নির্দলীয় মোড়কে দলীয় নির্বাচন by রাহীদ এজাজ
সিটি
করপোরেশনের মতো স্থানীয় সরকার নির্দলীয় হবে এটি সংবিধান কিংবা স্থানীয়
সরকার আইনের কোথাও বলা নেই। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণবিধিতে দলের
নাম বা প্রতীক বা কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম বা ছবি না ছাপানোর
নির্দেশনা রয়েছে।
দলের নাম বা প্রতীক কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি প্রার্থীরা না ছাপালেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা দলেরই হচ্ছে। চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনজুর আলম যথাক্রমে চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী। আ জ ম নাছিরের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সাবেক গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া। আর মনজুর আলমের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী যে দুটি নাগরিক ফোরামের মনোনীত, সেই ফোরাম দুটি শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল। তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো।
আইনি প্রক্রিয়ার কারণে প্রচার-প্রচারণায় নির্দলীয় আমেজ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয় রাজনৈতিক দলের মোড়কে। এটা মানছেন ভোটাররাও।
গত বুধবার বিকেলে আগ্রাবাদে কথা হচ্ছিল বেসরকারি একটি সাহায্য সংস্থার গাড়িচালক মোহাম্মদ রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্বাচনটা কিন্তু হাতি (নাছিরের প্রতীক) ও কমলালেবুর (মনজুর প্রতীক) নয়। লড়াইটা নৌকা আর ধানের শীষের। লোকজন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে ভোটটা দিতে পারেনি, এবার সেটাই দেবে।
চিটাগাং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) বিবিএ শেষ পর্বের ছাত্র মো. রাশেদুল ইসলাম ও নাহিদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার কথা হচ্ছিল তাদের পাঠাগারে। নতুন দুই ভোটার বেশ রোমাঞ্চিত প্রথম ভোট নিয়ে। প্রার্থীর যোগ্যতা, নগরের সমস্যা, আগামী দিনের শহর সব বিষয় বিবেচনায় এনে তাঁরা ভোট দেবেন। তবে দুই তরুণই অকপটে স্বীকার করলেন প্রার্থীর যোগ্যতা, আগামী দিনের নগর সব কিছু ছাপিয়ে প্রধান হয়ে উঠবে কে কোন দলের মনোনীত। পছন্দ হোক আর নাই হোক শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা দলেরই।
প্রার্থীও যে দলের ওপর ভর করেই নির্বাচনী বৈতরণি পার করতে চান সেটি তঁাদের আচার-আচরণেও স্পষ্ট। গতকাল নির্বাচনী ইশতেহার প্রচার করতে গিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত পাঁচ বছরে গৃহীত প্রকল্পের পাশাপাশি আগামী কর্মসূচির প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামে তাঁর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমাকে মেয়র পদে সমর্থন করেছেন। আমি নির্বাচিত হলেই চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা আরও পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
এদিকে গত সোমবার আলকরণ এলাকায় গণসংযোগের সময় মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার প্রার্থী। আমার বিজয় মানে বেগম জিয়ার বিজয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রার্থীদের এ ধরনের আচরণ নির্বাচনকে অবধারিতভাবে দলীয় আবহ দিচ্ছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে একধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ হচ্ছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্দলীয় ও দলীয়ের মধ্যে সত্যিকারের কোনো সীমারেখা নেই। আমাদের এখানে নির্বাচন মানে রাজনীতি, রাজনীতি মানে নির্বাচন। এই দুটি বিষয় আলাদা করা খুব কঠিন। দলগুলোর দাবি, প্রার্থীদের তারা সমর্থিত করছে। এটি একটি উভয় সংকট।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন যতই কাছে আসে, তখন দুদলের মধ্যে মেরুকরণ হয়ে যায়। আর আমরা স্থানীয় সরকারকে জাতীয় রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছি।’
দলের নাম বা প্রতীক কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ছবি প্রার্থীরা না ছাপালেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা দলেরই হচ্ছে। চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ মনজুর আলম যথাক্রমে চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী। আ জ ম নাছিরের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সাবেক গণপরিষদ সদস্য ইসহাক মিয়া। আর মনজুর আলমের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী যে দুটি নাগরিক ফোরামের মনোনীত, সেই ফোরাম দুটি শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল। তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি তাদের অঙ্গসংগঠনগুলো।
আইনি প্রক্রিয়ার কারণে প্রচার-প্রচারণায় নির্দলীয় আমেজ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয় রাজনৈতিক দলের মোড়কে। এটা মানছেন ভোটাররাও।
গত বুধবার বিকেলে আগ্রাবাদে কথা হচ্ছিল বেসরকারি একটি সাহায্য সংস্থার গাড়িচালক মোহাম্মদ রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, নির্বাচনটা কিন্তু হাতি (নাছিরের প্রতীক) ও কমলালেবুর (মনজুর প্রতীক) নয়। লড়াইটা নৌকা আর ধানের শীষের। লোকজন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে ভোটটা দিতে পারেনি, এবার সেটাই দেবে।
চিটাগাং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) বিবিএ শেষ পর্বের ছাত্র মো. রাশেদুল ইসলাম ও নাহিদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার কথা হচ্ছিল তাদের পাঠাগারে। নতুন দুই ভোটার বেশ রোমাঞ্চিত প্রথম ভোট নিয়ে। প্রার্থীর যোগ্যতা, নগরের সমস্যা, আগামী দিনের শহর সব বিষয় বিবেচনায় এনে তাঁরা ভোট দেবেন। তবে দুই তরুণই অকপটে স্বীকার করলেন প্রার্থীর যোগ্যতা, আগামী দিনের নগর সব কিছু ছাপিয়ে প্রধান হয়ে উঠবে কে কোন দলের মনোনীত। পছন্দ হোক আর নাই হোক শেষ পর্যন্ত নির্বাচনটা দলেরই।
প্রার্থীও যে দলের ওপর ভর করেই নির্বাচনী বৈতরণি পার করতে চান সেটি তঁাদের আচার-আচরণেও স্পষ্ট। গতকাল নির্বাচনী ইশতেহার প্রচার করতে গিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত পাঁচ বছরে গৃহীত প্রকল্পের পাশাপাশি আগামী কর্মসূচির প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্ভব। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রামে তাঁর একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আমাকে মেয়র পদে সমর্থন করেছেন। আমি নির্বাচিত হলেই চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা আরও পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
এদিকে গত সোমবার আলকরণ এলাকায় গণসংযোগের সময় মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার প্রার্থী। আমার বিজয় মানে বেগম জিয়ার বিজয়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রার্থীদের এ ধরনের আচরণ নির্বাচনকে অবধারিতভাবে দলীয় আবহ দিচ্ছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে একধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ হচ্ছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্দলীয় ও দলীয়ের মধ্যে সত্যিকারের কোনো সীমারেখা নেই। আমাদের এখানে নির্বাচন মানে রাজনীতি, রাজনীতি মানে নির্বাচন। এই দুটি বিষয় আলাদা করা খুব কঠিন। দলগুলোর দাবি, প্রার্থীদের তারা সমর্থিত করছে। এটি একটি উভয় সংকট।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন যতই কাছে আসে, তখন দুদলের মধ্যে মেরুকরণ হয়ে যায়। আর আমরা স্থানীয় সরকারকে জাতীয় রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছি।’
No comments