সন্ত্রাসমুক্ত ও উন্নত চট্টগ্রাম গড়তে মনজুরের ইশতেহার
নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম। ছবি: সৌরভ দাশ |
চট্টগ্রাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর
আলম ‘সন্ত্রাসমুক্ত নগর, ফরমালিনমুক্ত খাবার ও উন্নত চট্টগ্রাম’ গড়তে ৫৪
দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের রিমা
কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে মনজুর আলম
ইশতেহার ঘোষণা করেন। তাঁর পক্ষে ইশতেহারটি পড়েন চট্টগ্রাম উন্নয়ন
আন্দোলনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল
আল নোমান ও নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। মনজুর
আলম ইশতেহারে অঙ্গীকার করেছেন, পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি
চট্টগ্রাম মহানগরকে সম্পূর্ণ জলাবদ্ধতামুক্ত করতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবেন। এ
ব্যাপারে সরকার ও জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার (জাইকা) সহায়তায়
খাল খননের জন্য ২৯৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
(এডিবি), কুয়েত ফান্ড ও জাইকা থেকে আরও বরাদ্দ এনে ১৯৯৫ সালে প্রণীত
ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক এই মেয়র আগ্রাবাদ, সিডিএ, হালিশহর, বাকলিয়া, বহদ্দারহাটসহ যেসব এলাকায় জোয়ারের পানি ঢোকে, সেখানে ইতিমধ্যে গৃহীত স্লুইসগেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উল্লেখ করেন।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মনজুর আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা বৃষ্টির কারণে হয়, কখনো-কখনো আপনাদের কারণেও হয়ে। কোথাও যদি সামান্য বৃষ্টিতে তিন ইঞ্চি পানি ওঠে, তখন আপনারা গণমাধ্যমে তা প্রচার করেন। জলাবদ্ধতা নিয়ে আমি কী কাজ করেছি, তা সব সময় আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করেছি। আমি জলাবদ্ধতাকে জলজটে এনেছি। নগরে একসময় বৃষ্টিতে পাঁচ থেকে সাত দিনের জন্য পানি জমে থাকত। এখন মাত্র ঘণ্টা তিনেক থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কর্ণফুলী নদী খনন করা হলে সাময়িক এ জলজটও থাকবে না। আবার যদি নির্বাচিত হই, পাঁচ বছরে দেখবেন জলাবদ্ধতা কতটুকু কমিয়ে এনেছি।’
গতবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ৫৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেন। ওই ইশতেহার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় অর্ধেকের বেশি বাস্তবায়ন করেছি। কিছু চলমান রয়েছে আর কিছু সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার সবই করেছি।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে জানতে চাইলে মনজুর আলম বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবাহিনী টহল দিক, সেটি আমাদের দাবি। সরকার যদি আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে এই শহরে একটিও দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে না...যেমন একটি ঘটনা না বললেই নয়। পাঁচলাইশে গণসংযোগ শেষ করে আমার বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আসার সময় আমার গাড়ির (পিকআপ) আয়না ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির চালককে আহত করা হয়েছে, মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটি দুঃখজনক। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, বর্তমান এ অবস্থা যদি আরও অবনতির দিকে যায়, তবে তা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, সেনাবাহিনী যদি টহলে থাকে, তবে আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচনটা করতে পারব।’
নির্বাচনী ইশতেহারে মনজুর আলম চট্টগ্রাম শহর আগামী দিনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দলবাজের অভয়ারণ্য হবে, নাকি সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ হবে, সে প্রশ্নটি রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে সাবেক মেয়র বলেন, ব্যক্তিবিশেষকে এটি বলা হয়নি, কাউকে কটাক্ষ করে এটি বলা হয়নি।
সাবেক এই মেয়র আগ্রাবাদ, সিডিএ, হালিশহর, বাকলিয়া, বহদ্দারহাটসহ যেসব এলাকায় জোয়ারের পানি ঢোকে, সেখানে ইতিমধ্যে গৃহীত স্লুইসগেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উল্লেখ করেন।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মনজুর আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা বৃষ্টির কারণে হয়, কখনো-কখনো আপনাদের কারণেও হয়ে। কোথাও যদি সামান্য বৃষ্টিতে তিন ইঞ্চি পানি ওঠে, তখন আপনারা গণমাধ্যমে তা প্রচার করেন। জলাবদ্ধতা নিয়ে আমি কী কাজ করেছি, তা সব সময় আপনাদের মাধ্যমে জনগণকে অবহিত করেছি। আমি জলাবদ্ধতাকে জলজটে এনেছি। নগরে একসময় বৃষ্টিতে পাঁচ থেকে সাত দিনের জন্য পানি জমে থাকত। এখন মাত্র ঘণ্টা তিনেক থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কর্ণফুলী নদী খনন করা হলে সাময়িক এ জলজটও থাকবে না। আবার যদি নির্বাচিত হই, পাঁচ বছরে দেখবেন জলাবদ্ধতা কতটুকু কমিয়ে এনেছি।’
গতবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ৫৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেন। ওই ইশতেহার কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রায় অর্ধেকের বেশি বাস্তবায়ন করেছি। কিছু চলমান রয়েছে আর কিছু সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তার সবই করেছি।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সম্পর্কে জানতে চাইলে মনজুর আলম বলেন, প্রত্যেক কেন্দ্রে সেনাবাহিনী টহল দিক, সেটি আমাদের দাবি। সরকার যদি আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে এই শহরে একটিও দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে না...যেমন একটি ঘটনা না বললেই নয়। পাঁচলাইশে গণসংযোগ শেষ করে আমার বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে আসার সময় আমার গাড়ির (পিকআপ) আয়না ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির চালককে আহত করা হয়েছে, মাইক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটি দুঃখজনক। আমি নির্বাচন কমিশনকে বলব, বর্তমান এ অবস্থা যদি আরও অবনতির দিকে যায়, তবে তা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে আমি বলব, সেনাবাহিনী যদি টহলে থাকে, তবে আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচনটা করতে পারব।’
নির্বাচনী ইশতেহারে মনজুর আলম চট্টগ্রাম শহর আগামী দিনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দলবাজের অভয়ারণ্য হবে, নাকি সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ হবে, সে প্রশ্নটি রেখেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কাদের বুঝিয়েছেন প্রশ্ন করা হলে সাবেক মেয়র বলেন, ব্যক্তিবিশেষকে এটি বলা হয়নি, কাউকে কটাক্ষ করে এটি বলা হয়নি।
No comments