ঘাতক গ্রেফতার : লাশ উদ্ধার হয়নি by হাবিব সরোয়ার আজাদ
সুনামগঞ্জের
ছাতকে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মসজিদের
সেই ইমামকে অবশেষে পুলিশ নানা নাটকিয়তার পর গ্রেফতার করেছে। বুধবার সিলেট
নগরীর কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইমামের
নাম সুয়েবুর রহমান সুজন। সে উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
সুয়েবুর জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই
আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এ হত্যকাণ্ড ও অপহরণের ঘটনায়
উপজেলার বাতিরকান্দি গ্রামের আবদুল বাহার, নুরুল মিয়া, আবু জাহেদকে পুলিশ
গ্রেফতার করেছে। এদিকে হত্যকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পুলিশ ১৩ দিনেও
ইমনের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি স্থানীয় জনতার
মধ্যে বেশ কিছুটা চাপা ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তবে পুলিশি গাফলতির
বিষয়টি মানতে নারাজ পুলিশ সুপার।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার পুলিশ ও নিহতের পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবসীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের জহুর আলীর ৬ বছর বয়সী শিশু ইমনকে ২৭ মার্চ অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন ও তার সহযোগীরা। গ্রেফারকৃত সুয়েবুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩০ মার্চ সোমবার রাতেই ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তৎপর হলে শূন্য হতো না এক মায়ের কোল।
এদিকে শিশু ইমনের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার হয়নি। তবে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুুুরিসহ হত্যকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেলাজুড়ে বইছে শোকের মাতম আর নিন্দার ঝড়। দু’লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য নাকি অন্য কোনো গোপন বিষয় ইমন জেনে গিয়েছিল যা ফাঁস হয়ে গেলে মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যেত। মূলত এ দু’টি বিষয়ই তদন্তে প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে পুলিশ জনরোষ ঠেকাতে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। ইমনের মা বৃহস্পতিবার আহাজারী করে বলেন, পুলিশ যদি শুরু থেকেই তৎপর হতো তবে আমার বুকের মানিক এমন অকালে হত্যকাণ্ডের শিকার হতো না।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফলতি ছিল না। ১৩ দিনেও ইমনের লাশ উদ্ধার না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি যুগান্তরকে বললেন, পুলিশ চেষ্টা করছে, লাশ পেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার পুলিশ ও নিহতের পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবসীর সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের জহুর আলীর ৬ বছর বয়সী শিশু ইমনকে ২৭ মার্চ অপহরণ করে নিয়ে যায় স্থানীয় মসজিদের ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন ও তার সহযোগীরা। গ্রেফারকৃত সুয়েবুরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩০ মার্চ সোমবার রাতেই ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ তৎপর হলে শূন্য হতো না এক মায়ের কোল।
এদিকে শিশু ইমনের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার হয়নি। তবে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুুুরিসহ হত্যকাণ্ডের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জেলাজুড়ে বইছে শোকের মাতম আর নিন্দার ঝড়। দু’লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য নাকি অন্য কোনো গোপন বিষয় ইমন জেনে গিয়েছিল যা ফাঁস হয়ে গেলে মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যেত। মূলত এ দু’টি বিষয়ই তদন্তে প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে পুলিশ জনরোষ ঠেকাতে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। ইমনের মা বৃহস্পতিবার আহাজারী করে বলেন, পুলিশ যদি শুরু থেকেই তৎপর হতো তবে আমার বুকের মানিক এমন অকালে হত্যকাণ্ডের শিকার হতো না।
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফলতি ছিল না। ১৩ দিনেও ইমনের লাশ উদ্ধার না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি যুগান্তরকে বললেন, পুলিশ চেষ্টা করছে, লাশ পেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
No comments