ইরানের পারমাণবিক চুক্তির ভবিষ্যৎ by রিচার্ড এন হাস
পুরোনো এক ইংরেজি প্রবাদ আছে এ রকম: ‘ফলাফল নিশ্চিত হলেও ঘটনাপ্রবাহ ভুল পথে পরিচালিত হতে পারে’।
মনে হচ্ছে, ফয়সালা হয়ে গেছে বা ব্যাপারটা নিশ্চিত, কিন্তু বস্তুত তার কোনোটিই নয়। ফারসি ভাষায় এমন প্রবাদ না থাকলেও আমার মনে হয়, তেমন প্রবাদ সেই ভাষাতেও শিগগিরই দেখা যাবে। উল্লিখিত কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে, ‘প্যারামিটারস ফর আ জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন রিগার্ডিং দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানস নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম’। যে কাঠামোটি ইরান ও পি৫+১ গ্রহণ করেছে (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাইরে জার্মানি)। এই ঐকমত্যটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে যে খুঁটিনাটি বিষয় বিধৃত হয়েছে, তা আমাদের প্রত্যাশারও অধিক, এর ব্যাপ্তিও একইভাবে আমাদের সব প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এই ঐকমত্যে যত প্রশ্নের উত্তর রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর অধরাই রয়ে গেছে। বাস্তবে আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে, প্রধান বিষয়গুলো এখনো ফয়সালা হয়নি। এটা বলাটা সত্যের অন্তত কাছাকাছি হবে যে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে প্রকৃত বিতর্ক কেবল শুরু হচ্ছে।
এই ঐকমত্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বেশ ভালো রকম সীমাবদ্ধতা আরোপ করা করেছে: সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ও ধরন, রিঅ্যাক্টরের প্রকৃতি, দেশটি যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধারণ করতে পারবে ও এর বৈশিষ্ট্য। পরীক্ষণের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে ইরানের এই আত্মবিশ্বাস থাকে যে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আর ইরান তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, এটা নিশ্চিত হলে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে—এমন বিধানও এতে রাখা হয়েছে।
এই ঐকমত্যের মূল কথা হচ্ছে, ইরান যে মুহূর্তে তার লক্ষ্য অর্জনে এক বা একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তাকে এক বছরের সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। এই মূল্যায়ন থেকে বোঝা যায়, ঐকমত্যে যে ধরনের মনিটরিংয়ের কথা বলা হয়েছে, তাতে ইরান কোনোভাবে এর শর্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে তা আগেই ধরা যাবে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি অনুসারে কাজ করতে পারবে। তারা মনে করলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর আগেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এই ঐকমত্যটি কার্যকর হবে বা তার কাঙ্ক্ষিত প্রভাব অনুভূত হবে, তা অনুমান করার পাঁচটি কারণ আছে। প্রথমটি হচ্ছে আগামী ৯০ দিন। যা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা আসলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কাঠামো; আর আগামী জুনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ও সমন্বিত চুক্তি হওয়ার কথা। আবার এর মধ্যে স্বাক্ষরকারীদের মনও বদলে যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও জনগণ যদি এর শর্ত নিয়ে সমালোচনা শুরু করে, তাহলে তা হতেও পারে। যে আলোচনা হয়েছে, তা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে উপস্থাপন করছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতান্তর সৃষ্টি হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে ফয়সালা করা হবে, সেটাই হচ্ছে দ্বিতীয় উদ্বেগের কারণ। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কখন তুলে নেওয়া হবে, তার দিনক্ষণ ঠিক করাই হবে সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। ইরানের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে বড় বিষয়। ইরানি জনগণের কাছে এই নিষেধাজ্ঞাই প্রধান ব্যাপার, তাদের প্রতিক্রিয়াও নির্ধারণ করবে এই নিষেধাজ্ঞা। তার মানে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেকেই চাইবে যে ইরান তার গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি পূরণ না করা পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাক।
সন্দেহের তৃতীয় উৎস হচ্ছে, বিভিন্ন পক্ষ কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুমোদন করবে কি না, এমন আশঙ্কা। প্রধান দুটি অনিশ্চয়তা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে। ইরানের তথাকথিত কট্টরপন্থীরা ‘মহা শয়তানের’ সঙ্গে যেকোনো রকম চুক্তির বিরোধিতা করবে, যেটা তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার রাশ টেনে ধরবে। আবার ইরানি জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত প্রবল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অনুমোদন দিলেই ইরান এই চুক্তি অনুমোদন করবে, তিনি সেটা করবেন বলেও অনুমান করা যায়।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জটিলতা আরও বেশি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আরও জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যে লড়াই শুরু হবে মার্কিন কংগ্রেসেই। ইরান নিয়ে বোধগম্যভাবেই বিস্তর উদ্বেগের অবকাশ আছে, ১০, ১৫ বা ২৫ বছর পর ইরানের ওপর থেকে নানা সীমাবদ্ধতা উঠে গেলে কী হবে, তা নিয়ে। কংগ্রেস যে চূড়ান্ত চুক্তিতে অনুমোদন দেবে বা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে, সেটা মোটেও নিশ্চিত নয়।
রাজনৈতিক অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারটা উদ্বেগের চতুর্থ ক্ষেত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত: চূড়ান্ত ঐকমত্য কীভাবে বাস্তবায়িত হবে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ইতিহাস ঘাঁটলে মনে হয়, এমন সময় আসবে, যখন ইরান চুক্তির শর্তাবলি পালন করবে না। যে চেতনার বলে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটা ধারণ করার ক্ষেত্রে সে আরও পিছিয়ে। কারণ, ইতিপূর্বে জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের কাছে সে তথ্য লুকিয়েছে। ইরানের আচরণ মূল্যায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণে ঐকমত্য দরকার, আর সে কীভাবে সাড়া দেবে, তা নির্ধারণেও ঐকমত্য দরকার।
পঞ্চম উদ্বেগের কারণ যতটা না এই ঐকমত্য, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ইরানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি। ঐকমত্যটি শুধু ইরানের পারমাণবিক তৎপরতাবিষয়ক। এতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, সন্ত্রাসীদের সহায়তা, প্রক্সি এবং সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মধ্যপ্রাচ্যে দেশটি কী করছে, সে বিষয়ে একটি কথাও নেই। আবার নিজ দেশে ইরানের মানবাধিকারবিষয়ক কোনো কথাও এই ঐকমত্যে নেই।
ইরান এক সম্ভাব্য সাম্রাজ্যিক শক্তি, যে তার এলাকায় আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এমনকি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত ও বাস্তবায়িত হয়ে গেলেও এ অবস্থা পাল্টাবে না, এমনকি পরিস্থিতি আরও খারাপও হতে পারে।
মনে হচ্ছে, ফয়সালা হয়ে গেছে বা ব্যাপারটা নিশ্চিত, কিন্তু বস্তুত তার কোনোটিই নয়। ফারসি ভাষায় এমন প্রবাদ না থাকলেও আমার মনে হয়, তেমন প্রবাদ সেই ভাষাতেও শিগগিরই দেখা যাবে। উল্লিখিত কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে, ‘প্যারামিটারস ফর আ জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন রিগার্ডিং দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানস নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম’। যে কাঠামোটি ইরান ও পি৫+১ গ্রহণ করেছে (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—চীন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বাইরে জার্মানি)। এই ঐকমত্যটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে যে খুঁটিনাটি বিষয় বিধৃত হয়েছে, তা আমাদের প্রত্যাশারও অধিক, এর ব্যাপ্তিও একইভাবে আমাদের সব প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও এই ঐকমত্যে যত প্রশ্নের উত্তর রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নের উত্তর অধরাই রয়ে গেছে। বাস্তবে আগামী দিনগুলোতে দেখা যাবে, প্রধান বিষয়গুলো এখনো ফয়সালা হয়নি। এটা বলাটা সত্যের অন্তত কাছাকাছি হবে যে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে প্রকৃত বিতর্ক কেবল শুরু হচ্ছে।
এই ঐকমত্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে বেশ ভালো রকম সীমাবদ্ধতা আরোপ করা করেছে: সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ও ধরন, রিঅ্যাক্টরের প্রকৃতি, দেশটি যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধারণ করতে পারবে ও এর বৈশিষ্ট্য। পরীক্ষণের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে ইরানের এই আত্মবিশ্বাস থাকে যে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। আর ইরান তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে, এটা নিশ্চিত হলে তার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে—এমন বিধানও এতে রাখা হয়েছে।
এই ঐকমত্যের মূল কথা হচ্ছে, ইরান যে মুহূর্তে তার লক্ষ্য অর্জনে এক বা একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তাকে এক বছরের সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। এই মূল্যায়ন থেকে বোঝা যায়, ঐকমত্যে যে ধরনের মনিটরিংয়ের কথা বলা হয়েছে, তাতে ইরান কোনোভাবে এর শর্ত লঙ্ঘনের চেষ্টা করলে তা আগেই ধরা যাবে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি অনুসারে কাজ করতে পারবে। তারা মনে করলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর আগেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
এই ঐকমত্যটি কার্যকর হবে বা তার কাঙ্ক্ষিত প্রভাব অনুভূত হবে, তা অনুমান করার পাঁচটি কারণ আছে। প্রথমটি হচ্ছে আগামী ৯০ দিন। যা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা আসলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন কাঠামো; আর আগামী জুনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ও সমন্বিত চুক্তি হওয়ার কথা। আবার এর মধ্যে স্বাক্ষরকারীদের মনও বদলে যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও জনগণ যদি এর শর্ত নিয়ে সমালোচনা শুরু করে, তাহলে তা হতেও পারে। যে আলোচনা হয়েছে, তা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে উপস্থাপন করছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মতান্তর সৃষ্টি হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে ফয়সালা করা হবে, সেটাই হচ্ছে দ্বিতীয় উদ্বেগের কারণ। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কখন তুলে নেওয়া হবে, তার দিনক্ষণ ঠিক করাই হবে সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। ইরানের জন্য এটাই হবে সবচেয়ে বড় বিষয়। ইরানি জনগণের কাছে এই নিষেধাজ্ঞাই প্রধান ব্যাপার, তাদের প্রতিক্রিয়াও নির্ধারণ করবে এই নিষেধাজ্ঞা। তার মানে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেকেই চাইবে যে ইরান তার গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা পুরোপুরি পূরণ না করা পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাক।
সন্দেহের তৃতীয় উৎস হচ্ছে, বিভিন্ন পক্ষ কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুমোদন করবে কি না, এমন আশঙ্কা। প্রধান দুটি অনিশ্চয়তা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে। ইরানের তথাকথিত কট্টরপন্থীরা ‘মহা শয়তানের’ সঙ্গে যেকোনো রকম চুক্তির বিরোধিতা করবে, যেটা তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার রাশ টেনে ধরবে। আবার ইরানি জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত প্রবল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অনুমোদন দিলেই ইরান এই চুক্তি অনুমোদন করবে, তিনি সেটা করবেন বলেও অনুমান করা যায়।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জটিলতা আরও বেশি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে আরও জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যে লড়াই শুরু হবে মার্কিন কংগ্রেসেই। ইরান নিয়ে বোধগম্যভাবেই বিস্তর উদ্বেগের অবকাশ আছে, ১০, ১৫ বা ২৫ বছর পর ইরানের ওপর থেকে নানা সীমাবদ্ধতা উঠে গেলে কী হবে, তা নিয়ে। কংগ্রেস যে চূড়ান্ত চুক্তিতে অনুমোদন দেবে বা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে, সেটা মোটেও নিশ্চিত নয়।
রাজনৈতিক অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারটা উদ্বেগের চতুর্থ ক্ষেত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত: চূড়ান্ত ঐকমত্য কীভাবে বাস্তবায়িত হবে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ইতিহাস ঘাঁটলে মনে হয়, এমন সময় আসবে, যখন ইরান চুক্তির শর্তাবলি পালন করবে না। যে চেতনার বলে চুক্তিটি হয়েছিল, সেটা ধারণ করার ক্ষেত্রে সে আরও পিছিয়ে। কারণ, ইতিপূর্বে জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকদের কাছে সে তথ্য লুকিয়েছে। ইরানের আচরণ মূল্যায়নের প্রক্রিয়া নির্ধারণে ঐকমত্য দরকার, আর সে কীভাবে সাড়া দেবে, তা নির্ধারণেও ঐকমত্য দরকার।
পঞ্চম উদ্বেগের কারণ যতটা না এই ঐকমত্য, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ইরানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি। ঐকমত্যটি শুধু ইরানের পারমাণবিক তৎপরতাবিষয়ক। এতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, সন্ত্রাসীদের সহায়তা, প্রক্সি এবং সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মধ্যপ্রাচ্যে দেশটি কী করছে, সে বিষয়ে একটি কথাও নেই। আবার নিজ দেশে ইরানের মানবাধিকারবিষয়ক কোনো কথাও এই ঐকমত্যে নেই।
ইরান এক সম্ভাব্য সাম্রাজ্যিক শক্তি, যে তার এলাকায় আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এমনকি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত ও বাস্তবায়িত হয়ে গেলেও এ অবস্থা পাল্টাবে না, এমনকি পরিস্থিতি আরও খারাপও হতে পারে।
রিচার্ড এন হাস |
ওবামা সঠিক: এমন এক পারমাণবিক চুক্তি ইরান
প্রত্যাশা করে। এ চুক্তি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে অর্থপূর্ণভাবেই লাগাম
টানবে, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বে অবশ্যই এমন আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে।
আর কোনো প্রতারণা হলে তা দ্রুত বের করে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা যাবে।
কাজটা সহজ হবে না। এটা বলা অতিরঞ্জন হবে না যে এমন আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে
হলে বহুকিছু করতে হবে, আলোচনা ফলপ্রসূ করতেও ঠিক যেমন অনেক কিছু করতে হবে।
ইংরেজি থেকে অনূদিত; স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
রিচার্ড এন হাস: যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের প্রেসিডেন্ট।
ইংরেজি থেকে অনূদিত; স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
রিচার্ড এন হাস: যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের প্রেসিডেন্ট।
No comments