‘মধু হই হই ভোট লই যায় ভোট গেলেগই হবর ন লয়’ by তাসনীম হাসান
পোস্টারে ছেয়ে গেছে সড়ক। জামালখান ওয়ার্ডের এই চিত্র এখন পুরো নগরের l সৌরভ দাশ |
‘ভোট
আইলে প্রার্থী অক্কল আঁরার ঘরে ঘরে আইয়ে, মধু হই হই ভোট লই যায়। ভোট
গেলেগই আর হবর ন লয়।’ কথায় ছিল ঝাঁজ, কিছুটা রাগও। খাজা রোডে ছোট্ট একটি
দোকান চালান ষাটোর্ধ্ব ছগির মিঞা। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ক্ষোভের খই
ফোটালেন। এই যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিষ্টি কথা (মধু হই হই) বলে প্রার্থীরা
ভোট চাইছেন, নির্বাচনের পর তাঁরা কেউ কী আর খবর নেবেন?
ছগির মিঞা প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দেন। গত নির্বাচনের পর একবারের জন্যও খোঁজ নেননি স্থানীয় কাউন্সিলর। চান্দগাঁও এলাকার এই ভোটার তাঁর দোকানের সামনের সড়কটি দেখিয়ে বললেন, বৃষ্টি নেই অথচ এখনো রাস্তার ওপর পানি জমে আছে।
শুধু ছগির মিঞা নন, নগরের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মনে জমেছে ক্ষোভের স্তূপ। এলাকার নানা সমস্যা তো আছেই, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতায়ও হতাশ অনেক ভোটার। তাঁদেরই একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বৈশাখী নাথ। এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন বৈশাখী। জামালখান ওয়ার্ডের এই ভোটার বলেন, ‘ভোটার হওয়ার পর খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই আগ্রহে ভাটা পড়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি খুব হতাশ। আমার ভোট দেওয়ার মানসিকতা চলে যাচ্ছে।’
নতুন মেয়র যিনি হবেন তাঁর কাছে কী প্রত্যাশা থাকবে—এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘মেয়রের কাছে প্রত্যাশা থাকবে জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি যেন আরও কার্যকর উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাটেরও সংস্কার করতে হবে। ধুলোবালুমুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর চাই।’
একটি বিমা কোম্পানির কর্মকর্তা খোরশেদ আলী চৌধুরী পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের ভোটার। তাঁর সঙ্গে কথা হয় নগরের আতুরার ডিপো এলাকায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জ। সরকার চাইবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে দেখিয়ে দিতে। জলাবদ্ধতা নিরসন করার বিষয়ে যিনি আমাদের ভালোভাবে আশ্বস্ত করতে পারবেন আমরা তাঁকেই ভোট দেব।’
রিকশাচালক আজগর আলী প্রার্থীদের প্রচারণা দেখছেন তফসিল ঘোষণার পর থেকে। নির্বাচনের খুঁটিনাটি খবরও রাখেন তিনি। বাড়ি ভোলা হলেও তিনি বহুদিন ধরে চট্টগ্রামে আছেন। সেই সূত্রে এবার ভোট দেবেন চকবাজার ওয়ার্ডে। তিনি বললেন, ‘নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে আমাদের ভয় কেটে গেছে।’
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে এবারের নির্বাচনের কোনো মিল–অমিল খুঁজে পান কি না এমন প্রশ্ন করা হলে আজগর বলেন, পার্থক্য তো আছেই। গতবার প্রচারণায় ছিলেন সাধারণ নাগরিকেরা। আর এবার নির্বাচনটা যেন অনেকটাই দলীয় হয়ে গেল।
ছগির মিঞা প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দেন। গত নির্বাচনের পর একবারের জন্যও খোঁজ নেননি স্থানীয় কাউন্সিলর। চান্দগাঁও এলাকার এই ভোটার তাঁর দোকানের সামনের সড়কটি দেখিয়ে বললেন, বৃষ্টি নেই অথচ এখনো রাস্তার ওপর পানি জমে আছে।
শুধু ছগির মিঞা নন, নগরের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মনে জমেছে ক্ষোভের স্তূপ। এলাকার নানা সমস্যা তো আছেই, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতায়ও হতাশ অনেক ভোটার। তাঁদেরই একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বৈশাখী নাথ। এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন বৈশাখী। জামালখান ওয়ার্ডের এই ভোটার বলেন, ‘ভোটার হওয়ার পর খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই আগ্রহে ভাটা পড়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি খুব হতাশ। আমার ভোট দেওয়ার মানসিকতা চলে যাচ্ছে।’
নতুন মেয়র যিনি হবেন তাঁর কাছে কী প্রত্যাশা থাকবে—এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘মেয়রের কাছে প্রত্যাশা থাকবে জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি যেন আরও কার্যকর উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাটেরও সংস্কার করতে হবে। ধুলোবালুমুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর চাই।’
একটি বিমা কোম্পানির কর্মকর্তা খোরশেদ আলী চৌধুরী পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের ভোটার। তাঁর সঙ্গে কথা হয় নগরের আতুরার ডিপো এলাকায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জ। সরকার চাইবে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করে দেখিয়ে দিতে। জলাবদ্ধতা নিরসন করার বিষয়ে যিনি আমাদের ভালোভাবে আশ্বস্ত করতে পারবেন আমরা তাঁকেই ভোট দেব।’
রিকশাচালক আজগর আলী প্রার্থীদের প্রচারণা দেখছেন তফসিল ঘোষণার পর থেকে। নির্বাচনের খুঁটিনাটি খবরও রাখেন তিনি। বাড়ি ভোলা হলেও তিনি বহুদিন ধরে চট্টগ্রামে আছেন। সেই সূত্রে এবার ভোট দেবেন চকবাজার ওয়ার্ডে। তিনি বললেন, ‘নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে আমাদের ভয় কেটে গেছে।’
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সঙ্গে এবারের নির্বাচনের কোনো মিল–অমিল খুঁজে পান কি না এমন প্রশ্ন করা হলে আজগর বলেন, পার্থক্য তো আছেই। গতবার প্রচারণায় ছিলেন সাধারণ নাগরিকেরা। আর এবার নির্বাচনটা যেন অনেকটাই দলীয় হয়ে গেল।
No comments