বেপরোয়া গতি, গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ২৬ জনের
ভাঙ্গা পৌরসভার কৈডুবি এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে প্রচণ্ড ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ছবি: আলীমুজ্জামান, ফরিদপুর |
ফের
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা। এবার প্রাণ গেল ২৬ জনের। বুধবার রাতে ফরিদপুরের
ভাঙ্গা উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা
লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১৮
জন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রশিদকে প্রধান
করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাস দুর্ঘটনায়
প্রাণহানিতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ারসর্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা ছেড়ে যায় কুয়াকাটাগামী সোনারতরী পরিবহনের নৈশ কোচটি। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কইডুবি সদরদী নামক স্থানে পৌঁছলে কোচটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি বড় গাছের সঙ্গে প্রচণ্ডবেগে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘুমন্ত যাত্রীরা কিছু বুঝে উঠার আগেই সব তছনছ হয়ে যায়। যাত্রীদের আহাজারি-আর্তনাদে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৯ জন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, ভিডিপি, র্যাব সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালায়। এ সময় হাসপাতালে গুরুতর আহতদের মধ্যে ৩ জন এবং ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৪জন সহ মোট ২৬ জন নিহত হন। দুর্ঘটনার জন্য বাসচালককে দায়ী করেছেন যাত্রীরা। আহত এক যাত্রী বলেন, গাবতলি থেকে চালক বেপরোয়া ভাবে বাসটি চালাচ্ছিল। আমি তাকে বারবার বারণ করেছি। কিন্তু সে তা শুনেনি। আমাদের কথা শুনলে আজ এই দুর্ঘটনা হতো না। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে। আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শামসুজ্জোহা বলেন, দ্রুত গতিতে থাকা বাসটি ভাঙ্গা মোড় পেরিয়ে টেকেরহাটের দিকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর বাসটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। পরে আরো কয়েকটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কাত হয়ে পড়ে যায় বাসটি। হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী সুপার বেলাল হোসেন বলেন, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাসের চালক দাবি করেন, ডাকাতের ভয়ে তিনি বাসটি ঘুরাতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কবির (৩৫), আসমা (২৮), সূর্য বেগম (৭০), হেলাল ফকির (২৮), শালিকা আকলিমা (১২), গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরের সুপারভাইজার শরিফুল (২৭), ঝালকাঠির জলিল (৩৪), বরগুনা আমতলীর রাবেয়া বেগম (৭০) ও তার ছেলে টুটুল হাওলাদার (৪৫), কলাপাড়া পটুয়াখালীর মিঠু (২৬), শাহিন (২৩), যশোর কোতোয়ালির মনিরুল ইসলাম (৩৫), গলাচিপা পটুয়াখালীর সোহাগ (৩০), কলাপাড়া পটুয়াখালীর রেজাউল (২০), বরিশাল সদরের শাহরিয়ার জয় (১৮), ঢাকা সাভারের গার্মেন্ট সুপারভাইজার নাজমা (৩০), ফরিদপুর কোতোয়ালির মোবারক হোসেন (৩২), বরিশাল বানারিপাড়ার আফজাল হোসেন (৪৫), বরগুনা আমতলীর আবুবকর (২২), বারেক হাওলাদার (৫৫), পটুয়াখালীর সুমন (২৪), রতন সজ্জন (২৯), হাসনা (৪৫), মাহমুদুল হাসান (৩৫) ও অজ্ঞাত পুরুষ যাত্রী (৩০)।
আহতরা হলেন- বরিশাল সদরের ড্রাইভার জাকির (৩০), বরগুনার রুবেল (২৭), তুহিন (২৭), সিদ্দিকুর রহমান (৩০), মোজাম্মেল হক (৩৮), পটুয়াখালীর শাকিব (৮), সুমন (৪০), আশরাফ (৪৫), সকিনা (২৩), ইসমাইল (০৬), রাকিব (৫), শাফিয়া (৪৮), শম্পা (২০), রুবি (২৫), ফরিদপুর বোয়ালমারীর মনির হোসেন (৩০), সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর (২৫), বরিশালের জহির (২৭), পাবনার মানিক (২৩), শরিয়তপুরের শফিক (২৮) ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ফরিদপুর ও ভাঙ্গা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাবের কর্মকর্তা, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ারসর্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা ছেড়ে যায় কুয়াকাটাগামী সোনারতরী পরিবহনের নৈশ কোচটি। রাত আনুমানিক দেড়টার সময় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কইডুবি সদরদী নামক স্থানে পৌঁছলে কোচটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি বড় গাছের সঙ্গে প্রচণ্ডবেগে ধাক্কা খায়। এতে গাড়িটি সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘুমন্ত যাত্রীরা কিছু বুঝে উঠার আগেই সব তছনছ হয়ে যায়। যাত্রীদের আহাজারি-আর্তনাদে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৯ জন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, ভিডিপি, র্যাব সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালায়। এ সময় হাসপাতালে গুরুতর আহতদের মধ্যে ৩ জন এবং ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৪জন সহ মোট ২৬ জন নিহত হন। দুর্ঘটনার জন্য বাসচালককে দায়ী করেছেন যাত্রীরা। আহত এক যাত্রী বলেন, গাবতলি থেকে চালক বেপরোয়া ভাবে বাসটি চালাচ্ছিল। আমি তাকে বারবার বারণ করেছি। কিন্তু সে তা শুনেনি। আমাদের কথা শুনলে আজ এই দুর্ঘটনা হতো না। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানা যাবে। আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শামসুজ্জোহা বলেন, দ্রুত গতিতে থাকা বাসটি ভাঙ্গা মোড় পেরিয়ে টেকেরহাটের দিকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এরপর বাসটি রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। পরে আরো কয়েকটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কাত হয়ে পড়ে যায় বাসটি। হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর অঞ্চলের সহকারী সুপার বেলাল হোসেন বলেন, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাসের চালক দাবি করেন, ডাকাতের ভয়ে তিনি বাসটি ঘুরাতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কবির (৩৫), আসমা (২৮), সূর্য বেগম (৭০), হেলাল ফকির (২৮), শালিকা আকলিমা (১২), গোপালগঞ্জ মুকসুদপুরের সুপারভাইজার শরিফুল (২৭), ঝালকাঠির জলিল (৩৪), বরগুনা আমতলীর রাবেয়া বেগম (৭০) ও তার ছেলে টুটুল হাওলাদার (৪৫), কলাপাড়া পটুয়াখালীর মিঠু (২৬), শাহিন (২৩), যশোর কোতোয়ালির মনিরুল ইসলাম (৩৫), গলাচিপা পটুয়াখালীর সোহাগ (৩০), কলাপাড়া পটুয়াখালীর রেজাউল (২০), বরিশাল সদরের শাহরিয়ার জয় (১৮), ঢাকা সাভারের গার্মেন্ট সুপারভাইজার নাজমা (৩০), ফরিদপুর কোতোয়ালির মোবারক হোসেন (৩২), বরিশাল বানারিপাড়ার আফজাল হোসেন (৪৫), বরগুনা আমতলীর আবুবকর (২২), বারেক হাওলাদার (৫৫), পটুয়াখালীর সুমন (২৪), রতন সজ্জন (২৯), হাসনা (৪৫), মাহমুদুল হাসান (৩৫) ও অজ্ঞাত পুরুষ যাত্রী (৩০)।
আহতরা হলেন- বরিশাল সদরের ড্রাইভার জাকির (৩০), বরগুনার রুবেল (২৭), তুহিন (২৭), সিদ্দিকুর রহমান (৩০), মোজাম্মেল হক (৩৮), পটুয়াখালীর শাকিব (৮), সুমন (৪০), আশরাফ (৪৫), সকিনা (২৩), ইসমাইল (০৬), রাকিব (৫), শাফিয়া (৪৮), শম্পা (২০), রুবি (২৫), ফরিদপুর বোয়ালমারীর মনির হোসেন (৩০), সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর (২৫), বরিশালের জহির (২৭), পাবনার মানিক (২৩), শরিয়তপুরের শফিক (২৮) ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ফরিদপুর ও ভাঙ্গা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাবের কর্মকর্তা, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
No comments