পায়ে স্ক্রু রেখে অস্ত্রোপচার শেষ
ভুল চিকিৎসার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহিনা বেগম l প্রথম আলো |
টাঙ্গাইলের
মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে মাস খানেক আগে শাহিনা বেগম (৪৫) নামের এক
রোগীর পায়ের ভেতর আলগা স্ক্রু রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করা হয়। গত বুধবার
তাঁর পায়ে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে স্ক্রুটি বের করা হয়।
কুমুদিনী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ অসুস্থ মা সুফিয়া বেগমকে দেখে কুমুদিনী হাসপাতালের তৃতীয় তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাওমান টালাবহ গ্রামের মো. সোলায়মানের স্ত্রী শাহিনা। নিচতলার সিঁড়িতে এসে তিনি হোঁচট খান। এতে বাঁ পায়ের গোড়ালির পাশে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। ওই দিনই তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা প্রথমে তাঁর পায়ে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে পায়ে অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের চিকিৎসক সমরজিৎ বড়ুয়া। অস্ত্রোপচার শেষ হলেও তাঁর পায়ে একটি স্ক্রু রয়ে যায়। এর দুদিন পর থেকে তাঁর পায়ের ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। গত মঙ্গলবার তাঁর পায়ের এক্স-রে করা হয়। এতে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের স্থানে একটি আলগা স্ক্রু রয়ে গেছে। গতকাল তাঁর পায়ে আবার অস্ত্রোপচার করে স্ক্রুটি বের করে আনা হয়।
চিকিৎসাধীন শাহিনা ঘটনার বর্ণনা দিতে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সামান্য অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসক পায়ের এক্স-রে করানো ছাড়াই প্লাস্টার করেন। কিন্তু ব্যথা বেশি হওয়ার কথা জানালে চিকিৎসক পা ভেঙেছে বলে জানান। এরপর অস্ত্রোপচার করতে ১৪ হাজার টাকা লাগবে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় তিনি ধার করে ১২ হাজার টাকা জমা দেন। এরপর চিকিৎসক সমরজিৎ বড়ুয়া তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। এক্স-রে করানোর পর বুধবার পুনরায় অস্ত্রোপচার করতে আরও এক হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে। আগে টাকা কম দেওয়ায় কাজ ভালো হয়নি বলে গতকাল অস্ত্রোপচারের সময় সমরজিৎ বড়ুয়া তাঁকে (শাহিনা) জানান।
সমরজিৎ বড়ুয়া মুঠোফোনে বলেন, ওটা (স্ক্রু) বের করে দিয়ে সেখানে নতুন একটা স্ক্রু লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর সুস্থতা ফিরে আসতে আরও ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান শামীম আদম বলেন, রোগীর পায়ের যে স্থানে আঘাত পেয়েছেন, তা খুবই নরম জায়গা। সেখানে স্ক্রু লাগানোর পর খুলে আসার বিষয়টি ধর্তব্য নয়।
কুমুদিনী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ অসুস্থ মা সুফিয়া বেগমকে দেখে কুমুদিনী হাসপাতালের তৃতীয় তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভাওমান টালাবহ গ্রামের মো. সোলায়মানের স্ত্রী শাহিনা। নিচতলার সিঁড়িতে এসে তিনি হোঁচট খান। এতে বাঁ পায়ের গোড়ালির পাশে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। ওই দিনই তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা প্রথমে তাঁর পায়ে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে পায়ে অস্ত্রোপচার করেন হাসপাতালের চিকিৎসক সমরজিৎ বড়ুয়া। অস্ত্রোপচার শেষ হলেও তাঁর পায়ে একটি স্ক্রু রয়ে যায়। এর দুদিন পর থেকে তাঁর পায়ের ব্যথা আরও বাড়তে থাকে। গত মঙ্গলবার তাঁর পায়ের এক্স-রে করা হয়। এতে দেখা যায়, অস্ত্রোপচারের স্থানে একটি আলগা স্ক্রু রয়ে গেছে। গতকাল তাঁর পায়ে আবার অস্ত্রোপচার করে স্ক্রুটি বের করে আনা হয়।
চিকিৎসাধীন শাহিনা ঘটনার বর্ণনা দিতে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, সামান্য অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসক পায়ের এক্স-রে করানো ছাড়াই প্লাস্টার করেন। কিন্তু ব্যথা বেশি হওয়ার কথা জানালে চিকিৎসক পা ভেঙেছে বলে জানান। এরপর অস্ত্রোপচার করতে ১৪ হাজার টাকা লাগবে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় তিনি ধার করে ১২ হাজার টাকা জমা দেন। এরপর চিকিৎসক সমরজিৎ বড়ুয়া তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করেন। এক্স-রে করানোর পর বুধবার পুনরায় অস্ত্রোপচার করতে আরও এক হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে। আগে টাকা কম দেওয়ায় কাজ ভালো হয়নি বলে গতকাল অস্ত্রোপচারের সময় সমরজিৎ বড়ুয়া তাঁকে (শাহিনা) জানান।
সমরজিৎ বড়ুয়া মুঠোফোনে বলেন, ওটা (স্ক্রু) বের করে দিয়ে সেখানে নতুন একটা স্ক্রু লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর সুস্থতা ফিরে আসতে আরও ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান শামীম আদম বলেন, রোগীর পায়ের যে স্থানে আঘাত পেয়েছেন, তা খুবই নরম জায়গা। সেখানে স্ক্রু লাগানোর পর খুলে আসার বিষয়টি ধর্তব্য নয়।
No comments