরা আরও উৎসাহিত হবেন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি চট্টগ্রামবাসীর একটা দুর্বলতা আছে। এখানে তিনি না এলে তার প্রতি দলের নেতাকর্মীরা সহানুভূতিশীল। খালেদা জিয়ার আহ্বানে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করতে উৎসাহিত হবেন।
No comments