পিস্তলের গুলিতে যুবলীগ নেতার আত্মহত্যা
রাজধানীর
ধানমন্ডিতে নিজ বাসা থেকে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এনায়েত কবির
চঞ্চলের (৪৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টায় নিহতের
বাড়ির গ্যারেজের বাথরুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের পাশ থেকে
পয়েন্ট টু-টু বোরের একটি পিস্তল পাওয়া যায়। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের
সস্যদের ধারণা, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন এনায়েত কবির
চঞ্চল। পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ
তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী জিল্লুর রহমান
জানান, সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন চঞ্চল। ১৫ মিনিট পর তিনি হেঁটে
বাড়িতে প্রবেশ করেন। নিচতলার বাথরুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। এরপর মিনিট
পাঁচেক পরেই বাথরুমে গুলির শব্দ হয়। সেইসঙ্গে চিৎকারের শব্দও ভেসে আসে।
সঙ্গে সঙ্গে নিচতলায় থাকা নিরাপত্তাকর্মী ও চালকরা বাথরুমের কাছে যান। তারা
কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এনায়েত কবির চঞ্চলের পিতা এনামুল কবিরকে বিষয়টি
জানান। বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি ও ধাক্কাধাক্কি করেন তারা। কোন
সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিকভাবে দরজা
ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ধানমন্ডি মডেল থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, চঞ্চল আত্মহত্যা
করেছেন। তিনি আত্মহত্যার আগে সুইসাইডাল নোটও লিখে গেছেন। বহুতল নিজ বাড়ির
নিচতলার গাড়ি গ্যারেজে থাকা কমন বাথরুমের ভেতর থেকে চঞ্চলের লাশ উদ্ধার করা
হয়। নিহত চঞ্চল ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চলের লাশ উদ্ধারের সময় তার ডান হাতে পিস্তল, পকেটে পাঁচটি গুলি, মানিব্যাগ ও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল-‘এসি রেজাউল ভাই, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিষণ্নতায় ভুগছিলেন চঞ্চল। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল তার। এসব কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা এনামুল কবির জানান, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি চঞ্চলের মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাতৃভক্ত চঞ্চল। তিনি বারবার মায়ের কথা বলতেন। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলতেন। বিষণ্নতায় ভুগতে থাকায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল। মাঝে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। পরে ফের তিনি বিষণ্নতায় ডুবে যান।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, নিহতের পিতা এনামুল কবীর ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তরের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন আমলে নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এমন আদেশের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃত্যুর আলামত হিসেবে পিস্তল ও বুলেটের খোসা জব্দ করা হয়েছে।
নিহত যুবলীগ নেতা এনায়েত কবির চঞ্চল একজন ব্যবসায়ী। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও শেখ জামাল ফুটবল ক্লাবের পরিচালক ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। তার পিতার নাম এনামুল কবির। তাদের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতীর ডুমুরিয়ায়। স্ত্রী ও তিন পুত্র নিয়ে ধানমন্ডির এক নম্বর সড়কের ৩৯ নম্বর বাড়িতে থাকতেন তিনি। এনায়েত কবির চঞ্চলের বড় পুত্র তন্ময় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। মেজো পুত্র তাওহিদ আহসান একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এবং ছোট পুত্র আদনার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চলের লাশ উদ্ধারের সময় তার ডান হাতে পিস্তল, পকেটে পাঁচটি গুলি, মানিব্যাগ ও একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিল-‘এসি রেজাউল ভাই, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার লাশ পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।’
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিষণ্নতায় ভুগছিলেন চঞ্চল। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে মাইগ্রেনের সমস্যা ছিল তার। এসব কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা এনামুল কবির জানান, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি চঞ্চলের মা মারা যান। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মাতৃভক্ত চঞ্চল। তিনি বারবার মায়ের কথা বলতেন। ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলতেন। বিষণ্নতায় ভুগতে থাকায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল। মাঝে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। পরে ফের তিনি বিষণ্নতায় ডুবে যান।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, নিহতের পিতা এনামুল কবীর ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তরের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন আমলে নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এমন আদেশের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃত্যুর আলামত হিসেবে পিস্তল ও বুলেটের খোসা জব্দ করা হয়েছে।
নিহত যুবলীগ নেতা এনায়েত কবির চঞ্চল একজন ব্যবসায়ী। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও শেখ জামাল ফুটবল ক্লাবের পরিচালক ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। তার পিতার নাম এনামুল কবির। তাদের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের নড়াগাতীর ডুমুরিয়ায়। স্ত্রী ও তিন পুত্র নিয়ে ধানমন্ডির এক নম্বর সড়কের ৩৯ নম্বর বাড়িতে থাকতেন তিনি। এনায়েত কবির চঞ্চলের বড় পুত্র তন্ময় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র। মেজো পুত্র তাওহিদ আহসান একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এবং ছোট পুত্র আদনার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
No comments