ও পাখিরে! by তৌহিদী হাসান
‘একই
গর্তে হাজার হাজার পাখি চাপা দিয়েছি। মৃত পাখি। চাপা দিয়েছি আর কেঁদেছি।
শুধু আমি না, আরও অনেকের মন কেঁদেছে।’ বলছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী
উপজেলার কুশলীবাসা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস।
আবদুল কুদ্দুসের বাগানে কয়েক হাজার পাখি গত রোববার রাতের ঝড়ে মারা যায়। আহত হয় সহস্রাধিক পাখি। পাখিদের প্রতি মায়া শুধু আবদুল কুদ্দুসের নয়, এ গ্রামের প্রায়ই সবার মনেই দাগ কেটেছে মর্মান্তিক এই ঘটনা। যুবক, কিশোর, শিশু—সবাই যেন বেদনায় কাতর। ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো আহত অনেক পাখি ছড়িয়ে আছে বাগানের নানা জায়গায়। ভালোবাসা আর মমতায় তাদের উদ্ধার করে সেবা দিচ্ছে এলাকার যুবক-কিশোরেরা।
গত বুধবারও জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি আহত পাখি উদ্ধার করেছেন। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে কাঁঠাল, মেহগনির গাছ। শতাধিক গাছে তেমন কোনো পাতা নেই। ঝরে পড়ে আছে বাগানের মাটিতে। ভেজা, পচা পাতার ফাঁকে ফাঁকে পড়ে আছে পাখির পালক, অঙ্গ। একটু দূরে কয়েকটি মৃত পাখিরও দেখা মিলল।
রোববার গভীর রাতে কালবৈশাখী আর শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে পাখিদের এই অভয়াশ্রম পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। কারও কারও মতে, প্রায় ২৫ হাজার পাখি শিলের আঘাতে মারা যায়। সোমবার বিকেলে সেগুলো সড়কের পাশেই মাটি চাপা দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখা গেল কয়েকটি মৃত পাখি। স্থানীয় কিশোর আলামিন সেগুলো হাতে ধরে তুলে দেখাল। একটা কানাকুয়ো পাখির দেখা পেলাম। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সহজে ধরাও দিল। তার বাঁ চোখে শিলের আঘাতের চিহ্ন। একটু উড়ে গিয়ে আবার মাটিতে পড়ে গেল। কুদ্দুস জানালেন, বাগানে গাছের পাতাও নেই, পাখিদের কিচিরমিচিরও নেই। এখনো অনেক পাখি আহত অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। হয়তো মারা যাবে শিগগিরই।
পাখিদের এমন মৃত্যুর খবর শুনে গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। খবর পেয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসাদুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে হাজির হন। মৃত পাখিদের দুর্গন্ধ দূর করতে বাগানে ওষুধ ছিটানো হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাখিদের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক আটটি পাখি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাখিদের এই অভয়াশ্রমকে নিরাপদ করতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাখিদের বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
পাখিরা কি ফিরে পাবে কুশলীবাসার এই অভয়াশ্রম?
আবদুল কুদ্দুসের বাগানে কয়েক হাজার পাখি গত রোববার রাতের ঝড়ে মারা যায়। আহত হয় সহস্রাধিক পাখি। পাখিদের প্রতি মায়া শুধু আবদুল কুদ্দুসের নয়, এ গ্রামের প্রায়ই সবার মনেই দাগ কেটেছে মর্মান্তিক এই ঘটনা। যুবক, কিশোর, শিশু—সবাই যেন বেদনায় কাতর। ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো আহত অনেক পাখি ছড়িয়ে আছে বাগানের নানা জায়গায়। ভালোবাসা আর মমতায় তাদের উদ্ধার করে সেবা দিচ্ছে এলাকার যুবক-কিশোরেরা।
গত বুধবারও জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকটি আহত পাখি উদ্ধার করেছেন। প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে কাঁঠাল, মেহগনির গাছ। শতাধিক গাছে তেমন কোনো পাতা নেই। ঝরে পড়ে আছে বাগানের মাটিতে। ভেজা, পচা পাতার ফাঁকে ফাঁকে পড়ে আছে পাখির পালক, অঙ্গ। একটু দূরে কয়েকটি মৃত পাখিরও দেখা মিলল।
রোববার গভীর রাতে কালবৈশাখী আর শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে পাখিদের এই অভয়াশ্রম পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। কারও কারও মতে, প্রায় ২৫ হাজার পাখি শিলের আঘাতে মারা যায়। সোমবার বিকেলে সেগুলো সড়কের পাশেই মাটি চাপা দেওয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাগানে গিয়ে দেখা গেল কয়েকটি মৃত পাখি। স্থানীয় কিশোর আলামিন সেগুলো হাতে ধরে তুলে দেখাল। একটা কানাকুয়ো পাখির দেখা পেলাম। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। সহজে ধরাও দিল। তার বাঁ চোখে শিলের আঘাতের চিহ্ন। একটু উড়ে গিয়ে আবার মাটিতে পড়ে গেল। কুদ্দুস জানালেন, বাগানে গাছের পাতাও নেই, পাখিদের কিচিরমিচিরও নেই। এখনো অনেক পাখি আহত অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। হয়তো মারা যাবে শিগগিরই।
পাখিদের এমন মৃত্যুর খবর শুনে গত বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। খবর পেয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আসাদুল হকের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা সেখানে হাজির হন। মৃত পাখিদের দুর্গন্ধ দূর করতে বাগানে ওষুধ ছিটানো হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাখিদের ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক আটটি পাখি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাখিদের এই অভয়াশ্রমকে নিরাপদ করতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাখিদের বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।
পাখিরা কি ফিরে পাবে কুশলীবাসার এই অভয়াশ্রম?
No comments