ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না কেউ -সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। যে বাড়ি থেকে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সেই বাড়ির আশপাশের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
‘অ্যামিড পলিটিক্যাল কনফ্রন্টেশনস ইন বাংলাদেশ, এ সার্চ ফর এ মিসিং অপজিশন অফিশিয়াল’ (রাজনৈতিক সংঘাতে বাংলাদেশ, বিরোধী দলের এক নেতার খোঁজে)-শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটি করেছেন সাংবাদিক এলেন ব্যারি।
প্রতিবেদনে এলেন ব্যারি বলেছেন, সালাহ উদ্দিনকে যে বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে তিনি (এলেন ব্যারি) সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি সুনসান নীরব পরিস্থিতি দেখেছেন। চেষ্টা করেও ওই বাড়ির কারও সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেননি। সালাহ উদ্দিনের পরিবারের ভাষ্যমতে, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসার পর যে দারোয়ান ফটক খুলে দিয়েছিলেন তাঁকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে দাবি করা হয়, ওই ভবনের মালিক একটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপক। তাঁকেও সেখানে পাওয়া যায়নি।
সালাহ উদ্দিন যে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তার পাশের বাসার নিরাপত্তাকর্মী মোজাম্মেল বলেন, ‘কিছু একটা তো ঘটেছেই। কিন্তু মুখ বুঝে থাকাটাকেই সবাই নিরাপদ মনে করছে।’ এ সময় আশপাশের কোনো এক বাসা থেকে এক ব্যক্তি এসে সালাহ উদ্দিন সম্পর্কে খোঁজ বা প্রশ্ন না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তি বলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিবেশীরাও বিপদে পড়তে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘সবাই ভয়ের মধ্যে আছে। আপনি যে কথা বলছেন, এই মুহূর্তে আপনার ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।’
বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারিতে একতরফা নির্বাচন করে। এই নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংঘাতময় অবস্থা থেকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলই সরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া টানা অবরোধ ও হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকে অবরোধে পেট্রলবোমা হামলায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত রোববার দুটি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া হাজিরা দেওয়ায় কারাগারে না পাঠিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে উত্তেজনা কমে এসেছে। খালেদা জিয়া ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সংকট থেকে এত সহজে বের হওয়া যাচ্ছে না। এর একটি অন্যতম কারণ গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়া।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজের ঘটনায় অনেকে শঙ্কিত। তিনি বলেন, ‘তাঁর নিখোঁজের দায় কেউ নিচ্ছে না। আমার কাছে এটা অত্যন্ত ভীতিকর অবস্থা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে চাইলেই কাউকে মধ্যরাত তুলে নেওয়া যায় এবং তারপর সরকার বলবে, আমাদের এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’
অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন যেখানে ছিলেন সেই রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শী বাসার তত্ত্বাবধায়ক আখতার আলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি স্ববিরোধী কথা বলছেন। সেই রাতে রাস্তায় উপস্থিত দুই ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, তাঁরা সেই বাসার সামনে র্যাবের একটি গাড়িসহ তিন-চারটি গাড়ি দেখেছেন।
গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হন। এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে বিএনপির অপর নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
‘অ্যামিড পলিটিক্যাল কনফ্রন্টেশনস ইন বাংলাদেশ, এ সার্চ ফর এ মিসিং অপজিশন অফিশিয়াল’ (রাজনৈতিক সংঘাতে বাংলাদেশ, বিরোধী দলের এক নেতার খোঁজে)-শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটি করেছেন সাংবাদিক এলেন ব্যারি।
প্রতিবেদনে এলেন ব্যারি বলেছেন, সালাহ উদ্দিনকে যে বাড়ি থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে তিনি (এলেন ব্যারি) সেই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি সুনসান নীরব পরিস্থিতি দেখেছেন। চেষ্টা করেও ওই বাড়ির কারও সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেননি। সালাহ উদ্দিনের পরিবারের ভাষ্যমতে, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসার পর যে দারোয়ান ফটক খুলে দিয়েছিলেন তাঁকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে দাবি করা হয়, ওই ভবনের মালিক একটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপক। তাঁকেও সেখানে পাওয়া যায়নি।
সালাহ উদ্দিন যে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন তার পাশের বাসার নিরাপত্তাকর্মী মোজাম্মেল বলেন, ‘কিছু একটা তো ঘটেছেই। কিন্তু মুখ বুঝে থাকাটাকেই সবাই নিরাপদ মনে করছে।’ এ সময় আশপাশের কোনো এক বাসা থেকে এক ব্যক্তি এসে সালাহ উদ্দিন সম্পর্কে খোঁজ বা প্রশ্ন না করার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন। ওই ব্যক্তি বলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রতিবেশীরাও বিপদে পড়তে পারেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘সবাই ভয়ের মধ্যে আছে। আপনি যে কথা বলছেন, এই মুহূর্তে আপনার ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।’
বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারিতে একতরফা নির্বাচন করে। এই নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সংঘাতময় অবস্থা থেকে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলই সরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া টানা অবরোধ ও হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকে অবরোধে পেট্রলবোমা হামলায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত রোববার দুটি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া হাজিরা দেওয়ায় কারাগারে না পাঠিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে উত্তেজনা কমে এসেছে। খালেদা জিয়া ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ সংকট থেকে এত সহজে বের হওয়া যাচ্ছে না। এর একটি অন্যতম কারণ গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ হওয়া।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রথম সারির ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজের ঘটনায় অনেকে শঙ্কিত। তিনি বলেন, ‘তাঁর নিখোঁজের দায় কেউ নিচ্ছে না। আমার কাছে এটা অত্যন্ত ভীতিকর অবস্থা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে চাইলেই কাউকে মধ্যরাত তুলে নেওয়া যায় এবং তারপর সরকার বলবে, আমাদের এ ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই।’
অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন যেখানে ছিলেন সেই রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এ ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যক্ষদর্শী বাসার তত্ত্বাবধায়ক আখতার আলির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি স্ববিরোধী কথা বলছেন। সেই রাতে রাস্তায় উপস্থিত দুই ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, তাঁরা সেই বাসার সামনে র্যাবের একটি গাড়িসহ তিন-চারটি গাড়ি দেখেছেন।
গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হন। এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে বিএনপির অপর নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন।
No comments